অনলাইনে ইনকাম করার ১১ টি সহজ উপায়

ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে ইনকামের উপায় খোঁজেননা এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। শুধু ছাত্র জীবনে নয়, সারা জীবনই অনলাইন থেকে আয় করে জীবন কাটিয়ে দেওয়া সম্ভব। অনেকেই অনলাইনে ইনকাম করে কোটিপতি ও লাখপতি হচ্ছেন। কিন্তু কিভাবে?

কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়? এই বিষয়টা আমরা অনেকেই জানিনা। কেউ কেউ তো আবার বিশ্বাসই করেনা যে অনলাইন থেকেও আয় করা যায়। অনলাইনে আবার কীভাবে আয় করে?

হুম, আসলে এটা মনে প্রশ্ন জাগার মতো। আসলে কিভাবে আয় হয়? কে টাকা দেয়? কেন দেয়? এরকম বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর আমরা জানিনা। তাই আমাদের মাঝে এই বিষয়টা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা আছে।

ইন্টারনেট বা অনলাইন আয়ের কথা বলতে গেলে অনেক বিষয় সামনে আসে। অনেক উপায়ে আয় করা যায়। আমাদের পক্ষে সব বিষয়গুলো একটি পোস্টে লেখা সম্ভব নয়। তাই সবচেয়ে কমন ১১ টি বিষয় নিয়ে লিখছি।

অনলাইনে ইনকাম
অনলাইনে ইনকাম

Table of Contents

কে টাকা দেয়? কেন টাকা দেয়?

অনলাইনে ইনকাম করবেন? টাকা কে দিবে? কেনো দিবে? এরকম প্রশ্ন মনে হতেই পারে।

কে টাকা দিবে? এটা বলার আগে বলি কেন টাকা দিবে? তাহলে পুরাটাই বুঝতে পারবেন। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের কোন কাজ আপনাকে দিয়ে করাবে।

কেউবা তাদের পণ্য বা সেবার প্রমোশন করাবে। সেই প্রমোশন বা কজের বিনিময়ে তারা আপনাকে টাকা দিবে।

অর্থাৎ, আপনাকে তারা এমনি এমনি টাকা দিবেনা। আপনাকে দিয়ে তারা কোনো একটি কাজ করাবে। তার বিনিময়ে আপনাকে কোনো একটা এমাউন্ট পরিশোধ করবে।

কীভাবে ইনকাম করা টাকা পেমেন্ট পাবেন?

ইনকাম করা টাকা বিভিন্ন উপায়ে পেমেন্ট নেওয়া যায়। কিছু কিছু ফ্রীল্যান্সার ওয়েবসাইট ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট দেয়। আবার বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো বিকাশের মাধ্যমেও পেমেন্ট দেয়।

আপনি যদি ফ্রীলেন্সার ওয়েবসাইটে কাজ করেন, তাহলে কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার পরেই টাকা পেয়ে যাবেন।

আর যদি ওয়েবসাইটের মালিক হন, তাহলে নির্দিষ্ট এমাউন্ট আয় করলে মাসিক, সপ্তাহিক বা পাক্ষিকভাবেও পেমেন্ট পেতে পারেন।

কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়?

অনলাইন বা ইন্টারনেটে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। কিন্তু আমরা শুধু সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো নিয়ে কথা বলবো।

তার আগে বলে রাখি, ইন্টারনেটে আয় করা কিন্তু একদিনেই সম্ভব নয়। এর জন্য আপনার প্রচুর ধৈর্য থাকতে হবে। মেধা থাকতে হবে।

একাত্বতার সাথে কাজ করে গেলে আপনি সফল হবেনই। আর এর মাধ্যমে মাসে লাখ টাকার বেশিও ইনকাম করা সম্ভব।

হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। ১ লক্ষ টাকারও বেশি কামানো সম্ভব। তবে তা এক দিনে নয়। দীর্ঘ সময় ও শ্রমের বিনিময়েই আপনি সেই টাকা আয় করতে পারবেন। আর তা একটি স্থায়ী আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

