প্রযুক্তির এই যুগে যেমন স্মার্টফোন ছাড়া আমাদের চলে না, ঠিক তেমন সকল কাজের জন্য দরকার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ। পড়াশোনা থেকে শুরু করে বিনোদনের মাধ্যম, কাজের সহায়ক হিসেবে একটি পার্সোনাল ল্যাপটপের বিকল্প নেই।
তবে আমার দেশে ল্যাপটপ কিনতে গেলে অনেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে, আবেগের বশে বা অজ্ঞতার কারনে বেশি দামে কম ফিচারের ডিভাইস কিনে ফেলে। যা বেশ বড় একটা ভুল।
এটা অধিকাংশ ব্যবহারকারী করে থাকেন। তাই আমরা আজকে সাহায্য করবো কিভাবে আপনি সঠিক ল্যাপটপটি নির্বাচন করবেন।
আজ মূলত লেনেভো ল্যাপটপ নিয়ে কথা বলবো তবে আমাদের এই গাইডলাইন আশা করি আপনাদেরকে অন্য ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
আপনার বাজেটে কোন ডিভাইসটি হবে উপযুক্ত। ল্যাপটপ কেনার সময় অনেক ছোট বড় বিষয় মাথায় রাখা লাগে। যেমন বাজেট কত, সহজে বহনযোগ্য এবং দীর্ঘদিন পর্যন্ত বেশ ভাল সার্ভিস দেবে কিনা ইত্যাদি। আমরা বিশদে আলোচনা করব।
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ লেনেভো ল্যাপটপের দিকে ছুটছে। সেটা হতে পারে বিজনেস পারপাস, দৈনন্দিন কাজ, ফ্রিল্যান্সিং বা গ্রাফিক ডিজাইন অথবা গেমিং।
প্রথমেই আমাদের যে জিনিসটা মাথায় রাখতে হবে সেটা হলো বাজেট। এরপরে আসে আমরা কি কাজে ব্যবহার করব, সেটা সহজে বহনযোগ্য কিনা এবং অন্যান্য।
লেনেভো ল্যাপটপের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে জিনিসটা কম বাজেটের মধ্যে বেশ ভালো ধরনের ফিচারসহ ডিভাইস পাওয়া যায়। লেনোভো ল্যাপটপের মূল্য সম্পর্কে জানতে এখানে ভিজিট করুন।
আপনার বাজেটঃ
সহনীয় পর্যায়ের বাজেটের মধ্যে যদি আপনি কোন ল্যাপটপ খুঁজেন তাহলে অবশ্যই লেনেভো ল্যাপটপগুলো একটি ভালো পছন্দ হতে পারে। লেনোভোর হাই কনফিগারেশনের ল্যাপটপগুলো সর্বসাধারণের সাধ্যের মধ্যে থাকে। যাতে সব শ্রেণীর মানুষ ব্যবহার করতে পারে সেই কথাটা মাথায় রেখেই এই ধরনের ল্যাপটপগুলো মেকাররা বাজারে আনে।
যেখানে অন্যান্য ল্যাপটপের ক্ষেত্রে একই কনফিগারশনের ল্যাপটপ বাজার প্রায় এক লাখ এর কাছাকাছি চলে যায়। মিডিয়াম রেঞ্জ থেকে হায় রেঞ্জ প্রত্যেকটি ডিভাইসের মধ্যে পাবেন দুর্দান্ত ফিচার আর আপডেটেড ড্রাইভার।
যেমন দেখা যায় লেনেভো এর core i7 ল্যাপটপ গুলো আপনি প্রায় ৮০ হাজার থেকে পাবেনযেখানে অন্যান্য ল্যাপটপের ক্ষেত্রে একই কনফিগারশনের ল্যাপটপ বাজার প্রায় এক লাখ এর কাছাকাছি চলে যায়।
মিডিয়াম রেঞ্জ থেকে হায় রেঞ্জ প্রত্যেকটি ডিভাইসের মধ্যে পাবেন দুর্দান্ত ফিচার আর আপডেটেড ড্রাইভার। যেমন দেখা যায় লেনেভো এর core i7 ল্যাপটপ গুলো আপনি প্রায় ৮০ হাজার থেকে পাবেন।
এই বাজেটের মধ্যে সবাই অনেক সময় গ্রাফিক্স কার্ড প্রোভাইড করে না। আবার হাই র্যাম বা এসএসডি একটু কম থাকে। কিন্তু লেনেভো এদিক থেকে লেনেভো একটু ভিন্ন।
কী কাজে ব্যবহার করবেন?
এরপরে আসি আপনি কী কাজে ব্যবহার করবেন? কেনার আগে সেটা মাথায় রাখা উচিত। যেমন আপনি শুধু পড়াশোনার জন্য, মুভি দেখা, গান শোনা, কিছু রিপোর্ট তৈরির কাজে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে কম কনফিগারেশনের লেনেভো কোর আই ৫ এর ল্যাপটপ গুলো আপনার জন্য উপযুক্ত। যদি আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন, এডিটিং , লাইভ স্ট্রিমিং, গেমিং এর কাজে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে চান তাহলে ১৬ বা ৩২ জিবি র্যাম ও কোর আই ৭ , কোর আই ৯ কিংবা রাইজেন এর লেটেস্ট প্রসেসরসহ ডিভাইসগুলি হবে আপনার জন্য সেরা পছন্দ।
সহজে বহনযোগ্য কি?
