কুরবানীর নিয়ম কানুন | কুরবানী কার উপর ফরজ? বিস্তারিত

কুরবানির বিধান ও আলোচনা

আজকের বিষয় কুরবানী। কুরবানী মুসলমানদের একটি ধর্মীয় উৎসব। কুরবানীর ঈদ নিয়ে অনেকের মধ্যেই অনেক কিছু জানার আগ্রহ থাকে। আজকে সবচেয়ে বেশি সার্চ হওয়া কিছু বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। যেমনঃ কুরবানীর নিয়ম কানুন, কুরবানী কার উপর ফরয, কুরবানির নিয়ত ইত্যাদি। আশা করি উপকার হবে। ভুল হলে ক্ষমা করবেন।

কুরবানী । ছবিঃ সময়ের কন্ঠস্বর
কুরবানী। ছবিঃ সময়ের কন্ঠস্বর

কুরবানী কার উপর ফরজ?

কুরবানী কার উপর ফরজ? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, ফরজ এ বক্তব্য আসলে আলেমদের মধ্যে কেউ দেননি। আলেমদের মধ্যে এ বিষয়ে মতবিরোধ হয়েছে। আসলে কোরবানী কি সুন্নাহ নাকি ওয়াজিব এটা নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ প্রচলিত।

একদল ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, কুরবানী হচ্ছে সুন্নতে মুয়াক্কাদা। অধিকাংশ আলেমই এই মতবাদে বিশ্বাসী। আরেকদল ওলামায়ে কেরাম মনে করেন, কোরবানি হচ্ছে ওয়াজিব। হাতে গোনা তিন থেকে চারজন ওলামায়ে কেরাম ছাড়া অন্য কেউ কোরবানিকে ওয়াজিব বলেননি।

শরিয়তে কোরবানি বাধ্যতামূলক হওয়ার শর্ত হচ্ছে মুসলিম হওয়া, বিবেকসম্পন্ন হওয়া, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া।

এর সঙ্গে আর একটি শর্ত যোগ হবে সেটি হলো, যে ব্যক্তি কুরবানীর দিন কোরবানির পশু জবাই করার সামর্থ্য রাখে, সেই ব্যক্তির ওপর কোরবানি আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এই মতবাদে অধিকাংশ আলেমই একমত পোষণ করেন।

যেসব আলেমগণ কুরবানীকে ওয়াজিব বলেছেন, তাঁরা দুটি কঠিন শর্ত দিয়েছেন। একটি হচ্ছে, ঐ ব্যক্তির নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকতে হবে, যেই পরিমাণ সম্পদের ওপর জাকাত ফরজ হয়। অন্য শর্তটি হচ্ছে ঐ ব্যাক্তি মুসাফির হতে পারবেন না। তারা বলছেন, যাদের এই দুটি শর্ত পূরণ হবে সেইসব লোকের উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।

অন্যথায় তাদের উপর কুরবানি ওয়াজীব হবে না।

বিশুদ্ধ হাদিস বলছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে, সে যেন কোরবানি করে।’ সামর্থ্যকে রাসুল (সা.) সাধারণ রেখে দিয়েছেন।

অন্য আরেকটি হাদিসে এসেছে, ‘সামর্থ্য থাকার পরও যদি সে কোরবানি না করে, তাহলে সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে [সুনানে ইবনে মাজাহ (৩১২৩), আলবানী ‘সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ’ গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন]’। এই হাদিস দিয়েই ওয়াজিবের দলিল দেওয়া হয়েছে। নবীজি (সা.) নিসাব পরিমাণ সম্পদের কথা মোটেও বলেননি, এটি না থাকলেও চলবে।

তাছাড়া আপনার ব্যাংকে যদি কোরবানি দেওয়ার মতো অর্থ থাকে, তাহলে আপনি কোরবানি দিতে পারবেন।

তথ্যসূত্রঃ এনটিভির এই পোস্টটি দেখুন

এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসূত্র নিচে দেওয়া হলো

কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত

বিশুদ্ধ মতানুযায়ী কোরবানী করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। কারো উপর কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে। নিচে তা দেওয়া হলো।

