পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার কৌশল
আমরা সবাই কোনো না কোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু সবাই কিন্তু পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাইনি। আজকে কিছু জ্ঞানী মানুষের দেওয়া টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজকের বিষয় পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার কৌশল।
আমি নিজে ব্যক্তিগত জীবনে খুব বেশি নম্বর পাইনি। আবার খুব খারাপ ছাত্রও ছিলামনা। আমার কাছে এরকম কোনো গাইড ছিলোনা। তাই আমি নিজেকে নিজের মতো করে প্রকাশ করতে পারিনি।
তাই আমি আজকে আপনাদের জন্য ট্রিক্স নিয়ে হাজির হলাম। এই ট্রিক্সগুলো কিছু আমার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা। কিছু আবার বিখ্যাত ব্যক্তিদের দেওয়া টিপস। আশা করি এগুলা মেনে চললে আপনি সামান্য হলেও উপকৃত হবেন। তো চলুন শুরু করি।
ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য পরীক্ষার আগে করণীয়
পরীক্ষার আগে কিছু করণীয় আছে। নিয়মিত শ্রেণিতে উপস্থিত থাকতে হবে। প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন পড়তে হবে। কোনো পড়া না বুঝলে স্যারের কাছ থেকে প্রশ্ন করে জেনে নিতে হবে।
অনেক সময় ইউটিউবে সার্চ করেও শিখে নিতে পারেন। ইউটিউবে কোনো বিষয় লিখে সার্চ করলে অনেক ভিডিও পাওয়া যায়। তাই ইউটিউব আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।
শুধু পড়লেই হবেনা। কিছু নিয়ম মেনে পড়া লেখা করতে হবে। তাহলেই আপনি ভালোভাবে শিখতে পারবেন।
পরীক্ষার আগের রাতের প্রস্তুতি
পরীক্ষার ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য পরীক্ষার আগের রাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার আগের রাতকে খুব ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। তাই পরীক্ষার আগের রাতে কিছু প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
পরীক্ষায় ভালো করার কৌশল আত্মবিশ্বাস
যেকোনো কাজে ভালো করার জন্য আত্মবিশ্বাস খুবই জরুরি। নিজের মনে একটা বিশ্বাস সবসময়ই রাখতে হবে। আর তাহলো “আমি পারবো”।
নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। কারণ, আপনার মাঝে এমন কিছু আছে যা আপনি নিজেও জানেন না। তাই বিশ্বাস রাখুন। এটা আপনাকে দারুণভাবে সাহায্য করবে।
একটি বিখ্যাত কথা আছে।
Trust Yourself,
you know more than you think
you Do.
-Benjamin Sopck
পরীক্ষার আগের রাতে জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা
মনে রাখবেন, পরীক্ষার আগের রাতেই প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্র ঘুছিয়ে রাখতে হবে। কলম,পেন্সিল,কাটার,স্কেল বা রুলার,পরীক্ষার বোর্ড,রাবার বা ইরেজার, প্রবেশ পত্র ইত্যাদি প্রস্তুত রাখতে হবে।
পরীক্ষার আগের দিনই এগুলা প্রস্তুত করতে হবে। তা না হলে পরীক্ষার দিন ঝামেলায় পড়এ যেতে হবে।
দুই রকমের কলম রাখুন
