ঘুমের ঔষধের নাম কি? | দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার উপায়

ঘুমের সমস্যা হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। অনিদ্রা আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপনকে বাধাগ্রস্থ করে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ঘুমের সমস্যা হলে এটি শারিরিক নানা জটিলতা তৈরি করে। তাই অবহেলা না করে দ্রুত এর চিকিৎসা করা উচিত।

এই আর্টিকেলে ঘুমের ঔষধের নাম কি সেই বিষয়ে আলোচনা করব। তবে ঘুমের ঔষধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়। কারণ ব্যক্তিভেদে এই ঔষধের মাত্রা ও পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। এছাড়াও ঔষধ ছাড়া কিভাবে ঘুমের পরিমাণ বাড়াতে পারেন সেই বিষয়েও কিছু টিপস থাকবে।

যেহেতু আর্টিকেলটি মূলত ঘুমের ঔষধের নাম সম্পর্কে তাই আগে আমরা ঔষধের নামগুলো দিব। এরপর অন্যান্য আলোচনায় যাব।

ঘুমের ঔষধের নাম কি

জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত ৫০ টি ঘুমের ঔষধের নাম

এ পর্যায়ে বাংলাদেশে ব্যবহৃত হয় এমন জনপ্রিয় ৫০ টি ঘুমের ঔষধের নাম নিচে তুলে ধরা হলো।

  1. Ramelta (Ramelteon)
  2. Lorapam (Lorazepam)
  3. Nitrest (Zolpidem Tartrate)
  4. Hypnoclone (Zopiclone)
  5. Lozicum (Lorazepam)
  6. Trapex (Lorazepam)
  7. Epam (Nitrazepam)
  8. Nitrazepam (Nitrazepam)
  9. Azepam (Diazepam)
  10. Easium (Diazepam)
  11. Evalin (Diazepam)
  12. Rozam (Diazepam)
  13. Sedil (Diazepam)
  14. Temixil (Temazepam)
  15. Alprax (Alprazolam)
  16. Xanax (Alprazolam)
  17. Xiotic (Alprazolam)
  18. Zolax (Alprazolam)
  19. Zolium (Alprazolam)
  20. Arotril (Clonazepam)
  21. Cloma (Clonazepam)
  22. Clon (Clonazepam)
  23. Clonafix (Clonazepam)
  24. Clonapin (Clonazepam)
  25. Clonatril (Clonazepam)
  26. Clonium (Clonazepam)
  27. Cloron (Clonazepam)
  28. Conpan (Clonazepam)
  29. Denixil (Clonazepam)
  30. Disopan (Clonazepam)
  31. Epitra (Clonazepam)
  32. Leptic (Clonazepam)
  33. Lonapam (Clonazepam)
  34. Myotril (Clonazepam)
  35. Pase (Clonazepam)
  36. Rivotril (Clonazepam)
  37. Xyclon (Clonazepam)
  38. S-clon (Eszopiclone)
  39. Sleepwel (Eszopiclone)
  40. Sominex (Eszopiclone)
  41. Sono (Eszopiclone)
  42. Zopilone (Eszopiclone)
  43. Slipaid (Doxepin)
  44. Somopin (Doxepin)
  45. Filfresh (Melatonin)
  46. Melonin (Melatonin)
  47. Somarant (Suvorexant)
  48. Suvo (Suvorexant)
  49. Suvotol (Suvorexant)
  50. Suvorest 10fc (Suvorexant)

জনপ্রিয় কিছু ঘুমের ঔষধের জেনেরিক নাম

  1. Zolpidem Tartrate
  2. Zopiclone
  3. Lorazepam
  4. Nitrazepam
  5. Diazepam
  6. Temazepam
  7. Alprazolam
  8. Clonazepam
  9. Eszopiclone
  10. Flurazepam
  11. Doxepin
  12. Melatonin
  13. Ramelteon
  14. Suvorexant

আরো পড়ুনঃ কোন ঔষধের দাম কত?

ঘুমের গুরুত্ব

ঘুম মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ঠিকমতো কাজ করতে সহায়তা করে। কিন্তু ঠিকঠাক ঘুম না হলে মানসিক অস্থিরতা, তন্দ্রাভাব, দুশ্চিন্তা, কাজে মন না বসা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং অন্যান্য শারিরিক সমস্যা হতে পারে।

অন্যদিকে এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে এটি দীর্ঘস্থায়ী জটিল সমস্যার তৈরি করতে পারে। যেমন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্লিপ অ্যাপনিয়া, শরীরের ক্যান্সার ইত্যাদি।

বুঝতেই পাচ্ছেন ঘুম মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই এই সমস্যাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

ঘুমের সমস্যা কেন হয়?

