ব্যবসা করে কোটিপতি হয়েছেন এমন লক্ষ লক্ষ নজির রয়েছে। কিন্তু চাকরি করে কোটিপতি সেটা হাতে গোনা। আর তাই বুদ্ধিমানেরা ব্যবসার পিছনেই ছোটেন। কিন্তু ব্যবসা শুরু করার আগে সেই ব্যবসা সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। জেনে নিতে হবে এই ব্যবসায় খরচ কেমন, লাভ কেমন কিংবা ঝুঁকি বা কেমন ইত্যাদি। তাই আজকে আমরা আপনাদের বর্তমানে ১৯ টি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া দিব।
আমাদের দেওয়া ব্যবসার ধারণাগুলো আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন, লাভজনক ব্যবসা হলেই যে আপনি লাভ করে কোটিপতি হয়ে যাবেন এমনটা নয়।
ব্যবসায় লাভ করতে হলে বা সফলতা অর্জন করতে হলে সঠিক ব্যবসা নির্ধারণ, কঠোর পরিশ্রম, সঠিক বিনিয়োগ, মেধা, ভাগ্য, কৌশল ইত্যাদির প্রয়োজন। সবকিছুর সংমিশ্রণেই আসবে আপনার সফলতা।
লাভজনক ব্যবসার ধারণা
সকল ব্যবসা সমভাবে লাভজনক হয়না। তবে বেশিরভাগ ব্যবসাতেই মেধা খাটালে ও পরিশ্রম করলে সফলতা পাওয়া যায়। আজকে আমরা তেমনই কিছু লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেব।
১। ক্রোকারিজ ব্যবসা
মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে ক্রোকারিজ অন্যতম। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এখন চিনামাটির বিভিন্ন থালা বাসনের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ করা যায়। তাই এই পণ্যগুলোর ব্যবহার কখনোই কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। সেজন্যই ব্যবসাটি হতে পারে আপনার জন্য ব্যাপক লাভজনক ব্যবসা।
ক্রোকারিজ ব্যবসা শুরু করতে হলে ৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হতে পারে।
২। ফার্মেসি বা ঔষদের ব্যবসা
লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া খুঁজতে গেলে প্রথমদিকেই থাকবে ফার্মেসি ব্যবসা। এই ব্যবসাটা খুবই লাভজনক। যারাই ঔষধের ব্যবসা করেন তাদের বেশিভাগই এই ব্যবসা করে সফল হয়েছেন।
ফার্মেসি ব্যবসা গ্রামে বা শহরে যেকোনো জায়গায় করা যায়। কারণ ঔষধের চাহিদা কম বেশি সব জায়গায়ই থাকে। এক্ষেত্রে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। ৮ম শ্রেণি পাশ করা ব্যাক্তিও এই ব্যবসা করতে পারেন।
৩। মাছের ব্যবসা
আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী। তাই মাছের চাহিদা এদেশে কখনোই কম ছিলোনা। আশা করা যায় কখনো কমবেও না। আর মৎস ব্যবসা হতে পারে একটি লাভজনক ব্যবসা।
বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষিত যুবক মাছ চাষ ও ব্যবসার সাথে জড়িত। মাঝারি আকারের ২ থেকে ১০ টা পুকুর হলেই আপনি মাছ চাষ করে খুব ভালো পরিমাণ লাভ করতে পারেন। এক্ষেত্রে যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।
মাছ চাষের ক্ষেত্রে পুকুর আপনার নিজের হতে পারে অথবা লিজ নিয়ে কাজ শুরু করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিত্যাক্ত জলাশয়কে মাছ চাষে ব্যবহার করা যায়।
৪। হ্যাচারি ব্যবসা
মাছ চাষ বর্তমানে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইসাথে মাছের পোনার চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। তাই হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদন করে সেই পোনা বিক্রি করে ভালো পরিমাণ লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।
অনেকেই হ্যাচারী সম্পর্কে জানেন না। হ্যাচারী হচ্ছে এক ধরণের কৃত্রিম জলাশয় যেখানে ডিম থেকে রেণু ও মাছের পোনা উৎপাদন করা হয়ে থাকে। এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে রেণু ও পোনা উৎপাদন শুরু করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে শুরু করার আগে প্রশিক্ষণ নেয়া খুবই জরুরী।
৫। ফুলের ব্যবসা
আরেকটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া হচ্ছে ফুলের ব্যবসা। বিয়ে, জন্মদিন, ২১শে ফেব্রুয়ারিসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুলের চাহিদা ব্যাপক। তাই ফুলের ব্যবসা সারা বছরই চাঙ্গা থাকে। তাই যেকোনো যুবক ফুলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ফুলের ব্যবসার সাথে ফুল দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানোর কাজও করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্টেজ ও ঘর সাজিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বাড়তি ইনকাম করা যেতে পারে। বিশেষ করে হলুদের প্রোগ্রামে কাজ করে ভালো ইনকাম করা যায়।
৬। কাঁচা বাজার হোম ডেলিভারি
কাঁচা বাজার হোম ডেলিভারি করার ব্যবসা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। মানুষের হাতে এখন সময় কম। বিশেষ করে চাকরিজীবি ও ব্যবসায়ীদের হাতে সময় থাকেনা। তারা অনলাইনে কেনাকাটা করতেই এখন বেশি পছন্দ করেন।
এমনই সব কাস্টমারদের তার্গেট করে কাঁচাবাজার ডেলিভারি ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। তবে এই ব্যবসা গ্রামের তুলনায় শহরাঞ্চলে বেশি লাভজনক। তাই কোন একটি ভালো শহরকে কেন্দ্র করে দোকান খরচ বাদে ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে এমন একটি ব্যবসা শুরু করতে পারি।
৭। ডায়াগনস্টিক সেন্টার ব্যবসা
রোগ ব্যাধী মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। ডাক্তারে কাছে গেলে বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা নীরিক্ষার প্রয়োজন হয়। তাই ডায়গনস্টিক সেন্টার ব্যবসার মাধ্যমে যেমন লাভবান হওয়া যায় ঠিক তেমন মানবসেবা করারও একটি সুযোগ থাকে।
তবে এই ব্যবসায় ভালো পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হয়। ২০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে এই ব্যবসার সাথে জড়িত কোন ব্যাক্তি থেকে পরামর্শ নিলে ভালো হবে।
আরো পড়ুনঃ ১০ টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
৮। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সার্বিক আয়োজন ও পরিচালনাকেই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বলে। শহর কেন্দ্রিক এই ব্যবসা বেশি লাভজনক। বিয়ে, গায়ে হলুদ, কর্পোরেট মিটিং, বিদায় অনুষ্ঠান, খৎনা, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক অনুষ্ঠাণ ইত্যাদিতে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস দেওয়া যেতে পারে।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা শুরু করতে দক্ষ জনবলের দরকার হয়। তাছাড়া এই ব্যবসায় প্রচুর পরিশ্রমী হতে হয়। প্রত্যেকটি ইভেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলে পরবর্তীতে ভালো পরিমাণ কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা করার আগে এই আর্টিকেলটি পড়ে নিলে উপকৃত হবেন বলে আশা করি।
৯। লবণ প্যাকিং ব্যবসা (২০০০ টাকায় ব্যবসা)
মাত্র ২০০০ টাকায় ব্যবসা করতে চাইলে এই ব্যবসা আপনার পারফ্যাক্ট। লবণের দাম বাংলাদেশে খুবই কম। তাই চাষীদের থেকে কম দামে লবণ কিনে সেটি প্যাকিং করে বিক্রি করে ভালো লাভ করতে পারেন।
এক্ষেত্রে ১-২ টাকা কেজি দরে লবণ কিনে নিতে হবে। এরপর সেগুলো ২৫ থেকে ৫০ পয়সা দামের প্যাকেটে প্যাকিং করতে পারেন। এক্ষেত্রে হাতে বা মেশিনের মাধ্যমে প্যাকিং করতে পারবেন। লবণ কেনা ও প্যাকেজিংয়ে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা খরচ আসতে পারে। আর প্রতি কেজি লবণ ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করতে পারেন।
দৈনিক ৫০০ প্যাকেট বিক্রি করতে পারলে কমপক্ষে ২০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে মাসে ৬০,০০০ টাকা আয় করার একটা সুযোগ আছে। তাই ২০০০ টাকায় ব্যবসা শুরু করতে চাইলে লবণ প্যাকেজিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
১০। ব্রয়লার মুরগীর ব্যবসা (৫০০০ টাকার ব্যবসা আইডিয়া)
ব্রয়লার মুরগীর চাহিদা দেশে ব্যাপক হারে বেড়ে যাচ্ছে। তাই আপনি চাইলে কিছু পুঁজি খাটিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসার সুবিধা হলো এটি গ্রাম বা শহরের যেকোনো জায়গায়ই শুরু করা যায়। আর দোকান খরচ বাদে ৫,০০০ থেকে ২্০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।