পরীক্ষার জন্য কমপক্ষে দুইটি কলম রাখুন। দুইটা দুই রকমের কলম রাখুন। দুই কোম্পানিরও হতে পারে। যাতে একটা কলমে সমস্যা হলেও বাকিটা দিয়ে লিখতে পারেন।
এক কোম্পানির কলমে কোনো সমস্যা হলেও বাকিটাতে সমস্যা হওয়ার চান্স কম। আমার কাছে মেটাডোরের কলমগুলো খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে ম্যাটাডোর আই টিন কলমগুলো খুব ভালো। আপনি চাইলে এখানে ক্লিক করে ম্যাটাডোর আইটিন কলম কিনতে পারেন।
তাছাড়া ইকোনো বল পেনও খুব ভালো। ইকোনো বল পেন কিনতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনার কাছে অন্য কোনো ভালো কোম্পানির কলম থাকলে সেটাও ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্যই সেই কলমের নামটি নিছে কমেন্ট করে জানান। তাহলে আমি এখানে সেটির নামও যোগ করে দিব। তাহলে সবাই উপকৃত হবে।
কলমগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ লিখুন। কারণ, নতুন কলমে লিখতে একটু সমস্যা হয়। আগে থেকে লিখে কলমগুলো ঠিক করে রাখুন।
পড়ার মাঝে বিরতি নিন
একটানা পড়তে থাকলে একঘেয়ে লাগবে। তাই পড়ার মাঝে বিরতি দিন। ৪০-৪৫ মিনিট পড়ার পর ৫-১০ মিনিটের বিরতি নিন। বিরতির সময় আপনার পছন্দের যেকোন বিষয় করে সময় কাটান। অথবা ঘরের বাহিরে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করুন।
বিরতির পর নতুন উদ্যমে পড়া শুরু করুন। দেখবেন, পড়তে খুব ভালো লাগবে। পড়াও খুব সহজে বুঝবেন। এই কৌশলটি আপনাকে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে সাহায্য করবে।
পরীক্ষার আগের রাত পুষ্টিকর খাবার খান
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আর শরীর সুস্থ থাকলে মন মানসিকতা খুবই ভালো থাকে। পড়াও খুব ভালো হয়। তাই পুষ্টিকর খার খান।
পরীক্ষার রুটিন দেখে নিন
আগামীকাল কোন বিষয়ের পরীক্ষা সেটা পরীক্ষার রুটিন থেকে দেখে নিন। আপনি যদি আগে থেকেই জানেন কোন বিষয়ের পরীক্ষা তারপরও একবার রুটিন দেখুন। কারণ, কোনোভাবে ভূল হলে আর রক্ষা নেই। তাই পরীক্ষার এই বিষয়টি ১০০% নিশ্চিত হোন।
এটাও পরীক্ষায় ভালো করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম।
পরীক্ষার আগের রাতে প্রথম থেকে পড়া শুরু করুন
একদম সিলেবাসের প্রথম থেকে পড়া শুরু করুন। পরীক্ষার আগেই সকল পড়া শেষ করতে হবে। আর পরীক্ষার রাত শুধু রিভিশন দিন।
সাথে কাগজ কলম রাখুন। যেই পড়াটা কঠিন মনে হবে সেটা লিখুন। দেখবেন সেটা সহজ হয়ে যাবে।
পড়া মুখস্ত না করে বুঝার চেষ্টা করুন
পড়া মুখস্ত করার অভ্যাস ত্যাগ করুন। পড়া বুঝতে হবে। তাই মুখস্ত না করে বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন। যেটা আপনি মুখস্ত করবেন সেটা আপনি ভূলেও যাবেন। আর যেটা বুঝে পড়বেন সেটা কখনো ভুলবেন না।
কোনো টপিক না বুঝলে বাদ দিন
পড়ার কোনো অংশ কয়েকবার পড়েও বুঝতে না পারলে সেটা বাদ দিন। কারণ, এই টপিক ছাড়াও আরো অনেক টপিক আছে সেগুলাও পড়তে হবে। একটা টপিকের জন্য সব সময় শেষ করে ফেললে হবেনা। তাই না বুঝা টপিক বাদ দিন।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে
পরীক্ষার আগের রাতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার কিছু উপকারিতা আছে। এতে আপনার হজম খুব ভালো হবে। আর আপনার পেটে ব্যাথা বা গ্যাসের সমস্যা দূর হবে।
ফেসবুক টুইটার বাদ দিন
পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য পরীক্ষার আগের রাতে সোশ্যাল মিডিয়া বাদ দিন। ফেসবুক,টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদি থেকে বিরত থাকুন।
ফেসবুকে একবার ঢুকলে আপনার পড়ার প্রতি মনোযোগীতা নষ্ট হয়ে যাবে। আর অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়ও নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এই ব্যপারে সতর্ক হোন।
কঠিন পড়া গুলো ঘুমানোর আগে পড়ার চেষ্টা করুন
ঘুমাতে যাওয়ার আগে কঠিন পড়াগুলো একবার মনে করা ভালো। বিশেষজ্ঞদের মতে, অপেক্ষাকৃত কঠিন এবং বর্ণনামূলক পড়া ঘুমানোর আগে পড়া উচিত। এতে করে পড়াটি মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ঘুম থেকে উঠার পর পড়াটি মনে করা সহজতর হয়। (টেন মিনিট স্কুল)
এটি আমার বাস্ত জীবনের অভিজ্ঞতা। আমি যেই পড়া ঘুমাতে যাওয়ার আগে চিন্তা করতাম ঐ তখন খুব কঠিন মনে হতো। কিন্তু ঘিম থেকে উঠলে তা খুব সহজেই মনে পড়ে যেত।
তাই আপনারা অবশ্যই এই ট্রিকটি ফলো করবেন। এটা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনের টেকনিক।
পরীক্ষার আগের রাতে প্রচুর ঘুমান
রাত জাগা এমনিতেই ভালো অভ্যাস নয়। পরীক্ষার আগেতো নয়ই। রাত জাগলে বা রাতে কম ঘুমালে পরের দিন খুব খারাপ লাগে। মন মেজাজ ভালো লাগেনা।
চিন্তাশক্তি কাজ করেনা। যা আপনাকে পরীক্ষার হলে অনেক ভোগান্তিতে ফেলবে। আমাদের সমাজে রাত জেগে পড়ার একটা লাদা কদর আছে। কিন্তু এটি ঠিক নয়।
রাত জেগে পড়লে পড়া খুব ভালো হয়না। বরং, সকালে সব পড়া উলট পালট মনে হয়। রাতে ভালো ঘুমালে সকালে মন খুব ফ্রেশ থাকবে। আর পরীক্ষা খুব ভালো হবে। এটা পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার একটা দারুন কৌশল।
এই গেলো পরীক্ষার আগের রাতের বিষয়। এবার হচ্ছে পরীক্ষার দিন সকালে ও পরীক্ষার হলে করণীয় বিষয়।
পরীক্ষার দিন সকালে করণীয়
সকালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করুন। পড়াগুলো আরেকবার দেখে নিন। যেই বিষয়টি কঠিন মনে হয় সেটা একবার দেখুন।
কোনকিছু লিখার দরকার হলে লিখুন।
প্রথম পরীক্ষার দিন একটু আগেই পরীক্ষার হলে যান
পরীক্ষার প্রথম দিন সীট নম্বর দিয়ে নিজের আসনটি খুঁজে বের করতে হয়। এতে বাড়তি সময় লাগে। তাই প্রথম পরীক্ষার দিন অন্তত ৪০ মিনিট আগেই হলে উপস্থিত হতে হবে।
অন্য পরীক্ষার দিন ৩০ মিনিট আগেই হলে উপস্থিত হতে হবে। মনে রাখবে, হলে পৌঁছাতে দেরি হলে চিন্তা শুরু হয়ে যাবে। মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সম্পূর্ণ পরীক্ষাই খারাপ হয়ে যাবে।
পরীক্ষার হলে করণীয়
নিজের আসন খুঁজে বসার পর পরীক্ষার হলের করণীয় গুলো অবশ্যই পালন করতে হবে। এটি আপনাকে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে সাহায্য করবে।
পরীক্ষার খাতায় কিভাবে লিখব?