লেনোভো ল্যাপটপ এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি সহজে বহন করা যায় এবং ওজন তুলনামূলক কম। নানা কারণেই বর্তমান প্রজন্ম লেনেভো ল্যাপটপের দিকে ঝুঁকছে। যদিও একেবারে হালকা সেটা বলা যাবে না কিছু কিছু বেশি কম হতে পারে। যদি আপনি সবচেয়ে বেশি পাওয়ারফুল এবং স্লিম ল্যাপটপ একসাথে চান তবে আপনার বাজেট একটু বাড়াতে হবে।
প্রয়োজনীয় ফিচারঃ
ল্যাপটপ কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে কী ধরনের বা কি কি সুবিধা আপনি পাচ্ছেন, ক্যামেরা, সাউন্ড সিস্টেম, ব্যাটারি ব্যাক আপ সবকিছু আপনার প্রোয়জনীয়তার সাথে মিলে কিনা।
প্রসেসর এবং র্যাম:
ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এর প্রসেসর এবং র্যাম। বাজারে প্রচলিত আছে এএমডি এবং ইন্টেল প্রসেসর। যদিও দু’ধরনের সিপিইউ ল্যাপটপের জন্য বেশ ভালো, তবে গ্রাফিক্স কার্ডের ক্ষেত্রে তারতম্য দেখা যায়।
যেমন ধরুন এমডি প্রসেসর পাওয়ারফুল কিন্তু গ্রাফিক্স এর ক্ষেত্রে এর কার্যক্ষমতা তুলনামূলক কম। অন্যদিকে ইন্টেল কোর আই সেভেন এবং কোর আই নাইন প্রসেসরগুলো গেমিং, ভিডিও এডিটিং -ফটো এডিটিং, অটোক্যাড রানিং, এনিমেশনের কাজ সহ এসব ধরনের কাজ করতে আপনাকে সাহায্য করবে।
লেনোভোর বেশ কয়েক ধরনের ল্যাপটপ রয়েছে। এর মধ্যে র্যাম- রমের তারতম্য আছে। একটু ভেবে দেখুন আপনার কাজের জন্য ঠিক কোন ধরনের ডিভাইস দরকার। অনেক সময় দেখা যায় প্রয়োজন রয়েছে বাড়তি মেমরী স্পেস বা একটু ভারী র্যাম।
এর সাথে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে প্রয়োজনে আপনি বাড়তি মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন কি। যদি আপনি কেবলমাত্র পড়াশুনার কাজে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে চান তাহলে ৪জিবি র্যামের ল্যাপটপ আপনার জন্য পারফেক্ট । মাল্টিটাস্কিং কাজের জন্য ৮ জিবি র্যামের এবং এবং হাই পারফ্ররমেন্সের জন্য যেমন গেমিং বা এডিটিং এর জন্য ১৬ বা ৩২ জিবি র্যামের ল্যাপটপ কিনতে পারেন ।
কোথা থেকে কিনবেন?
এই যে সামান্য তারতম্যের জন্য দেখা যায় ল্যাপটপের দাম বেশ কম হতে পারে। ধরুন, ছোট্ট একটি গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য আপনার বাজেট একটু বাড়াতে হতে পারে, বাড়তি সুবিধা পাবেন। ফিচার সহ বাজেট, ওজন, ব্যবহার প্রণালী সব মিলিয়ে লেনেভো ল্যাপটপ গুলো হতে পারে আপনার সবথেকে বড় সাহায্যকারী।
অন্য ডিভাইসের সাথে ফিচার এবং দামের তারতম্য বিশদে যাচাই করে নিতে পারেন। যেহেতু এখন নকলের যুগ, তাই অবশ্যই অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকে ক্রয় করা উচিত। আর এক্ষেত্রে mscsolution bd হতে পারে আপনার সহজ সমাধান। এই ওয়েবসাইট ভিজিট করে, লেনেভো সহ সকল ধরনের ল্যাপটপের ফিচার এবং দাম যাচাই করে নিতে পারেন।
শেষ কথা
যেহেতু এটি চাইলেই সহজে বদলানো বা পরিবতর্ন করা যায় না, তাই লেনেভো ল্যাপটপ কেনার আগে ভেবে চিন্তে, যাচাই করে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিব। বাজেট এর পাশাপাশি কি ফিচার পাচ্ছেন সেদিকেও খেয়াল করতে হবে। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান মতামতটি কমেন্ট জানিয়ে দিন।
ধন্যবাদ এমন তথ্যবহুল আর্টিকেল শেয়ার করার জন্য। অনেক উপকৃত হলাম।
সুন্দর করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।