  • ধনী হওয়া
  • নিজের খচর নিজে বহন করতে পারা
  • কুরবানী করার জন্য বাড়তি টাকা থাকা
  • মুসলিম হওয়া
  • বিবেকসম্পন্ন হওয়া
  • প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া ইত্যাদি।

তথ্যসূত্রঃ Islamqa.info এর এই পোস্ট দেখুন এবং আহলে হক মিডিয়ার এই পোস্টটি দেখুন

কুরবানীর পশু

ডেইলি সংগ্রামের কুরবানীর পশু সম্পর্কিত একটি পোস্ট থেকে আমাদের এই টপিকটি লেখা হলো। এই প্যারার তথ্যসূত্র ডেইলি সংগ্রাম।

কুরবানির পশু
কুরবানির পশু

যেসব পশু কুরবানী করা বৈধ

যে যে অশু কুরবানী দেওয়া যাবে তাদের তালিকা প্রকাশ করেছে দৈনিক সংগ্রাম। সেখান থেকে কুরবানীর পশুর তালিকা নিচে দেওয়া হলো।

  • গরু
  • ছাগল
  • মহিষ
  • ভেড়া
  • দুম্বা
  • উট ইত্যাদি

যেসব পশু কুরবানী করা যাবেনা

গরু ও মহিষের বয়স কমপক্ষে ২ বছর হতে হবে। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার বয়স কমপক্ষে ১ বছর হতে হবে। উটের বয়স ৫ বছর বা তার বেশি হতে হবে। ভেড়ার বয়স ছয় মাস হলেও কুরবানী করা যায়। তবে সেটি এক বছর বয়সী ভেড়ার মতো মোটাতাজা হতে হবে। অন্যথায় এসব পশু কুরবানির উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেনা।

যে সব ত্রুটি থাকলে কুরবানীর পশু কুরবানির জন্য বিবেচিত হবেনা

  • কুরবানীর পশু অবশ্যই সুস্থ ও মোটাতাজা হতে হবে। অন্যথায় সে পশু কুরবানী নাজায়েজ।
  • পশু অন্ধ হলে
  • কানে না শুনলে
  • লেংড়া হলে
  • লেজ অধিকাংশ কাটা থাকলে
  • কান অধিকাংশ কাটা থাকলে
  • শরীরে কোন রোগ থাকলে
  • জন্মগতভাবে একটি কান না থাকলে ইত্যাদি।

কুরবানী পশু সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

কুরবানী সম্পর্কে কুরআনের আয়াত

কুরবানী সম্পর্কে কুরআন মজীদে বিভিন্ন স্থানে বর্ণনা করা হয়েছে। সেখান থেকে কুরবানী সম্পর্কে কুরআনের কিছু আয়াত নিচে দেওয়া হলো।

  • হে রাসূল) বলুন, ’নিশ্চয়ই আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মরণ সবই সারা জাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যে নিবেদিত। তার কোন শরীক নেই।’ [সূরা আন‘আম: ১৬২-৬৩]
  • কুরবানীর পশুর) রক্ত ও গোশত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না বরং তোমাদের তাকওয়াই শুধু পৌঁছে থাকে। [সূরা হজ্জ: ৩৭]
  • আমি প্রত্যেক উম্মাতের জন্য কুরবানীর বিধান নির্ধারণ করে দিয়েছি যাতে তারা ওই পশুদের জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। আর তোমাদের প্রতিপালক তো এক আল্লাহই, তোমরা তাঁরই অনুগত হও। [সূরা হজ্জ: ৩৪]
  •  “তখন আমি তাকে ডেকে বললাম, হে ইব্রাহীম! তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করেছ। আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদের প্রতিদান দিয়ে থাকি। নিশ্চয় এটা একটা সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আমি তার (ইসমাঈল (আঃ)-এর পরিবর্তে দিলাম জবেহ করার জন্য এক মহান জন্তু।” [সূরা সাফফাত আয়াত-১০৪-১০৭]।
  • অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুস্থ-দরিদ্রকে থেকে দাও। [হজ্জ্ব : ২৮]

তথ্যসূত্রঃ পয়গাম ডট কম ও দেশের সময়

কুরবানীর হাদিস

কুরবানীর হাদিস নিয়ে অনেকেরই জানারবিচ্ছা থাকে। তাই কুরবানী সম্পর্কে রাসুল (সাঃ) এর কিছু হাদিস এখানে তুলে ধরা হলো।