অনেকেরই প্রথম প্রশ্ন থাকে পরীক্ষার খাতায় কিভাবে লিখব? আপনাদের ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য পরীক্ষার খাতায় লেখার স্টাইল গুলো বলে দিচ্ছি।
পরীক্ষার খাতায় লেখার নিয়ম
পরীক্ষার আগের দিন অনেক পড়াশোনা হয়েছে। পরীক্ষার প্রস্তুতিও শেষ। সব কিছুই বৃথা হয়ে যাবে যদি আপনি তা পরীক্ষার খাতায় সুন্দর করে উপস্থাপন করতে না পারেন।
পরীক্ষক আপনার শিখার জন্য নম্বর দিবেন না। পরীক্ষার খাতায় আপনার লেখার উপস্থাপন দেখে নম্বর দিবেন। এটাই পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার সেরা কৌশল।
- পরীক্ষার খাতায় কালো ও নীল রঙ ছাড়া অন্য কোনো রঙ ব্যবহার করা যাবেনা। অনেকেই অন্যান্য রঙ্গিন কলম ব্যবহার করে। এটা মোটেই ঠিক নয়। এই অভ্যাস আজই বাদ দিন।
- পরীক্ষার খাতা হাতে পাওয়ার পর নাম,রোল,রেজিস্ট্রেশন নম্বর ইত্যাদি খুব সতর্কতার সাথে পূরণ করুন।
- খাতায় স্কেল দিয়ে মার্জিন বা দাগ টানুন। খেয়াল রাখবেন, শুধুমাত্র বামে ও উপরে ১ ইঞ্চি পরিমাণে দাগ টানুন। চারদিকে টাগ টানার কোনো দরকার নেই।
- লুজ শিট বা বাড়তি কাগজ নিলে তার নম্বর অবশ্যই মূল কাগজে লিখে নিন।
- প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পর সম্পূর্ণ প্রশ্ন একবার দেখে নিন। এতে ৫-৭ মিনিট সময় গেলেও যাক।
- যেই প্রশ্ন খুব ভালো পারেন সেটাই আগে লিখুন। সেটা ৮ নং প্রশ্ন কিংবা ১৩ নং প্রশ্ন অথবা ১ নং হোক তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে সম্ভব হলে সিরিয়াল মোতাবেক লেখা ভালো।
- খাতার প্রথম পৃষ্টায় খুব ভালো পারা প্রশ্নের উত্তর লিখলে পরীক্ষকের খুব ভালো লাগবে। আর আপনার প্রতি তার একটা পজিটিভ ধারণা তৈরি হবে। যা আপনাকে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে সাহায্য করবে।
- অনেক দ্রুত লেখার চেষ্টা করুন। লেখা বুঝা গেলেই হলো।
- শব্দের মাঝে ফাঁক দিয়ে লিখিন। এতে করে লেখা খারাপ হলেও বুঝা যাবে।
- লাইনের মাঝে ফাঁক দিন। প্রত্যেকটা লাইনের শেষে আরেক লাইন লিখার সনয় ফাঁক দিন। এতে লেখা খুব সুন্দর লাগবে। বুঝতেও সুবিধা হবে।
- রচনা বা যেকোনো পয়েন্টের নিছে আন্ডারলাইন বা দাগ দিন। অবশ্যই নীল কালি ব্যবহার করুন। এতে পয়েন্টের নাম খুব সহজেই পরীক্ষকের নজরে পড়বে। যা আপনাকে খুব সহজেই বেশি নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
- একটা প্রশ্নের উত্তর শেষ হলে ২ ইঞ্চি পরিমাণ ফাঁক রেখে পরের প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করুন। এতে করে খুব সহজেই প্রশ্নগুলোকে আলাদা করা যাবে।
- কোটেশন ও রেফারেন্স নীল কালি দিয়ে লিখবেন।
- রচনা লিখার সময় কবিতার লাইন ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এটাতেও নীল কালি ব্যবহার করুন। যাতে খুব সহজেই পরীক্ষকের নজরে পড়ে।
- কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজের বানানো কবিতাও ব্যবহার করা যায়। তবে এক্ষেত্রে কবির নাম উল্লেখ না করাই ভালো। আমি একবার এরকম লিখেছিলাম [তাইতো কবি বলেছিলেন, “হঠাৎ বৃষ্টি হঠাৎ রোদ, ঋতু বৈচিত্র্যের শরতের মুখ]। এখানে স্যারের পক্ষে কোনোমতেই বুঝা সম্ভব নয় যে এটা আমার নিজের বানানো একটা লাইন। সকল কবির সকল কবিতা জানা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। আপনিও এই ট্রিক ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই সেরা কবিদের কবিতা থেকে লাইন ব্যবহার করা ভালো। সেক্ষেত্রে তাদের নাম ব্যবহার করবেন।
- অবশ্যই সব প্রশ্নের উত্তর লিখে আসবেন। যদি সময় কম থাকে তাহলে কম কম করে হলেও সব প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। কোনো প্রশ্নের উত্তর না পারলে আন্দাজে লিখে আন্দাজে হলেও লিখতে হবে। এটা আপনাকে পরীক্ষার A+ পেতে সাহায্য করবে।
- অসম্পূর্ণ উত্তরের ক্ষেত্রে বাংলার বেলায় অ. পৃ. দ্র. এবং ইংরেজির বেলায় To be continued লেখা ভালো।
- মার্জিনের বাহিরে কোনো কিছু লেখা যাবেনা। প্রশ্নের নম্বর,এমনকি একটা ফুলস্টপও। অর্থাৎ, কোন কলমের আঁকও থালতে পারবেনা। আমরা অনেকেই মার্জিনের বাহিরে প্রশ্নের নম্বর লিখি। এটা ঠিক নয়।
- অপ্রাসঙ্গিক লেখা বাদ দিন। বাড়তি লিখলেই বেশি নম্বর পাবেন না। প্রশ্নে যা চেয়েছে তাই লিখার চেষ্টা করুন।
- রচনা সবার শেষে লিখুন। কারণ তাতে লেখা বেশি। বড় প্রশ্ন পরে দেওয়াই ভাল।
- রচনার পয়েন্ট বেশি লিখুন। তবে এক পয়েন্ট ২-৩ লাইন হলেই যথেষ্ঠ। সোজা কথা পয়েন্ট বাড়ানোর চেষ্টা করুন।
- সঠিক বানানে উত্তর লিখতে হবে। এটি ভালো নম্বর অর্জনের টেকনিক।
- আবারো বলছি যেকোনো মূল্যেই হোকনা কেন, সব প্রশ্নের উত্তর লিখতেই হবে। তা না হলে আপনি কখনোই পরীক্ষায় ভালো করতে পারবেন না। আমার পরীক্ষায় খুব ভালো না করতে পারার মূল কারণ ছিল এটা।
আশা করি উপরের ট্রক্সগুলো মেনে চললে আপিনি পরীক্ষায় খুব ভালো ফলাফল করতে পারবেন। আর আমার জন্য অবশ্যই মিষ্টি পাঠিয়ে দিবেন। কন্টাক্ট ফর্মে গেলেই যোগাযোগ করতে পারবেন।
কোনো ভূল ক্ষমা করবেন। আর অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। তাহলে আমি ভুলটা ঠিক করার চেষ্টা করবো। আর একটা কথা। এই পোস্টটি চার ঘন্টা সময় নিয়ে নেটে অনেক ঘাটাঘাটি করে লিখেছি। একটাই চাওয়া।
যদি পোস্টটি ভালো লাগে অবশ্যই শেয়ার করুন। আর এমনই সব এক্সক্লুসিভ ট্রিক্স পেতে প্রতিদিন ভিজিট করুন ট্রিক ব্লগ বিডি।
খুব ভালো লাগলো. অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
কমেন্ট করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ
আপনার পোস্ট গুলো অনেক সুন্দর
আপনি চাইলে আমার লেখা গুলো দেখতে পারেন
কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার লেখাগুলা পড়ার চেষ্টা করব। ভালো কন্টেন্ট হলে আমার পোস্টগুলোতে আপনাকে ব্যাকলিংকও দিব। ধন্যবাদ।