পাইকারি দামে ব্রয়লার মুরগী কিনে সেগুলো খুচরা মূল্যে বিক্রি করে মাসে ১৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ করা যেতে পারে। দেশে লক্ষাধিক মুরগী ব্যবসায়ী রয়েছেন। বেশিরভাগই সফলতার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। তবে ব্যবসা শুরুর আগে এই বিষয়ে ভালো ধারণা নিয়ে নিতে হবে।
১১। আইটি ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসা
বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। এই যুগে সকল প্রকারের ব্যবসা প্রসারের জন্য অনলাইনের সহায়তা নিতে হয়। সেজন্য দরকার হয় কম্পিউটার ও আইটি বিষয়ক বিভিন্ন ট্রেনিংয়ের।
আশেপাশে অনেক আইটি সেন্টার থাকলেও দক্ষ ট্রেনিং সেন্টার খুব একটা পাওয়া যায়না। তাই আপনি যদি আইটি ও কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন বা দক্ষ লোক নিয়োগ দিতে পারেন তাহলে আপনার জন্য আইটি ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসা হতে পারে লাভজনক একটি ব্যবসা আইডিয়া।
একটি ট্রেনিং সেন্টার শুরু করতে কমপক্ষে ৫ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। আর সফলতা পেতে হলে অবশ্যই ট্রেনিং সেন্টারটি দক্ষ লোক দ্বারা পরিচালনা করতে হবে।
যে যে কোর্সগুলো করানো যেতে পারেঃ
- অফিস প্রোগ্রাম
- ভিডিও এডিটিং
- গ্রাফিক ডিজাইন
- এসইও কোর্স
- কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
- ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট ও কাস্টমাইজেশন ইত্যাদি
এই কোর্সগুলো করিয়ে সকল খরচ বাদ দিয়ে অনায়াসেই মাসে ৩০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা বা তার বেশিও আয় করা যায়।
আরো পড়ুনঃ ফরেক্স ট্রেডিং কি ও কিভাবে করে?
১২। গরুর ব্যবসা
গরুর ব্যবসা খুবই রিস্কি ও লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসায় যেমন ঝুঁকি প্রচুর ঠিক তেমনি লাভও অনেক। সঠিক জ্ঞান থাকলে এই ব্যবসার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।
ব্যবসাটি করার জন্য আপনার একটা খামার থাকতে হবে। কমদামে উত্তর বঙ্গ থেকে গরু কিনে স্থানীয় বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে হবে।
এক্ষেত্রে গরুগুলো কয়েকদিন রাখার জন্য একটি খামার দরকার। প্রত্যেক মাসে ১০-১৫ টি গরু ৩০-৬০ হাজার টাকা করে কিনে নিয়ে ৪০-৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারেন।
এক্ষেত্রে গরু প্রতি ৫-২০ হাজার টাকা করে লাভ করা সম্ভব। মাসে ১০ টা গরু বিক্রি হলে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। তবে অবশ্যই ভালো দেখে ও সাশ্রয়ী দামে গরু কিনতে হবে।
গরুর ব্যবসা শুরু করতে ৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করতে হতে পারে।
[বিঃদ্রঃ গরুর ব্যবসা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও লাভজনক ব্যবসা। পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকলে এই ব্যবসা না করাই ভালো]
১৩। কমিউনিটি সেন্টার ব্যবসা
বিয়ে সহ নানা অনুষ্ঠানে বর্তমানে কমিউনিটি সেন্টারের চাহিদা প্রচুর। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের পর্যাপ্ত স্থান না থাকায় একমাত্র ভরসা হচ্ছে কমিউনিটি সেন্টার। তাই শহর কেন্দ্রিক কমিউনিটি সেন্টার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
তবে কমিউনিটি সেন্টার ব্যবসায় প্রচুর পুঁজির প্রয়োজন। কমপক্ষে ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।
১৪। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা
বাঙ্গালী ভোজন রসিক। তাই রেস্টুরেন্ট ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য আরেকটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া। বর্তমানে শুধু শহর নয় গ্রামের মানুষও রেস্টুরেন্টে খেতে অভ্যস্ত।
তাই ১০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
১৫। কম্পিউটার সার্ভিস
