অনেকেই এলার্জির জ্বালাযন্ত্রণায় অস্থির। তাই আজকে জানাবো এলার্জি থেকে বাঁচার উপায় ও এলার্জি কমানোর উপায়। একইসাথে জানাবো কিভাবে আমি এলার্জি থেকে চিরতরে মুক্তি পেলাম। তাই আর দেরি না করে মূল লেখায় চলে যাই।
এলার্জি একটা অসহ্যনীয় ব্যাধি। যা জীবনকে নিয়মিত তিক্ত করে গড়ে তোলে। এলার্জিতে হাঁচি থেকে শুরু করে খাদ্য ও ওষুধের ভীষণ প্রতিক্রিয়া ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
দীর্ঘকাল এলার্জি থেকে আপনার হাঁচি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। তখন আপনার কাছে মনে হবে জীবন মানে বেদনা।
এলার্জি কতটা ভয়ংকর রূপ নিতে পারে এটা শুধু ভুক্তভোগীরাই বুঝে। আমি নিজেই এই এলার্জি নিয়ে দু’বছর ভুগেছিলাম। হয়তো বন্ধুদের সাথে খেলতে গিয়েছি তখনই দেখা দিলো প্রচন্ড এলার্জি।
সারা গায়ে চুলকানি, শেষ পর্যন্ত আর খেলা হয়নি।অথবা প্রিয়জনের সাথে ঘুরতে গিয়েছি। হালকা রৌদ্র বা হালকা দৌড়াদৌড়িতেই সারা গায় চুলকানি শুরু।এই নিয়ে কয়েক-ডজন ডাক্তারও পরিবর্তন করেছি। কোন কাজেই আসলো না।
যতদিন ওষুধ চলতো ততদিন ভালো। ওষুধ শেষে আবার আগের মতোই শুরু হতো। তাই আমি এলার্জি কমানোর উপায় সম্পর্কে অনেক চিন্তা করি।
পরে এ নিয়ে দীর্ঘ ৩ মাস রিসার্চ করি। বিশ্বাস করুন আমার রিসার্চের ফলাফল নিয়ে এই লেখাটার উপর কাজ করলে ১০০% আপনার এলার্জি ভালো হয়ে যাবে।
এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা
আমার করা নিচের পদ্ধতিটি পালন করতে পারেন। এলার্জি কমানোর উপায় হিসেবে এটি দারুণ কাজে দিবে।
- ১) এক কেজি নিম পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিবেন।
- ২) ওই নিম পাতা গুলোকে পাটায় পিষুন এবং ভালো করে গুড়ো করুন।
- ৩) ভালো একটি পট/বতল (কৌটায়) ভরে রাখুন।
- ৪) পটটা (কৌটা) শুষ্ক ও ঠান্ডা জায়গায় রাখুন।
- ৫) এক গ্লাস আর্সেনিক মুক্ত পানি নিন।
- ৬) এক চা চামচের অর্ধাংশ নিম অথবা এক তৃতীয়াংশ নিম ওই পানিতে ঢালুন।
- ৭) এক চা চামচ ইসবগুলের ভুসিও ওই পানিতে ঢালুন।
- ৮) নিম পাতা ও ভুসিকে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
- ৯) আধা ঘন্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।
- ১০) সকালে খালি পেটে এক গ্লাস নিমের শরবত পান করুন।
- ১১) দুপুরে ভরা পেটেও এক গ্লাস নিমের শরবত পান করুন।
- ১২) রাতে ঘুমানোর পুর্বেও এক গ্লাস নিমের শরবত পান করুন।
- ১৩) কোন ধরনের কোন বিরতি ছাড়াই টানা ২১ দিন পান করুন।
- ১৪) সাত দিন থেকে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ফলাফল পাবেন ১০০% ইনশাআল্লাহ।
- ১৫) শরবত খাওয়ার ২১ দিনে ওইসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন যা খেলে আপনার এলার্জি হয়।
এলার্জি হলে কি কি সমস্যা হয়?
এলার্জি হলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন: ত্বকের লাল রঙ ধারণ, চামড়ায় লাল চাকা চাকা হয়ে যাওয়া বা শরীরের কোন অঙ্গ ফুলে ওঠা।
এছাড়াও হাঁচি, কাশি, সর্দি হতে পারে। সবচেয়ে গুরুতর ক্ষেত্রে – বমি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট কিংবা অ্যানফিল্যাকটিক শক দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও এলার্জির কারণে আরো বিশেষ কিছু সমস্যা হতে পারে। তাই আমাদের অবশ্যই এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে।
আরো পড়ুন.……
- গাড়িতে বমি হওয়ার কারণ ও গাড়িতে বমি বন্ধ করার উপায়
- টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ৮ টি উপায় | খাবার, চিকিৎসা এবং ঔষধ
- ঘুমের ঔষধের নাম কি? | দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার উপায়
- কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার (ভিডিও সহ)
- লিভার ভালো রাখার উপায় | খাবার, ব্যায়াম, ঔষধ
কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে
এলার্জি আছে এমন খাবারের সংখ্যা কম নয়। তবে এদের মধ্যে কিছু কমন খাবার আছে যেগুলোতে বেশিরভাগ মানুষেরই এলার্জির সমস্যা হয়। এমন খাবারের একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
- দুধ
- গরুর মাংস
- হাসের ডিম
- চিনাবাদাম
- বিভিন্ন প্রকারের মাছ
- চিংড়ি
- বাদাম
- খোল ওয়ালা প্রাণি
- বেগুন
- গাজর
- টমেটো
- কলা
- কাজু
- পেস্তা
- আমন্ড
- আখরোট
- গমের আটা ইত্যাদি।
এলার্জি জাতীয় মাছের তালিকা
বিভিন্ন খাবার খেলে আপনার এলার্জি বেড়ে যেতে পারে। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের মাছও রয়েছে। যে মাছগুলো খেলে এলার্জি সমস্যা বেড়ে যায়।
এলার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এবার চলুন এলার্জি জাতীয় মাছের কিছু তালিকা দেখে নেই। এখানে উল্লেখ্য, কারো কারো নির্দিষ্ট কিছু মাছে এলার্জি থাকে।
- স্যালমন
- চিংড়ি (যদিও এটি মাছ নয়)
- টুনা
- ম্যাকরলে
আশা করি লেখাটি ভালো লেগেছে। আরো স্বাস্থ্য বিষয়ক আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও সম্পূর্ণ ফ্রীতে, শুধু মোবাইল কল খরচ দিয়ে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে কল করুন 16263 নম্বরে।