অনলাইনে ইনকাম
অনলাইনে ইনকাম

আপনি কি অননাইনে আয় করতে চান? কিন্তু কীভাবে কাজ করবেন বুঝতে পারছেন না? বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে? নিছে কমেন্ট করে জানান। আমরা সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো।

অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায় গুলো সম্পর্কে নিছে থেকে বিস্তারিত জানুন। প্রথমে এক নজরে দেখে নিন।

অনলাইনে ইনকাম করার ১১ টি উপায়

  • ওয়েবসাইট থেকে
  • ইউটিউব থেকে
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
  • ফ্রীল্যান্সিং করে
  • ওয়েব ডিজাইন করে
  • গ্রাফিক ডিজাইন করে
  • কন্টেন্ট রাইটিং করে
  • অ্যাপ প্রমোশন করে
  • ফেসবুকের মাধ্যমে
  • স্পনসর্ড বা পেইড পোস্ট করে
  • ডোমেইন ব্যবসা করে

এবার চলুন কীভাবে এই ১১ টি উপায়ে অনলাইনে ইনকাম করবেন সেই সব উপায় জেনে নেই।

১. ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়

ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। অনেকেই হয়তো জানেন। কিন্তু আবার অনেকেই জানেন না।

কেউ মনে করেন ভিজিটররা ওয়েবসাইটে ঢুকলে তাদের যে ডাটা বা এমবি (MB) কাটে সেটা ওয়েবসাইট মালিক পায়।

এটা সঠিক ধারণা নয়। আসলে আমি নিজেও প্রথমে এটাই মনে করতাম। কিন্তু না, আমার ধারণা ভুল ছিল। আসলে ওয়েবসাইটে কেউ ভিজিট করলে কোন ইন্টারনেট ডাটার খরচ ওয়েবসাইটের মালিক পায়না। উল্টো তার ওয়েবসাইটের ব্যান্ডউইথ খরচ হয়।

তাহলে ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে ইনকাম হয়?

একটি ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা যায়। নিচে সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায়গুলো তুলে ধরা হলো।

  • গুগল এডসেন্স এড
  • অন্যান্য কোম্পানির এড বা বিজ্ঞাপন
  • স্পনসরশীপ
  • অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং

উপরের পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে কিভাবে ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে আয় করা যায়, সেই বিষয়গুলো নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি পোস্ট করা হয়েছে। এখানে ক্লিক করে সেই পোস্টটি দেখে আসুন

আমি ছোট করে এখানে কিছু লিখছি। বিস্তারিত জানতে অবশ্যই আগের পোস্টটি দেখে নিন।

গুগল বা এডসেন্সের এড

আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে খুব সহজেই আয় করতে পারবেন। কেউ আপনার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলেই আপনার এডসেন্সে ডলার জমা হবে।

এক্ষেত্রে প্রতি ক্লিকে ০.০১ থেকে ৪০ ডলারও পাওয়া যায়। কেউ আরো বেশিও পায়। আসলে ক্লিক প্রতি টাকার অংকটা আপনার টপিকের উপর নির্ভর করে।

আপনি কোন কীওয়ার্ড বা বিষয়ের উপর লিখছেন সেটার উপরেই ক্লিক প্রতি বিজ্ঞাপনের মূল্য নির্ধারিত হবে।

এক্ষেত্রে আরো কিছু বিষয়ও হিসেবে থাকে। যেমনঃ ভিজিটর কোন দেশের, তাদের ডিভাইস, অপারেটর, তাদের ইন্টারেস্ট বা আগ্রহ ইত্যাদি।

প্রতি ক্লিকে ৪০ ডলারের কীওয়ার্ড (অনলাইনে ইনকাম)
প্রতি ক্লিকে ৪০ ডলারের কীওয়ার্ড ( অনলাইন ইনকাম )

জনপ্রিয় কিছু কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস ব্যবহার করে খুব সহজেই দামি কীওয়ার্ডগুলো খুঁজে বের করতে পারবেন। এর মধ্যে কিছু ফ্রী ও পেইড কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলসের নাম জেনে নিন।