একটি কম্পিউটার দোকান দিয়ে সেখানে বিভিন্ন প্রকারের অনলাইন সার্ভিস দেওয়া যেতে পারে। যেমনঃ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন, টিকার আবেদন, জায়গা জমির দলিল লিখন, ভর্তির আবেদন ইত্যাদি।
১৬। প্লাস্টিক ব্যবসা
কাচ ও চিনামাটির পণ্যের পাশাপাশি বর্তমানে প্লাস্টিকের চাহিদাও বেড়েছে। তাই বিভিন্ন পণ্য এখন প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয় যেমনঃ জগ, গ্লাস, ঝুড়ি ইত্যাদি।
ভাঙারি ব্যবসায়ীর থেকে কমদামে প্লাস্টিক কিনে সেটি রিসাইকেল করে বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকায় ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
১৭। ফুড কার্ট ব্যবসা (১০০০ টাকার ব্যবসা)
অনেক বেকার যুবকেরই ব্যবসা শুরু করার জন্য খুব বেশি পরিমাণ অর্থ থাকেনা। তাই তাদের জন্য ফুড কার্ট ব্যবসা হতে পারে ১০০০ টাকার ব্যবসা আইডিয়া।
মাত্র ১০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকায় ফুড কার্ট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনার ফুড কার্টে বিভিন্ন ধরণের খাবার বিক্রি করে মাসে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
১৮। নারিকেল সুপারির ব্যবসা (৫০০০ টাকার ব্যবসা)
এই ব্যবসাটি সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। কিন্তু আপনি একটু খোঁজখবর নিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন নারিকেল ও সুপারির চাহিদা কেমন।
নারিকেল -সুপারির চাহিদা এক কথায় আকাশচুম্বী। খুচরা মূল্যে কৃষকের থেকে নারিকেল ও সুপারি কিনে সেটি ভালো দামে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা যায়। এটি খুবই লাভজনক ব্যবসা।
এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য ৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। আর এই ব্যবসা করে মাসে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
১৯। পোশাক রিসেলিং ব্যবসা (বিনা পুঁজির ব্যবসা)
অনেক তরুণ-তরুণী ব্যবসা করতে চায়। কিন্তু এক্ষেত্রে পুঁজি একটি বিরাট সমস্যা। সবার কাছে যথেষ্ট পুঁজি না থাকায় থাকায় অনেকেই ব্যবসা শুরু করতে পারেন না। যাদের পুঁজি একেবারেই নেই বা অল্প তারা পোশাক রিসেলিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
অনলাইনে বিভিন্ন রিসেলার প্ল্যাটফর্ম আছে যারা রিসেলারদের বিনা পুঁজিতে ব্যবসার সুযোগ দেয়। এক্ষেত্রে আপনি কাস্টমারের থেকে জাম-কাপড় ও ফ্যাশন সামগ্রীর অর্ডার নিবেন। আর রিসেলার প্ল্যাটফর্মে কাস্টমারের ঠিকানা দিয়ে অর্ডার প্লেস করবেন। এক্ষত্রে রিসেলার প্ল্যাটফর্ম আপনার জন্য পাইকারি রেটে পণ্যের দাম ধরবে আর আপনি বাড়তি যত টাকায় বিক্রি করবেন সেটা আপনার লাভ হবে।
এক্ষেত্রে কাস্টমার হোম ডেলিভারি পাবে & তিনি প্রোডাক্টের মূল্য পরশোধ করলে রিসেলার প্ল্যাটফর্ম কর্তৃপক্ষ পণ্যের পাইকারি দাম রেখে আপনার লাভের অংশ আপনাকে দিয়ে দিবে। এক্ষেত্রে আপনার কোন পুঁজির দরকার নেই। আপনি শুধুমাত্র একটি ফেসবুক পেজ খুলেই এই ব্যবসা করতে পারেন।
বিঃদ্রঃ অনলাইনে এরকম বিভিন্ন রিসেলার প্ল্যাটফর্ম পেয়ে যাবেন
২০। পোল্ট্রি ব্যবসা
পোল্ট্রি ফার্মের ব্যবসাও যথেষ্ট লাভজনক। এখানেও আপনি অল্প টাকা বিনিয়োগ করে লাভজনক ব্যবসা করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে মুরগীর সম্ভাব্য রোগ ও সেগুলোর প্রতিকার-প্রতিরোধ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।
শেষ কথা
এখানে বিভিন্ন সম্ভাবনাময় ব্যবসা আইডিয়া তুলে ধরা হলো। তবে ব্যবসা শুরুর আগে সেই ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিয়ে নিবেন। অন্যথায় লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতির জন্য ট্রিক ব্লগ বিডি বা লেখক কোনোভাবে দায়ী থাকবেনা।
অনেক সুন্দর লিখেছেন। ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ!
ধন্যবাদ
অনেক সুন্দর লিখেছেন। ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ!
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।