  • আমাদের এ দিনে আমরা সর্ব প্রথম যে কাজটি করবো তা হল সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবো। এরপর ফিরে এসে আমরা কুরবানী করবো। যে ব্যাক্তি এভাবে তা আদায় করল সে আমাদের নীতি অনুসরণ করল। আর যে ব্যাক্তি আগেই যবাহ করল, তা এমন গোশতরুপে গন্য যা সে তার পরিবার পরিজনের জন্য আগাম ব্যবস্থা করল। এটা কিছুতেই কুরবানী বলে গন্য নয়। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) … বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত [সহীহ বুখারী, ৫১৪৭]
  • যে ব্যাক্তি সালাতের পর যবাহ করল তার কুরবানি পূর্ন হলো এবং সে মুসলমানদের নীতি পালন করলো। মুতাররাফ বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত [সহীহ বুখারী, ৫১৪৭]
  • যে ব্যাক্তি সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ের আগে যবাহ করল সে নিজের জন্যই যবাহ করল। আর যে ব্যাক্তি সালাত আদায়ের পর যবাহ করল। তার কুরবানী পূর্ন হল এবং সে মুসলমানদের নীতি অনুসরণ করল। [সহীহ বুখারী, ৫১৪৮]
  • আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে প্রবেশ করলেন। অথচ মক্কা প্রবেশ করার পূর্বেই সারিফ নামক স্থানে তার মাসিক শুরু হল। তখন তিনি কাঁদতে লাগলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার কি হয়েছে? মাসিক শুরু হয়েছে না কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এটা তো এমন এক বিষয় যা আল্লাহ আদম (আলাইহিস সালাম) এর কন্যা সন্তানের উপর নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং তুমি আদায় করে যাও, হাজীগণ যা করে থাকে, তুমিও অনুরুপ করে যাও। তবে তুমি বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করবে না। এরপর আমরা যখন মিনায় ছিলাম, তখন আমার কাছে গরুর গোশত নিয়ে আসা হল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম এটা কি? লোকজন উত্তর করলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রীদের পক্ষ থেকে গরু কুরবানী করেছেন। [সহীহ বুখারী, ৫১৪৮]
  • রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কুরবানীর দিন দু’টি শিংওয়ালা মোটাতাজা বকরী জবাই করতেন। যখন তিনি কুরবানী করার জন্য শুয়ানো হতো, তখন তিনি পড়তেন “ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লালিল্লাজি……..ওয়াআনা মিনাল মুছলিমীন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা ওয়া আন মুহাম্মাদিন [মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে] ওয়া উম্মাতিহী [তার উম্মতের পক্ষ থেকে] বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার। তারপর কুরবানী করতেন। [আবু দাউদ, হাদীস নং-২৭৯৫]

তথ্যসূত্রঃ হাদিস বিডি। কুরবানী সম্পর্কে আরো হাদিস জানতে এখানে ক্লিক করুন

কুরবানীর নিয়ত

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কুরবানীর দিন দু’টি শিংওয়ালা মোটাতাজা বকরী জবাই করতেন। যখন তিনি কুরবানী করার জন্য শুয়ানো হতো, তখন তিনি পড়তেন “ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লালিল্লাজি……..ওয়াআনা মিনাল মুছলিমীন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা ওয়া আন মুহাম্মাদিন [মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে] ওয়া উম্মাতিহী [তার উম্মতের পক্ষ থেকে] বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার। তারপর কুরবানী করতেন। [আবু দাউদ, হাদীস নং-২৭৯৫]

তবে পশু জবাই করার আগে শরীকদের নাম বলাটা জরুরী নয়। মনে মনে রাখলেই চলে। পশু জবাই করার সময় অবশ্যই “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার” বলতে হবে।

তথ্যসূত্রঃ আহলে হক্ব। কুরবানীর নিয়ত ও দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

কুরবানীর গোস্ত বন্টনের নিয়ম

কুরবানীর গোস্ত বন্টনের নিয়ম অনেকেই জানতে চান। তাই এটাও লিখলাম। মুসলমানরা কুরবানির গোস্ত নিজেরা খায় এবং গরীব দুঃখী ও আত্মীয়দের মাঝে বিলি করে দেয়।