  • ahrefs (পেইড)
  • SEMrush (ফ্রী ও পেইড)
  • Ubersuggest (ফ্রী ও পেইড)
  • Moz (ফ্রী ও পেইড)
  • Keyword tool (ফ্রী ও পেইড)

কিছু ভুলের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স সবাই পায়না। কিভাবে সহজেই গুগল এডসেন্স পাওয়া যায় সেই বিষয়ে আমাদের একটি পোস্ট আছে। নিছে সেই পোস্টের লিংক আছে। সেখান থেকে পড়ে নিবেন।

অবশ্যই পড়ুনঃ খুব সহজেই গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়

অন্যান্য কোম্পানির এডের মাধ্যমে

গুগল এডসেন্স ছাড়াও আরো কোম্পানি আছে। তাদের এড ব্যবহার করেও আয় করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার লোকাল কোনো কোম্পানির এড দিয়ে আয় করতে পারবেন।

তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিজ্ঞাপন নিতে পারেন। আবার, আপনি ভালো কন্টেন্ট তৈরি করতে পারলে তারাই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। এভাবে এডসেন্সের থেকেও বেশি ইনকাম করা যায়।

অ্যাফিলিয়েট ও স্পন্সরশীপ নিয়ে নিছে আলাদা করে আলোচনা করা হলো।

২. কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করবেন

যারা ইউটিউবিং করে তাদেরকে ইউটিউবার বলে। ইউটিউব থেকেও ইনকাম করা যায়। হুম, সত্যি। ইউটিউব থেকে খুব ভালো অংকের টাকা আপনিও আয় করতে পারবেন।

প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করা যায়?

ইউটিউব থেকেও এডসেন্সে মাধ্যমে আয় করা যায়। এই পোস্ট লেখার সময় পর্যন্ত ইউটিউবের মনিটাইজেশন পাওয়ার কিছু শর্ত হলোঃ

  • নিজের তৈরি কন্টেন্ট হতে হবে।
  • চ্যানেলে কমপক্ষে ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার হতে হবে।
  • সর্বশেষ ১ বছরে চ্যানেলের ভিডিও ৪,০০০ ঘন্টা দেখা হতে হবে।

উপরের শর্রগুলো পূরণ করতে পারলে আপনি ইউটিউব মনিটাইজেশন পাবেন। আর আরামছে ইউটিউব থেকে এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইলের মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম ( অনলাইন ইনকাম )

কোন কোন উপায়ে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন সেই তালিকাটা দেখুন। এখানে শুধু সবচেয়ে কমন ও জনপ্রিয় উপায়গুলো দেওয়া হলো।

  • ইউটিউব এডসেন্স
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • স্পন্সরশীপ
  • প্রোডাক্ট রিভিউ
  • নিজের প্রোডাক্ট বা পণ্য বিক্রি করে

অ্যাফিলিয়েট, প্রোডাক্ট রিভিউ সম্পর্কে নিছে বিশদভাবে আলোচনা করা হলো। আর ইউটিউব থেকে আয় করার নিয়মগুলো বিস্তারিত জানতে নিছের পোস্টটি পড়ুন।

ইউটিউব থেকে আয়ের উপায়গুলো সংক্ষেপে জানুন

এডসেন্স ছাড়াও আপনি ইউটিউবে আপনার নিজের প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন পেতে পারেন।

বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সর নিয়ে প্রোডাক্ট রিভিউ করে টাকা আয় করতে পারেন। সব ইনকাম একসাথ করলে মাস শেষে খুব বড় অংকের একটা আয় করতে পারবেন।

তবে আমি যত সহজে বলেছি বিষয়টা এতটা সহজ নয়। আপনাকে আগে ইউটিউব চ্যানেলে ভালো ভালো ভিডিও দিতে হবে। প্রতিদিন ১ টি করে ভালো ভিডিও দিলে খুব দ্রুতই জনপ্রিয়তা পেয়ে যাবেন। আর তখনই ইনকাম করতে পারবেন।

