গদ্য কবিতা——— এক মহাকাল
কবি—–হাফেজ আহমেদ রাশেদ
শোকের বাতায়নে দূষিত বাংলা হায়! হায়! ধ্বনির কল্লোলে হৃদপিণ্ড আড়ষ্ট, নয়নে ঝর্ণা বহে!
পিচাশীনি ও আতঙ্কে মরে অনুশোচনায়।
লাশ! লাশ! লাশ! উচ্ছাসে উৎকন্ঠিত আকাশ
লাশের গন্ধে ভারী বাতাস
মননবিহারী অন্তরের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে তার দাগ!
এই আগুন ঝরা ফাগুনে যেনো
গাছের লতাপাতা ছেড়ে দিয়ে মানুষ করেছে আচঁ!
এ যে বিধাতার ইঙ্গিতে নিয়তির নির্মম পরিহাস।
দেখো! দাউ দাউ আগুনে ঝলসে যাওয়া পিতার লাশের প্রতিক্ষায়
অবুঝ শিশু আছে দাঁড়ায়!
এ যেনো যেনো কলিজায় তীর নিক্ষেপিত দৃশ্য।ছেলেকে দু’সোহোদর বুক পাঁজরে আঁকড়ে রেখেও
শেষ রক্ষা হয়নি!
একটুকরো মাংস হলেও এনে দাও!
মমতা মেখে শেষ বিদায় দিতে জননীর হাহাকার!
আহ্ কি বিষাদময় আর্তনাদ
ভাবো ভাবো ওহে! মোহের আবেশে যে আচ্ছন্ন।,
এই আজ যারা মৃত্যুপুরি লাশের মিছিলের যাত্রী,
ওরা কি কল্পনা করছিলো গতকাল?
আজ তাদের নিয়েই ইতিহাস রচিবে এক মহাকাল!
- বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার নিয়ম ২০২৪ | খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন
- নম্বর সহ পরীক্ষার রেজাল্ট দেখার নিয়ম | সবার আগে ফলাফল দেখুন
- ডিজিটাল স্মার্টবোর্ড দিয়ে শিক্ষার নতুন দিগন্তের সূচনা!
- আধুনিক খাটের উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্যসমূহ
- কেন গিগাবিট রাউটার ছাড়া অন্য রাউটার কেনা উচিত নয়?
এক মহাকাল কবিতার বিস্তারিত
——————————————
“এক মহাকাল” কবিতাটি কবি হাফেজ আহমেদ রাশে ২১/২/২০১৯ ইং রচনা করেন।রক্তে রাঙানো সে ২১ ই ফেব্রুয়ারি আবারও আমার ভাই বোন মা বাবা ছেলে মেয়ে সহ সকল প্রিয়োজনদের রক্তে রঞ্জিত হয় হতভাগা সে ঢাকা শহর। কবি তাদের শোকে কবিতাটি রচনা করেন।
কবি বলেন শোকের উপর শোক আমার মায়ের কান্নায় দূষিত ঢাকা বায়ু গুলো আরো দূষিত হয়ে উঠে। বুক আর পাঁজর ব্যাথায় চোখে রক্ত আর অশ্রুর ঝর্ণা বয়ে যাচ্ছে। আমার ভাইয়ের লাশের গন্ধে আকাশ বাতাস ভারী হচ্ছে।
শরীরের প্রতি অঙ্গ জুড়ে রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই বিরহের দাগ পড়ছে।সরকারের অবহেলিতের দায়ল আকষ্মিক এ আগুন দাবনলের চেয়েও বেশি করুণে পরিণত হয়েছে। অতঃপর কবি বলেন যে, এটা বিধাতার আরশে আজিমে লেখা সে ভাগ্য যে থেকে বাঁচা অসম্ভব।
বিধাতার এ কেমন নিয়ম?পিতার লাশের অপেক্ষায় অবুঝ দুই জমজ শিশু!কবি বলেন এটা দেখে মনে হলো কেউ যেন বুকে তীর মারলো। বিধাতার এ নিয়ম থেকে রক্ষা হয়নি একটি অবুঝ শিশুরও! তাকে দুই ভাই জড়িয়ে বুকের মধ্যখানে রেখে ছিলো।
কবি এ কেমন পাঁজর ভাঙা আর্তনাদ! মা কেঁদে কেঁদে বলছে আমাকে একটি টুকরো গোস্তের অংশ দাও আমি আমার আদরের ছেলেকে শেষ মায়া দিয়ে দাফন সম্পন্ন করি। অবশেষে কবি আক্ষেপ করে বলেন হায়’রে জীবন!
একবার ভেবে দেখো হে পাষাণ হৃদয় এরা কি ভাবছিলো আজ তারা মৃত্যুর মিছিলে শরিক হবে?তাদেরকে নিয়ে হবে এক মহাকাল ইতিহাসের রচনা?@সম্পাদক