কুরবানীর গোস্ত সঠিকভাবে বন্টন করা উত্তম। প্রথমত, মোট মাংসকে তিন ভাগ করতে হবে। তারপর, এক ভাগ গরীব-দুঃখীদের ও এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বন্টন করে দিতে হবে। বাকি এক ভাগ নিজেরা খেতে পারবেন। চাইলে সেখান থেকেও কাউকে দান করতে পারবেন।

যুগান্তর পত্রিকার পোস্টঃ কুরবানীর মাংস বন্টন

সৌজন্যেঃ J series LTD

কুরবানীর মাংস কতদিন খাওয়া যায়?

অনেকেই মনে করেন কুরবানীর মাংস ৩ দিনের বেশি সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়না। আসলে এই বিষয়টি সঠিক নয়। কারণ, এই নিয়মটি চালু করার পর নবী (সাঃ) সেটি আবার বাতিল ঘোষণা করেছেন। যেটি সহীহ হাদিয়া দ্বারা প্রমাণিত।

উপরের অংশে দেওয়া শায়েখ আলমাদুল্লার ভিডিওটিতেও এই বিষয়ে বলা হয়েছে। দেখে নিতে পারেন।

কুরবানী ঈদ কত তারিখে

কুরবানীর ঈদ বছরে একবার আসে। প্রত্যেক জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানীর ঈদ পালন করা হয়।

ডিসক্লেইমার

এই পোস্টে আসল মালিকের অনুমতি ছাড়া কিছু কপিরাইট সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এটি শিক্ষণীয় বিষয়ে “ফেয়ার ইউজ” পলিসি মেনে ব্যবহার করা হয়েছে এবং প্রত্যেক কপিরাইট মালিককে তথ্যসূত্রের মাধ্যমে পোস্টে রেফার করা হয়েছে।

এরকম আরো পোস্ট পড়তে প্রতিদিন ভিজিট করুন ট্রিক ব্লগ বিডি

2 thoughts on “কুরবানীর নিয়ম কানুন | কুরবানী কার উপর ফরজ? বিস্তারিত”

  1. MD Habibur Rahman (Admin)

    আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার অবগতির জন্য বলছি। আমরা কোন পোস্টেই মনগড়া কিছু লিখিনা৷ এই পোস্ট লিখতে গিয়ে আমরা একাধিক সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি। এর মধ্যে প্রসিদ্ধ কিছু ইসলামিক সাইট ও কিছু জাতীয় গণমাধ্যমের ওয়েবসাইট ছিল। কিছু রেফারেন্স পোস্টেই উল্লেখ আছে। আর কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

    যুগান্তর পত্রিকার একটি পোস্টের লিংক দিচ্ছি। সেখানে বলা আছে মাংস সঠিকভাবে বন্টন না করলে কুরবানী কবুল হওয়ার শর্ত পূরণ হবেনা অর্থাৎ কুরবানী হবেনা। আপনি যেই বিষয়টি বলেছেন সেটাও সেই সাইটগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য।

    যুগান্তরের পোস্ট লিংকঃ কুরবানীর মাংস বন্টনের সঠিক নিয়ম

    তবে আপনি যেহেতু পরামর্শ দিয়েছেন,
    তাই আমরা এই ব্যাপারে আরো কিছু সোর্স থেকে অনুসন্ধান করে দেখব ইনশাআল্লাহ। আশা করি, উত্তর পেয়েছে।

  2. Muhammad Moshiur Rahman

    ভাই, ইসলামের কোনোকিছু লিখতে হলে আগে তারওপর যথাযথ জ্ঞান অর্জন করতে হয়। কুরবানীর গোশত তিন ভাগ না করলে কুরবানী হবেনা এমনটা কোথাও নাই। পারলে আপনি একাই খান তাও কোরবানী হবে। তবে তা শিষ্টাচার বহির্ভূত। ভাগ বা বণ্টন সঠিক বলতে বোঝায় ‘ যদি কয়েক জন মিলে কুরবানী করেন তবে তাদের প্রত্যেকে যেন সমান গোশত পায়।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top