আর মনে রাখবেন, কারো ভিডিও কপি বা নকল করবেন না। তাহলে চ্যানেল টার্মিনেট হয়ে যাবে। মানে আজীবনের জন্য ডিলিট হয়ে যাবে। আরো জানতে নিছের ভিডিওটি দেখুন

ইউটিউব থেকে কিভাবে আয় করা যায় তা নিয়ে কথা বলছেন বাংলাদেশের প্রথম ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির ( অনলাইন ইনকাম )

৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য একটা বিশেষ লিংকের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়াই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বিভিন্ন অনলাইন শপ ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আছে। যাদের পণ্য বিক্রি করে দিলে তারা কমিশন দেয়। যেমনঃ অ্যামাজন, বাগডুম, বিডি শপ ইত্যাদি।

আপনি ওয়েবসাইট, ইউটিউব বা ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। আপনি ভালো কোম্পানিগুলো খুঁজে বের করুন। ২-৩ সাইটের বেশি ওয়েবসাইট না নেওয়াই ভালো।

সেরা দুই-তিনটা কোম্পানি বেছে নিন। যাদের জনপ্রিয়তা ভাল, ভালো পেমেন্ট দেয়, যাদের পণ্য আপনার ওয়েবসাইট এরিয়ায় ভালো বিক্রি হয় ইত্যাদি।

এক্ষেত্রে আপনার ইউটিউব বা ওয়েবসাইট ইংরেজিতে হলে অ্যামাজন বেছে নিতে পারেন। বিশ্বের বর্তমানে তারা অনেক বড় কোম্পানি ও খুব ভালো পেমেন্ট দেয়।

আর বাংলা সাইট বা ইউটিউব হলে, অর্থাৎ আপনার ভিজিটর বা ভিউয়াররা বাংলাদেশি হলে এটা না বেছে নেওয়াই ভালো। কারণ, এই পোস্ট লেখা পর্যন্ত অ্যামাজন বাংলাদেশে পণ্য ডেলিভারি দেয়না।

কিন্তু, তারা ইতিমধ্যেই সরকারের সাথে ব্যবসা করার জন্য আলোচনা করেছেন। সরকার তাদেরকে কিছু শর্ত বেঁঁধে দিয়েছে। হয়তো ভবিষ্যতে তারা বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করতে পারে। তখন আপনি অ্যামাজন বেছে নিতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় ( অনলাইন ইনকাম )

আপনার ইউটিউব ভিডিও, ওয়েবসাইট বা ফেসবুকে কাঙ্ক্ষিত প্রোডাক্টের রিভিউ করুন। আর সাথে অ্যাফিলিয়েট লিংকটি দিয়ে দিন। এক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো পণ্যগুলোই বেছে নিন।

তাহলে রিভিউ দেখে মানুষ পণ্যটি কিনতে চাইবে। আর এই লিংকের মাধ্যমে কেউ পণ্য বা সেবাটি কিনলে আপনি নির্দিষ্ট একটি কমিশন পাবেন। সাধারণত, ৩-৩০% কমিশন হয়ে থাকে।

অ্যাফিলিয়েট লিংক সাধারণত অনেক বড় হয়। এটিকে ছোট করতে লিংক শর্টনার ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে বিটলি (bit.ly) ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে Sohag360 থেকে শুনুন ( অনলাইন ইনকাম )

৪. ফ্রীল্যান্সিং করে অনলাইনে ইনকাম

ফ্রীল্যান্সিং কী? আপনি ঘরে বসে ইন্টারনেটে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। একে ফ্রীল্যান্সিং বলে। যারা এই কাজটি করেন তাদেরকে ফ্রীল্যান্সার বলে।

আউটসোর্সিং বা ফ্রীল্যান্সিং মোটামুটি একই রকম। আপনি ফ্রীল্যান্সিং ওয়েবসাইটে ফ্রীল্যান্সার হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন করে কাজ করতে পারেন।

কোনো ক্লায়েন্ট আপনাকে আপিনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ দিবে। আপনি তার বা তাদের কাজটি করে দিলে তারা আপনাকে পেমেন্ট দিবে। এক্ষেত্রে পেমেন্টটি ফ্রীল্যান্সার ওয়েবসাইট কর্তীক নিয়ন্ত্রিত হয়।

ফ্রীল্যান্সিংয়ে কী কাজ?

