কবিতাঃ যৌবন বেলা
কবিঃ সোলায়মান মাহমুদ
যখন তোমার পুকুর জুড়ে
ঝিনুক করতো বাস,
তখন তোমার সে পুকুরে
ছিলো বালি হাস।
পুকুর পাড়ে গাছের ডালে
ছিলো টিয়ের বাসা,
টিয়ের সাথে কথা বলতো
ঐ পুকুরের চাষা।
চাষা তখন টিয়ে পাখির
বুঝতো মনের ভাষা,
মুক্ত মনে ইতি টানলে
যুক্ত দিতো আশা।
ভালোলাগার সে নৌযানে
চাষা মুক্ত মাঝি,
মাঝি হয়ে সূর তুলিতে
ধরতো জীবন বাজি।
চাষার সাথে সূর মিলাতো
জোনাক পোকার দল,
মৌমাছিরা মৌছাক থেকে
আনতো মিষ্টি জল।
অজানা এক আবেগ ধরে
পুকুর খানা শেষ,
ভালোলাগার ইচ্ছে গুলো
ধ্বংস করছে দেশ।
—————————————-
যৌবন বেলা কবিতার বিস্তারিত
“যৌবন বেলা” শিরোনামে কবিতাটি কবি ৩/১২/২০১৮ ইং তারিখে কবি তার ভালোবাসার মানুষ(তানিয়া)কে ইঙ্গিত করে লেখেছেন।কবিতাটি স্বরবৃত্ত ৪+৪+৪+২/১ মাত্রায় লেখা।
কবি বুঝাতে চেয়েছেন মানুষের যৌবনকালে মানুষ গঠন মূলক ভাবেই সৌন্দর্য হয়,আর দেহের এই সাময়িক সৌন্দর্যে শতজন বন্ধু হয়ে নিকটে আসে।যেমন–একটি ঝিনুক ও পানি ভরতি পুকুরে হাসের অভাব থাকে না।
কিন্তু পুকুরটি শুকিয়ে গেলেই হাস গুলো আর আসে না,তেমনই যৌবন ও সৌন্দর্য শেষ হলে কোন মানুষ আর বন্ধু হতে চায় না বা বন্ধু থাকে না।
কবি তার ব্যক্তিগত অবিজ্ঞাতার কথা কবিতায় তুলে ধরেছেন। তাই কবি তার ভালোবাসার ব্যক্তিকে টিয়ের সাথে তুলনা দিয়েছেন।আর কবি নিজেকে চাষাও মাঝি ভেবেছেন।
তারপর কবি বলেন–চাষা তখন টিয়ে পাখির বুঝতো মনের ভাষা,মুক্ত মনে ইতি টানলে যুক্ত দিতো আশা।
কবি এ চরণে বুঝাতে ছেয়েছেন কবি তার প্রেমিকার চেহারা বা কথার ঢং দেখে তার মনের কথা বুঝতেন,এবং ততক্ষণে তাকে কোন একটা আশ্বাস দিতেন।
তারপর কবিকে যারা সহযোগিতা করছেন কবি তাদের কথাও তুলে ধরেছেন আর কবি তাদেরকে বিশেষ কারণে জোনাক পোকা ও মৌমাছির সাথে উপমা দিয়েছেন।
তারপর কবি বলেছেন—ভুল আবেগে তার প্রেমিক তার থেকে হারিয়ে যায়,আর তার যত ইচ্ছে ছিলো সামাজিক বাধার কারণে সব ধ্বংস হয়ে যায়। ————-
বিঃ দ্রঃ]
টাইপিং এ শাব্দিক ভুল হলে জানাবেন কিন্তু