যাদের বয়স ১৮+ তাদের অনেকেরই নিয়মিত শেভ করতে হয়। কেউ সেলুনে শেভ করে, আবার কেউ বাড়িতে। আজ বাড়িতে আরামদায়ক ও ক্লিন শেভ করার কিছু উপায় শেয়ার করব।

বাড়িতে শেভ করাটা ত্বকের জন্য ভালো। বাজারে শেভ করলে অনেক সময় ত্বকে সমস্যা হয়। কিন্তু অনেকেরই বাড়িতে শেভ করলে আরামদায়ক ও ক্লিক শেভ করা সম্ভব হয়না।
কারো কাটা ছেঁড়া যায়। কারো দাড়ি থেকে যায়। নিঁখুত শেভ হয়না। তাই অনেকেই ইন্টারনেটে এ ব্যাপারে খোঁজ করেন। তাই আজকে আপনাদের আরামদায়ক ও ক্লিন শেভ করার উপায়গুলো জানাবো।
আরামদায়ক ও ক্লিন শেভ করার যত উপায়
শেভ করার আগে মুখ ধুয়ে নিন
শেভ করার আগে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। এতে করে দাড়ি নরম হবে আর সহজে কাটা যাবে। এর ফলে আপনি ক্লিন শেভ পেতে পারবেন। সহযে কাটা যাওয়ার ফলে শেভ হবে আরামদায়ক।
তাই শেভ করার আগে অন্তত ৫ মিনিট ফেস ওয়াশ অথবা সাবান দিয়ে সমস্ত মুখ ধুয়ে নিন।
বেশি করে শেভিং জেল বা ফোম লাগান
শেভ করার সময় একটু বেশি করে শেভিং ফোম অথবা জেল লাগান। এতে করে যখন দাড়ি কাটবেন তখন খুব মসৃন ও আরামদায়ক শেভ করতে পারবেন
সহজেই দাঁড়ি কাটা যাবে। তাই ক্লিন শেভের জন্য অবশ্যই বেশি জেল বা ফোম ব্যবহার করুন।
গার্ডযুক্ত শেভিং রেজার রেজার ব্যবহার করুন
কাটাছেঁড়া থেকে বাঁচতে অবশ্যই গার্ডযুক্ত শেভিং রেজার ব্যবহার করুন। এতে করে আপনার ত্বক কাটা যাওয়ার সম্ভাবনা ৯০% কমে যেতে পারে।
আর গার্ডযুক্ত শেভিং রেজার ব্যবহার করলে খুব দ্রুত শেভ করা যায়। এতে করে আপনার মূল্যবান সময় বেঁচে যাবে। তাই অবশ্যই গার্ডযুক্ত রেজার ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে জিলেট গার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
জিলেট গার্ড
দুই-তিনটি ব্লেড যুক্ত গার্ড রেজার ব্যবহার করুন
ত্বকের সর্বোচ্চ সুরক্ষা ও সর্বোচ্চ আরামদায়ক শেভের জন্য দুই থেকে তিন ব্লেডযুক্ত রেজার ব্যবহার করুন। দুই-তিন ব্লেড থাকলে আপনার ত্বকের উপর থেকে চাপ কমবে। এটি আরামদায়ক ও ক্লিন শেভ করার আরেকটি বড় ট্রিক্স। এটি করার চেষ্টা করুন।
- ৩ টি উপায়ে ১০ মিনিটে ওয়েবসাইটের স্পীড ও র্যাংকিং বাড়ান | ১০০% প্রমাণসহ
- বিকাশ ১৬ টাকা রিচার্জ ও সেন্ড মানিতে ১০০% ক্যাশব্যাক | সবাই পাবেন
- রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা | স্বাস্থ্য টিপ্স
- এলার্জি কমানোর উপায় | যেভাবে চিরতরে মুক্তি পেলাম আমি
- প্রাকৃতিক উপায়ে দ্রুত মোটা হবার ২০টি সহজ উপায়
আলতো করে রেজার টানুন
যখন দাড়ি কাটবেন তখন ত্বকের উপর খুব বেশি চাপ দিবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। সবসময় চেষ্টা করবেন আলতো করে ত্বকের উপর রেজার টানতে।
আফটার শেভ লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করুন
শেভ করার পর অবশ্যই আফটার শেভ লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করুন। কারণ আফটার শেভ লোশন ব্যবহারের ফলে ত্বকে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।
ডাক্তারদের মতে শেভের পর অবশ্যই আফটার শেভ ব্যবহার করা জরুরী। এটি ত্বকের সুরক্ষার জন্য খুবই দরকারী। বিশেষ করে যারা নিয়মিত শেভ করেন তাদের জন্য। তাই এটিও ব্যবহৃতহার করুন।
পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করুন
শেভের পর মুখ ধোয়ার পর পরিষ্কার তোয়ালে অথবা টিস্যু ব্যবহার করুন। এটি আপনার ত্বকের জন্য আরেকটি দরকারী বিষয়।
ত্বকে কোনো সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন
শেভ করার কারণে ত্বকে কোনো সমস্যা হলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। দেরি করলে বড় ধরণের সমস্যা হতে পারে।
ডাক্তার আপনার রোগের কারণ বুঝে প্রয়োজনীয় নিবেন ও আপনাকে পরামর্শ দিবেন। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
শেভ করার জন্য নিচের ট্রিমারটি কিনতে চাইলে ট্রিমারের ফটোতে ক্লিক করুন।

আরামদায়ক ও ক্লিন শেভ করার ট্রিক্সের মত নতুন নতুন আরো ট্রিক পেতে প্রতিদিন ভিজিট করুন ট্রিক ব্লগ বিডি।
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার কোনো মন্তব্য, পরামর্শ বা অভিযোগ থাকলে নিছে কমেন্ট করুন। আমরা প্রত্যেকটা কমেন্টের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি।
সকল আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন ও টুইটারে ফলো করুন।
ট্রিক ব্লগ বিডি