ফ্রীল্যান্সিংয়ে কাজের ক্ষেত্র অনেক বিশাল। এখানে সবগুলো উল্লেখ করা সম্ভব নয়। তবে কিছু কমন কাজের কথা বলা যেতে পারে। সেগুলো হলোঃ

  • ভিডিও এডিটিং
  • ওয়েব ডিজাইন
  • এসইও ও ব্যাকলিংক তৈরি
  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি।

জনপ্রিয় ফ্রীল্যান্সিং ওয়েবসাইট

বিশ্বে অনেকগুলো ফ্রীল্যান্সিং ওয়েবসাইট আছে। এগুলোর মাধ্যমে খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছি ওয়েবসাইটের নাম দেওয়া হলো।

  • ফ্রীল্যান্সার
  • আপওয়ার্ক
  • ফাইভার (বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়)
  • কাজ কী (বাংলাদেশি ওয়েবসাইট)

ফ্রীলেন্সিং এর সুবিধা

আউটসোর্সিং বা ফ্রীল্যান্সিং এর সুবিধা হলো আপনার স্বাধীনতা। এখানে কোনো ধরাবাঁধা নেই। আপনি যখন চাইবেন কাজ করবেন। যখন মনে চাইবেনা, করবেন না।

এর দ্বারা আপনি দেশের র‍্যামিটেন্স বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। নিছের ভিডিওটি দেখলে উপকার হতে পারে।

ফ্রীল্যান্সিং এর অ আ ক খ

৫. ওয়েব ডিজাইন করে আয়

ফ্রীল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইন করে আয় করতে পারবেন। ফ্রীল্যান্সিং সাইট থেকে ওয়েব ডিজাইনের কাজ খুঁজে নিন। আর ক্লায়েন্টকে কাজ বুঝিয়ে টাকা নিন।

এছাড়াও আপনি নিজের ওয়েবসাইট বা ইউটিউবের মাধ্যমেও অর্ডার গ্রহণ করতে পারবেন।

৬. গ্রাফিক ডিজাইন করে অনলাইনে ইনকাম

গ্রাফিক ডিজাইন করেও আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। ক্লায়েন্টের বিভিন্ন ব্যানার, ভিজিটিং কার্ড, ওয়েবসাইটের লোগো, বইয়ের কভার ডিজাইন ইত্যাদি হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন।

এর মাধ্যমেও প্রচুর টাকা আয় করা যায়। আপনি অর্ডার পাওয়ার জন্য ফ্রীল্যান্সার ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া অফলাইনেও এই কাজটির প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

গ্রাফিক ডিজাইন করে অনলাইনে ইনকাম
গ্রাফিক ডিজাইন করে অনলাইন ইনকাম
ছবিঃ উইকিপিডিয়া

৭. কন্টেন্ট রাইটিং করে অনলাইনে ইনকাম

পৃথিবীতে কোটি কোটি ওয়েবসাইট আছে। সব ওয়েবসাইটে পোস্ট লিখার প্রয়োজন হয়। সবসি কিন্তু গুছিয়ে পোস্ট লিখতে জানেনা। তাই ওয়েবসাইট মালিক ভালো একজন কন্টেন্ট রাইটার খোঁঁজে।

যারা টাকার বিনিময়ে অন্যের ওয়েবসাইটে পোস্ট লিখেন তারাই হলেন কন্টেন্ট রাইটার। আমি নিজেও একজন কন্টেন্ট রাইটার।

কন্টেন্ট রাইটাররা খুব ভালো এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট করতে জানেন। তাই ওয়েবসাইটের মালিকরা গুগল থেকে ফ্রী অর্গানিক ভিজিটর পাওয়ার জন্য কন্টেন্ট রাইটারদের দিয়ে পোস্ট লেখায়।

