বাংলা কবিতা- বেকারত্ব
কবি- মোঃ আরিফ হোসেন
বেকারের এই চুল্লিতে কেউ
একটু আগুন দে
আরেকটি বার বেঁচে থাকি
বাঁচার আনন্দে।
মরতে গেলেই ফাঁস কেটে যায়
পাশ কেটে যায় গাড়ি
জুড়তে গেলেই বিয়ের লগন
ঘর ছেড়ে যায় নারী।
বেকারের এই চুল্লিতে কেউ
একটা খড়ি দে
নয়তো আবার দা নিয়ে আয়
একটু মরি দে।
মরতে গেলেই মরার বিপদ
ওৎ পেতে রয় পাশে
বেকার স্বভাব দেখে মরণ
খিলখিলিয়ে হাসে।
বাবার কাঁধে বেকার ছেলে
লাশের মতই ভারি
সারাটিক্ষণ মনটা কাঁদে
যেতে সবই ছাড়ি।
বেকার জ্বালা মরার মতই
লাশের মতই মন
নিজের স্বভাব পাল্টে দিবো
এটাই তাদের পণ।
বেকারের এই চুল্লিতে কেউ
কাঠের টুকরো দে
ধিক ধিকিয়ে জ্বলুক আগুন
কাঁদুক ডুকরে যে।
আরো কবিতা পড়ুন……..
- ধর্ষিতা নারী কবিতা | মোঃ আরিফ হোসেন
- এ সময়ের ইশতেহার “অসুস্থ পৃথিবী” | মোঃ আরিফ হোসেন
- লকডাউনের কবিতা “কেমন আছি?” | কাজি আমিনুল ইসলাম
- চাল চুরি নিয়ে কবিতা “অন্ধকারে আয়না বেচি”
- করোনায় নয় ভয় | উৎসাহমূলক কবিতা | কাজী আমিনুল ইসলাম
বেকারত্ব কবিতার বিস্তারিত
বেকারত্ব কবিতাটি লিখেছেন কবি মোঃ আরিফ হোসেন। বাংলাদেশে বেকারত্ব একটি অভিশাপ। কবি মনে করেন বেকার লোক মৃত মানুষের মত।
এই কবিতায় কবি বেকারত্ব অভিশাপকে ছন্দ আকারে সবার সামনে তুলে ধরেছেন। কবি মনে করেন, মৃত ছেলের লাশ যেমন বাবার কাঁদে ভারী তেমনি বেকার ছেলেও কোন অংশে কম নয়।
বেকার ছেলে মৃত লাশের মতো। বেকারত্বের অভিশাপ বড় কঠিন অভিশাপ। অনেকেই সেটি সহ্য করতে পারেনা না। তাইতো কবি বলছেন তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে চান।
বেকারত্বের কারণে বিয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে। অনেক কিছু থেকে মানুষ বঞ্চিত হয়। তাই কবি বাঁচার মতো বাঁচতে চান। তা না হলে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে চান।