বিভিন্ন কারণে ঘুমের সমস্যা বা অনিদ্রা হতে পারে। তবে সাধারণ কিছু কারণ হলো দুশ্চিন্তা, অস্থিরতা, কোন কারণে ভয় পাওয়া, অতিরিক্ত কম্পিউটার ও মোবাইল ব্যবহার করা, শারিরিক পরিশ্রম না করা ইত্যাদি। এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।

ঘুমের ঔষধের প্রয়োজনীয়তা

অনিদ্রা বা ঘুম না আসা বা না হয় একটি সাধারণ সমস্যা। অনেকেরই এই সমস্যা হয়ে থাকে। তবে সাধারণ কিছু নিয়মকানুন মেনে চলছে অনেকের ক্ষেত্রেই এই সমস্যাটি সেরে যায়। তবে অনেক সময় ঘুমের সমস্যা খুবই জটিল আকার ধারণ করে। যার থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকেরা বিভিন্ন প্রকারের ঘুমের ঔষধ প্রেসক্রাইব করে।

ঔষধ ছাড়া দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার উপায়

ঔষধ কখনো সমস্যার সমাধান হতে পারেনা। যখন আর বিকল্প উপায় থাকেনা তখনই ডাক্তাররা আমাদের ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। ঘুমের ক্ষেত্রেও আপনি কিছু কাজ করলে ভালো ফলাফল পেতে পারেন। সেগুলো হলোঃ

নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়াঃ প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। এতে খুব দ্রুত সময়েই ঘুম আসবে।

শারিরিক পরিশ্রমঃ প্রতিদিন শারিরিক পরিশ্রম হয় এরকম কাজ করলে ঘুমের পরিমাণ বাড়ে। তাই শারিরিক পরিশ্রম করার চেষ্টা করুন।

ব্যায়াম ও খেলেধুলাঃ শারিরিক ব্যায়াম ও খেলাধুলা আপনার ঘুমের পরিমাণকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলা করুন। এমন খেলাধুলা হতে হবে যাতে শারিরিক পরিশ্রম হয়, যেমনঃ ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, মেডমিন্টন ইত্যাদি। লুডু, দাবা, মোবাইল গেম হলে হবেনা।

মোবাইল ও কম্পিউটারের ব্যবহার কমানঃ মোবাইল ও কমিউটারের অতিরিক্ত ব্যবহারই অনেকে ক্ষেত্রে আমাদের অনিদ্রার মূল কারণ। তাই এগুলো ব্যবহার যথাসম্ভব কমাতে হবে। ঘুমানোর কয়েক ঘন্টা আগে মোবাইল ও কম্পিউটার ব্যবহার বন্ধ করুন।

ধুমপান ও মদ্যপানের পরিমাণ কমানঃ ধুমপান ও মদ্যপান বন্ধ করুন বা কমিয়ে দিন। এটি অনেক ক্ষেত্রে অনিদ্রার জন্য দায়ী।

চা-কফি কম পান করুনঃ কফিতে কেফেইন থাকে। যা আমাদের ঘুমের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। চা ও আমাদের ঘুমের পরিমাণ কমায়। তাই চা ও কফি পান করা কমাতে হবে। বিশেষ করে রাত্রীবেলা এগুলো পান করা বন্ধ করুন।

দুশ্চিন্তা কমানঃ দুশ্চিন্তা মানুষের ঘুমের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। একইসাথে অনিদ্রার মতো সমস্যা তৈরি করে। তাই দুশ্চিন্তা যথাসম্ভব পরিহার করা উত্তম।

ডাক্তারের পরামর্শ নিনঃ সব চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সতর্কতা

আমাদের দেওয়া ঔষধের তালিকা দেখে নিজে নিজে কোনো ঔষধ খাবেন না। ব্যক্তিভেদে ঔষধের মাত্রা ও পরিমাণের তারতম্য হয়। যা একজন ডাক্তারই সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে পারেন। তাছাড়া ঘুমের সমস্যার প্রকৃত কারণ না জেনে ঔষধ খাওয়া যাবেনা। একজন ডাক্তার আপনাকে সেই বিষয়ে সাহায্য করতে পারেন।

তাছাড়া প্রত্যেকটি ঔষধের কোন না কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। একজন চিকিৎসক সেই ঝুঁকির কথা ভালোভাবে জানেন ও সেটি মাথায় রেখে এব্যাপারে সঠিক চিকিৎসা দিতে পারেন। তাই সরাসরি ডাক্তার দেখাতে না পারলে অন্তত স্বাস্থ্য বাতায়ন হেল্পলাইন 16263 নম্বরে কল করে ফ্রিতে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

বিঃদ্রঃ স্বাস্থ্য বাতায়নে কল করলে মোবাইল থেকে কোন টাকা কাটেনা

শেষ কথা

আশা করি ঘুমের ঔষধের নাম কি এই বিষয়ক লেখাটি পড়ে আপনি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। এরকম সব তথ্যবহুল লেখা পড়তে ট্রিক ব্লগ বিডির সাথেই থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top