এক্ষেত্রে কন্টেন্ট রাইটাররা একটি পোস্টের জন্য ১০০ থেকে শুরু করে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকে। আপনিও এই কাজটি করে অনেক টাকা আয় করতে পারেন।

অযথা ইন্টারনেট ব্রাউজ করে সময় নষ্ট না করে এই কাজটি করুন। টাকাও পাবেন আর অনেক কিছু শিখাও হবে।

৮. অ্যাপ প্রমোশন করে ইন্টারনেটে আয়

আপনি কোনো কোম্পানির অ্যাপ প্রমোশন করেও আয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ফেসবুক, ইউটিউব বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। অ্যাপ প্রমোশন করে ঐ কোম্পানি থেকে ভালো একটা এমাউন্ট আয় করতে পারবেন।

৯. ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইনে আয়

ফেসবুকে অযথা সময় নষ্ট না করে কিছু টাকা আয় করুন। ফেসবুকেও ইউটিউবের মতো মনিটাইজেশন করে টাকা আয় করা যায়।

এজন্য একটা ফেসবুক পেজ লাগবে। সেই পেজে কমপক্ষে ১ হাজার লাইক থাকতে হবে। আর ভিডিও কমপক্ষে ৩ মিনিটের হতে হবে। নির্দিষ্ট ফেসবুক পেইজটিতে আপলোডকৃত সব গুলো ভিডিও মিলিয়ে সর্বশেষ ৬০ দিনে সর্বমোট ভিউয়ার সংখ্যা কমপক্ষে ৩০ হাজার হতে হবে ইত্যাদি।

মনিটাইজেশন পেলে আপনার পেজের ৩ মিনিটের বড় ভিডিওগুলোতে এড শো হবে। সেই এড থেকে আপনি টাকা পাবেন।

ফেসবুকে রিসেল

এছাড়াও আপনি প্রোডাক্ট রিসেল করেও আয় করতে পারবেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় রিসেল শপ হচ্ছে শপ আপ (Shopup.com.bd)।

রিসেল খুবই সহজ একটি সিস্টেম। আপনি রিসেলিং শপে নির্দিষ্ট দামে পণ্য সংগ্রহ করে আপনার পছন্দমতো দামে বিক্রি করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে অবশ্যই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের কথা মাথায় রাখুন। ভোক্তাদের প্রতি যাতে অবিচার না হয় সেই ব্যাপারে সচেষ্ট থাকুন। সীমিত লাভে পণ্য বিক্রি করে অনলাইন ক্যারিয়ার গড়ুন।

এছাড়াও আপনি ওয়েবসাইটেও রিসেল করতে পারেন। ফেসবুকেও ওয়েবসাইটের মতো অ্যাফিলিয়েট করতে পারেন।

১০. স্পনসর্ড বা পেইড পোস্ট করে অনলাইনে ইনকাম

আপনার ওয়েবসাইটে ও ইউটিউবে স্পন্সর নিয়েও আয় করতে পারেন। তাছাড়া আপনার ওয়েবসাইটে পেইড বা স্পন্সরড পোস্ট করে আয় করতে পারেন।

আমাদের সাইটেও স্পন্সরড পোস্ট নামে একটি অওশন আছে। এখানে আপনি টাকার বিনিময়ে পোস্ট লিখতে পারবেন। আপনার পণ্যের বা সেবার প্রচারণা করতে পারবেন। আমাদের স্পন্সর পোস্টের মূল্য জানতে এখানে দেখুন

১১. ডোমেইন ব্যবসা করে

অনেকের কাছেই এই বিষয়টি নতুন মনে হতে পারে। আসলে ডোমেইন ব্যবসা সম্পর্কে আমিও কিছুদিন আগে জানতাম না। এটিও মোবাইলে অনলাইনে আয় করার বড় একটি মাধ্যম।

এক্ষেত্রে যারা এই কাজটি করেন তাদেরকে ডোমেইনার বলে। ডোমেইনাররা বিভিন্ন ডোমেইন নিজেদের নামে রেজিষ্ট্রেশন করে রাখেন। পরবর্তীতে সেটি ভালো মূল্যে বিক্রি করেন।

