পরীক্ষার হলে থাকা অবস্থায় বা তার পরীক্ষার্থীদের কিছু করনীয় থাকে। পরিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় করণীয় সম্পর্কে ছোট মানুষ হয়েও কিছু উপদেশ দিলাম। ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
পরীক্ষার সময় করণীয়
পরীক্ষা দেওয়ার সময় মাথা ঠান্ডা রেখে পরীক্ষা দিতে হবে। সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে (যদিও আমি নিজেই এই কাজটি ঠিকভাবে করতে পারতামনা, তাই খুব একটা ভালো রেজাল্ট করতে পারিনি)।
পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার কিছু কৌশল সম্পর্কে একটি পোস্ট আছে। সেটি পড়ে নিতে পার। আশা করি উপকার হবে।
পোস্ট লিংকঃ পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার কৌশল ও ২০ টি কিলার টিপস
কলম, স্কেল, পেন্সিল ইত্যাদি আগে থেকেই প্রস্তুত রাখতে হবে। কয়েকটি কোম্পানির (অন্তত ২ টি) কলম সাথে রাখবে।
রুটিন থেকে পরীক্ষার তারিখ ঠিকভাবে দেখে নিবে। ভুল হলেও বড় ধরণের ঝামেলায় পড়তে হবে। ২০১৯ সালের জেএসসি, জেডিসি ও ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার রুটিন পেতে নিছের পোস্টটি দেখুন।
পোস্টঃ জেএসসি পরীক্ষা শুরু ২ নভেম্বর ২০১৯, এসএসসি ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০|রুটিন নিয়ে নিন
জেডিসি পরীক্ষার রুটিন ২০১৯ | ডাউনলোড pdf+jpg
সময় মতো পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌছাতে হবে। নিজের আসন খুঁজে নিতে পর্যাপ্ত সময় হাতে রাখতে হবে। পরীক্ষার সময় শিক্ষকদের সাথে নম্র ও ভদ্র ব্যবহার করতে হবে (এটা ছাত্রের বৈশিষ্ট্য, তবুও বললাম)।
সবগুলো প্রশ্ন আগে বুঝে নিবে, তারপর উত্তর লিখবে। অযথা উল্টাপাল্টা লিখে নম্বর পাওয়া সম্ভব নয়। যেই প্রশ্ন করা হয়েছে সেটিরই উত্তর লিখার চেষ্টা করবে। কিছু বুঝতে সমস্যা হলে অবশ্যই শিক্ষকে জিজ্ঞেস করবে।
ভুল হলে শিক্ষককে জানাও
কোন কিছু ভুল হলে অবশ্যই সেটি দায়িত্বরত হল গার্ড শিক্ষককে জানাতে হবে। নিজে থেকে ভুল ঠিক করতে যাওয়া বোকামি। শিক্ষকদের জানালে তারাই সেটার সমাধান দিবেন। তারা এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ।
আগে থেকেই সবকিছু প্রস্তুত রাখ
নিজের সাথে প্রবেশ পত্র ও রেজিষ্ট্রেশন কার্ড ছাড়া আর কিছুই রাখবে না। এতে তুমি বিপদে পড়তে পারো। এমনকি পূর্ববর্তী পরীক্ষার প্রশ্নও সাথে রাখা যাবেনা।
সাথে ঘড়ি রাখতে হবে
সাথে ঘড়ি রাখতে হবে। কারণ, পরীক্ষার হলে সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময়মাফিক সবকিছু করতে হয়। তাই একটা ঘড়ি সাথে থাকলে সেটি তোমার সময় মেইনটেইন করতে খুব সাহায্য করবে। আশা করি সবাই পরীক্ষার সময় করণীয় বিষয়গুলো মেনে চলবে।
সকলের পরীক্ষা ভালো হউক, ভবিষ্যত দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার জন্য আরো এক পা এগিয়ে যাও। এই কামনাই করি।
(ধরে নিচ্ছি পরীক্ষার্থীরা ফেসবুক বা ইন্টারনেটে নেই। তাদের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছে দিন)