কবিতাঃ- এক একাদশ দল
কবিঃ-সোলায়মান মাহমুদ
এই হরিণী বাঁধন হারা
দোহাই লাগে একটু দাড়া!
এলোমেলো শুভ্র কেশে
মহারাণীর ছদ্ম-বেশে
কোন দেশে তোর যাত্রা?
বাতাস পানে গাইতে জানিস!
সাত সাগরে নাইতে জানিস!
ঠিক রেখে তাল মাত্রা?
জল পরীদের নদীর কোলে
ঢেউয়ের তালে হেলেদুলে
আমার সাথে চল্
সেথায় গিয়ে গড়বো মোরা
এক,একাদশ দল্।
——————————————
এক,একাদশ দল কবিতার বিস্তারিত
কবিতাটি কবি সোলায়মান মাহমুদ গত তিন সাপ্তাহ আগে ঢাকা সফর কালে মঙ্গলবার রাতে “ঢাকা লেকসিটি” বসে রচনা করেন। কবিতাটি তিনি ঢাকা চকবাজারে বসে তার ফেসবুক পেজে প্রচার করেন।
কবি তার জীবনসঙ্গিনীকে হরিণী বলে সম্বোধন করেন।কবি বলেন হে নাটাই-হীন ঘুড়ি! কিবা শঙ্খচিল মুক্ত মনে বাতাসের তালে একলা উড়তে থাকলে হারিয়ে যাবে। তুমি কি দেখ না শঙ্খচিলরা জোড়ায় জোড়ায় উড়ে?
কবি দোহাই দিয়ে তাকে সাথে নেবার জন্য বলেছে।
“এলোমেলো শুভ্র-কেশে” এ চরণটি দ্বারা কবি প্রকাশ করিয়াছেন যে, কবির জীবন সঙ্গিনী পূর্বকালের আফ্রিকার বংশধর।
উল্লেখ থাকে যে, আজ থেকে ১৫০০ বছর আগে আরবীয় কন্যা সন্তান জন্মের সাথে সাথেই মেরে পেলা হতো। এমনকি আফ্রিকার কিছু লোক আরবে ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে আসলে তাদের কন্যা সন্তানদেরকেও মারতে দ্বিধা করতো না।
আর এই অপ-মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে কবি ফরেজদাকের দাদা প্রায় ৩ হাজারের অধিক কন্যা সন্তান ক্রয় করে। পরবর্তীতে কবি ফরেজদাকের সাথে বিভিন্ন সফরে জড়িত কারণে এ মেয়ে গুলো এশিয়া উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
আর ওই মেয়েদের বংশধর জিনগত ভাবে শুভ্র কেশওয়ালী। “মহারাণীর ছদ্ম-বেশে” এ চরণ দ্বারা কবি তার জীবনসঙ্গিনী রাজবংশীয় তা বুঝিয়েছেন।
আর কবি তার জীবনসঙ্গিনীকে৷ বলেছেন যুগের চাহিদা অনুযায়ী চলতে তাই কবি বলেছেন “বাতাস তাল গাইতে জানিস? সাত সাগরে নাইতে জানিস?”” এবং কবি বলেছেন শুধু যোগের চাহিদা অনুযায়ী চললে হবে না,নিজের অস্তিত্বও ঠিক রাখতে হবে।
তাই কবি পরের চরণে বলেন””ঠিক রেখে তাল মাত্রা”” এরপর কবি তার জীবনসঙ্গিনীকে নিয়ে কিছু আশা ব্যক্ত করেন।
কবি বলেছেন “জল পরীদের নদীর কোলে” এ চরণ দ্বারা কবি বুঝিয়েছেন এমন একটি নীরব ও শীতল জায়গা যেখানে আসা মাত্রই মন মুগ্ধকর হয়ে যায়।এবং নিজ বংশীয় একটা একাদশ গড়তে চাইছেন।