আমেরিকা বা যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে অন্যতম জনবহুল দেশ। এখানে অনেক অভিবাসী থাকেন। বাংলাদেশের অনেক ভাই বোনেরা সেখানে স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে থাকেন। অনেকেই দেশে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে টাকা পাঠায়। টাকা পাঠাতে অনেকেই ঝামেলায় পড়েন। তাই আজকে বিষয় বিকাশে আমেরিকা থেকে টাকা পাঠানোর নিয়ম।
আগে সরাসরি বৈধ উপায়ে বিকাশের মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর উপায় ছিলনা। কিন্তু বর্তমানে বৈধ উপায়ে আমেরিকা থেকে দেশে টাকা পাঠানো যায়। আর এটি খুব সহজ নিয়ম।
আমেরিকা থেকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
প্রথমে বিকাশে টাকা পাঠানোর নির্দিষ্ট এক্সচেঞ্জ হাউজ অথবা ব্যাংকের শাখায় যেতে হবে। সেখানে আপনি তাদের বলুন, কত ডলার পাঠাতে চান। তারা কারেন্সি চ্যাক করে বলবে এটা বাংলাদেশি টাকায় কত হবে।
এরপর আপনি কোন বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে চান সেটা জানতে চাইবে। সেই নম্বর বলুন। এরপর রেমিটেন্স ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমটি অবশ্যই সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
এই প্রক্রিয়া শেষ হলে এজেন্ট অথবা ব্যাংকের কর্মকর্তারা ফরম চ্যাক করে নিবেন। আর আপনার টাকা মূহুর্তেই দেশে বিকাশ একাউন্টে পাঠিয়ে দিবেন। আর এখন ঘরে বসেই বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়। আমেরিকা থেকে খুব সহজেই ট্রান্সফাস্ট এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায়।
আরো পড়ুন…….
- বিকাশে পল্লী বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের নিয়ম ও বিল চেক ২০২৪
- বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম | কোড ও অ্যাপ
- বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম | সাথে ১০০ টাকা বোনাস
- বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম ও সম্পূর্ণ গাইডলাইন
- একটা NID দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায় এবং কেন?
আমেরিকা ও অন্য যেকোন দেশ থেকে টাকা পাঠাতে আপনি যা যা করবেন
- আমেরিকায় অবস্থানরত আপনার নিকটবর্তী তালিকাভূক্ত ব্যাংক/এক্সচেঞ্জ হাউজে যান।
- তালিকাভূক্ত ব্যাংক/এক্সচেঞ্জ হাউজের এজেন্টকে জানান যে আপনি বিকাশ- এর মাধ্যমে বাংলাদেশে রেমিটেন্স/টাকা পাঠাতে চাচ্ছেন।
- তালিকাভূক্ত ব্যাংক/এক্সচেঞ্জ হাউজের রেমিটেন্স আবেদন ফরমটিতে বিকাশ সম্পর্কিত স্থানগুলো যথাযথভাবে পূরণ করুন।
- তালিকাভূক্ত ব্যাংক/এক্সচেঞ্জ হাউজের এজেন্ট আপনাকে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাহায্য করবেন।
আরো পড়ুনঃ বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
এজেন্ট যা যা নিশ্চিত হয়ে নিবেন
- প্রাপকের মোবাইল নম্বরটি একটি নিবন্ধনকৃত বিকাশ একাউন্ট যা বিকাশ-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ মোবাইল অপারেটরের নম্বর। বর্তমানে রবি, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক অথবা এয়ারটেল নম্বর, অর্থাৎ, ০১৮, ০১৭, ০১৩, ০১৯, ০১৪, ১০৫ অথবা ০১৬, বিকাশ-এর চুক্তিবদ্ধ পার্টনার।
- প্রাপকের বিকাশ একাউন্ট নম্বরটি সঠিক
- একাউন্ট নম্বরটি যথাস্থানে সঠিকভাবে এবং স্পষ্টভাবে লিখা হয়েছে
- পাঠানো মুদ্রামান বাংলাদেশী টাকায় নির্ধারিত সীমার মধ্যে আছে।
আরো বিস্তারিত জানতে বিকাশের এই পোস্টটি দেখুন
বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর সুবিধা
আমেরিকা থেকে বিকাশে বৈধ উপায়ে টাকা পাঠালে দেশের অর্থনীতি উন্নত হবে। সরকারের রাজস্ব সমৃদ্ধ হবে।
বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম হচ্ছে বিকাশ। তাই খুব কম সময়েই দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন। মাঝে মাঝে রেমিটেন্স পাঠালে ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
অসুবিধা সমূহ
বিকাশে টাকা পাঠালে কিছু অসুবিধাও আছে। আপনি একসাথে ১,৫০,০০০ এর বেশি টাকা পাঠাতে পারবেন না। আর খুব বেশি এক্সচেঞ্জ হাউজও বর্তমানে নেই। বিশ্বের সকল দেশে বিকাশের এক্সচেঞ্জ হাউজ ও এজেন্ট ব্যাংকগুলোর তালিকা দেখুন।
আগামীতে কাজে লাগবে
জ্বি, অবশ্যই