আউটসোর্সিং কি অনেকেই চিন্তা করে যে, আউটসোর্সিং কিভাবে করে? হয়তো অনেক কঠিন কিছু! কিন্তু মোটেও এমনটি নয় । আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো যে,আউটসোর্সিং কি এবং কিভাবে আউটসোর্সিং করা যায়। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
আউটসোর্সিং কি?
সবার আগে আপনাকে জানতে হবে যে, আউটসোর্সিং মানে কি? Out= বাহির source= উৎস। অর্থাৎ, দেশে বসে দেশের বাহিরে যত কাজ অনলাইন এর মাধ্যমে সম্পাদন করা হয় তাকেই তো আউটসোর্সিং বলে।
যারা এই বিষয়ে আজ প্রথম শুনছেন । অর্থাৎ, নতুন তারা হয়তো বিষয়টা ভালভাবে বুঝতে সক্ষম হননি। তাহলে চলুন একটু ভেঙ্গে বলি!
এমন অনেক কাজ আছে যেগুলো ঘরে বসেই করা যায়। আগে হয়তো প্রযুক্তি এত উন্নত ছিল না । শুধু তাই নয়, বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব উন্নত যা আগে ছিল না।
প্রাচীন সময়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব ছিল ? অবশ্যই ছিল কিন্তু এখন মুহূর্তের মধ্যেই সম্ভব। এর কারণ প্রযুক্তির দিক দিয়ে আমরা এখন অনেক এগিয়ে ।
ধরুন, দেশের বাহিরে থেকে এক কোম্পানী তাদের কর্মচারীর বেতন এর হিসাব বের করে নিতে চায়। আপনি হয়তো জেনে থাকবেন যে, কম্পিউটার এর এক্সেল সফটওয়্যারটি দিয়ে খুব সহজেই এই হিসাবটি বের করা সম্ভব।
তাহলে এখান থেকে বুঝা গেল, বিদেশ থেকে একটি কোম্পানী কাজ দিল। ঘরে বসেই এক্সেল এর মাধ্যমে কাজটি খুব সহজেই আমরা করে দিলাম।
তারপর কাজটি শেষ হলে পাঠিয়ে দিলেই হয়ে গেল। সুতরাং, বাহিরের কাজ ঘরে বসে করে দেওয়ার আদান প্রদান এর পুরো প্রক্রিয়াকেই আউটসোর্সিং বলে।
আউটসোর্সিং কিভাবে করে?
ঘরে বসেই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে কাজ করে দেওয়া সম্ভব । এখন অনেকেই এই পেশার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করতেছে এবং বর্তমান সময়ে অনেকেই এই পেশাকে স্মার্ট পেশা হিসাবে বেঁছে নিচ্ছে। এর কারণ, ঘরে বসে আয় করার জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে ।
এখন হয়তো আপনি ভাবছেন যে, সবই তো বুঝলাম কিন্তু আউটসোর্সিং কিভাবে করবো? জ্বি, আপনি ঠিক বলেছেন কারণ, সবার আগে আপনাকে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করতে হবে। তারপর আপনার দরকার একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ।
যারা ইতিমধ্যেই আউটসোর্সিং করে তারা কিভাবে করে জানেন? এগুলোর জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে মার্কেটপ্লেস অর্থাৎ, আউটসোর্সিং করার জন্য কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট আছে কাজ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ৩টি সাইট হচ্ছে, Upwork, Fiverr, Freelancer. শুধু কি মার্কেটপ্লেসেই কাজ পাওয়ার যায় ? না , মার্কেটপ্লেস এর বাহিরেও অনেক কাজ পাওয়া যায়। আপনার মধ্যে যদি ট্যালেন্ট থাকে তাহলে সব করতে পারবেন।
আউটসোর্সিং কিভাবে করে ! যারা আউটসোর্সিং করতেছে তারা কাজ শিখার পর মার্কেট প্লেস গুলোর মাধ্যমে নিজের ট্যালেন্ট প্রকাশ করে কাজ পাচ্ছে এবং এভাবেই আউটসোর্সিং করছে।
শুধু আউটসোর্সিং করতে চাইলেই হবে নাে বরং তার জন্য আপনাকে অবশ্যই কাজ জানতে হবে । নতুন হিসাবে আপনার জানার দরকার যে, ভাল কাজগুলো কি কি? তারপরেই তো আপনি কাজ শিখবেন তাইনা! কাজেই এই বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ শিখতে হবে।
এবার আলোচনা করা যাক যে, কোন কাজগুলো শিখলে আপনার লাভ হবে অর্থাৎ, কোন কাজগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কারণ, আপনি যদি এমন কিছু কাজ শিখেন যে কাজের কোন চাহিদাই নেই তাহলে কিন্তু সেটা অবশ্যই অনেক দুঃখজনক একটি ব্যাপার ।
অতএব, যে কাজগুলো অনেক চাহিদা আছে এবং ভবিষ্যৎ ঐ কাজের চাহিদা আরো বাড়বে এরকম কাজ শিখা উচিৎ।
কাজ করার জন্য মার্কেটপ্লেস-
সেরা কাজ গুলো কি কি এবং কোন কাজগুলোর চাহিদা সবসময় থাকবে অর্থাৎ সবসময় কাজ করা যাবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেরা কিছু কাজের টপিক যেগুলোর অনেক চাহিদা আছে মার্কেটে ।
- ফ্রিলান্সিং ।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
- ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট।
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট।
- ডিজিটাল মার্কেটিং।
- গ্রাফিক্স ডিজাইন ।
- ভিডিও এডিটর।
- ইউটিউব মার্কেটিং।
উপরের টপিক গুলো হচ্ছে অনেক জনপ্রিয় এবং এগুলোর মধ্যে যেকোন একটা শিখলে অনেক উপকার। ক্যারিয়ার করতে চাইলে আগে নিজের স্কিল ডেভেলপ করে তারপর মাঠে নামতে হবে অতএব একজন মানুষের ক্যারিয়ার বদলাতে আউটসোর্সিং যথেষ্ট ।
এটি কোন স্বপ্ন নয় আপনার যদি ইচ্ছা শক্তি আর চেষ্টা থাকে তাহলে আপনি ও সহজেই নিজের ক্যারিয়ার দাড় করাতে পারেন।
আশা করছি আপনারা সুন্দর ধারনা পেয়েছেন। পোস্টটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন। আজ এই পর্যন্ত। আল্লাহ হাফেজ।
অসাধারণ পোস্ট
ধন্যবাদ