শুনলে অবাক হবেন। একটি ডোমেইন কয়েক কোটি টাকায়ও বিক্রি হয়। কিন্তু ডোমেইনাররা যখন রেজিষ্ট্রেশন করেন তখন রেজিষ্ট্রেশন ফি ৭০-৩০০০ টাকা এর মধ্যে হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই ব্যবসাটি একটি ইনভেস্টমেন্ট ব্যবসা।

আমাদের ওয়েবসাইটে ডোমেইন ব্যবসা নিয়ে আলাদা ক্যাটাগরি আছে। সেখান থেকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমাদের সেই ক্যাটাগরির নাম Domain learning

১২. ফরেক্স ট্রেডিং

ফরেক্স ট্রেডিংয়ের মাধ্যমেও অনলাইনে ইনকাম করা যায়। তবে এটি একটি উচ্ছ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। কারণ, এখানে লাভ হলেও খুব বেশি পরিমাণে হয় আবার লস হলেও খুব বেশি পরিমাণে হয়।

তাই ফরেক্স ট্রেডিং করার আগে এ বিষয়ে খুব ভালো ধারণা থাকতে হয়। তাই এই ব্যবসা করার আগে ফরেক্স ট্রেডিং কি? কিভাবে করে? এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।

অনলাইনে আয় বিকাশে পেমেন্ট

ফাইভার বা আপওয়ার্কে কাজ করলে আপনি বিকাশে পেমেন্ট পাবেন না। কারণ এরা বিদেশি কোম্পানি। কিন্তু বাংলাদেশি ফ্রীল্যান্সিং সাইটে কাজ করলে অনলাইনে আয় করে বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

আশা করি পোস্টটি ভালো লেগেছে। এমই সব তথ্যপূর্ণ পোস্ট পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। নিয়মিত ভিজিট করুন ট্রিক ব্লগ বিডি

শেষ কথা

এতক্ষণ আমরা অনলাইনে আয় করার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করলাম। প্রত্যেকটি টপিকে বিস্তারিত জানারে জন্য গুগলে সার্চ করতে পারেন। লেখাটি ভালো লাগলে আমাদের সাইটের অন্যান্য পোস্টগুলোও পড়তে পারেন।

কপিরাইট ডিসক্লেইমার

এই অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত পোস্টটি একমাত্র ট্রিক ব্লগ বিডির সম্পত্তি। অনুমতি ছাড়া এই পোস্টের কোন অংশ বা সম্পূর্ণ পোস্ট কপি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

32 thoughts on “অনলাইনে ইনকাম করার ১১ টি সহজ উপায়”

  1. মহিউদ্দিন আমিন

    ভাই, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে বুঝিয়ে আলোচনা করার জন্য। আমি নিয়মিত আপনার ব্লগ ফলো করি। আশা করি আরও নতুন নতুন লেখা পাব।

  2. আর্টিকেল টা অনেক বড় কিন্তু বিস্তারিত বলেছেন। অনেক হেল্পফুল পোস্ট ধন্যবাদ।

    1. আপনাদের এমন মন্তব্য আমাদেরকে পরবর্তী কাজের জন্য অনুপ্রেরণা জোগায়। কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

  3. অনেক ভালো হয়েছে ভায়া।

    আপনারা চায়লে আমার ব্লগ থেকে ঘুরে আসতে পারেন। ধন্যবাদ। BD Tech Lite

    1. আপনার কমেন্ট দেখে সত্যি খুব খুশি হলাম। আশা করি ভবিষ্যতে আপনার অনুপ্রেরণা আমাদেরকে আরো ভালো কাজ করতে সাহায্য করবে।

  4. খুব ভালো আর্টিকেলটি, আমি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে আরও আর্টিকেল চাই।

  5. ধন্যবাদ আপনাকে ভালো কিছু ব্লগ উপহার দেওয়ার জন্য।
    এই ব্লগে ইউটিউবের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যাটা একটু পোস্ট ইডিট করে চেঞ্জ করে দিন প্লিজ।

    1. ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি ভবিষ্যতে এভাবেই আমাদের সহযোগিতা করবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top