ওয়েবসাইটের স্পীড ও র‍্যাংকিং বাড়ান | ১০০% প্রমাণসহ

ওয়েবসাইটের স্পীড বাড়াতে কে না চায়? কেনই বা চাইবেন না? ওয়েবসাইটের স্পীড গুগলের র‍্যাংকিং ফেক্টর। যেই সাইট যত ফাস্ট, সেই ওয়েবসাইট তত ভালো র‍্যাংক পায়। তাই আজকে মাত্র তিনটি উপায়ে ১০ মিনিটে ড বাড়ানোর ট্রিক শেয়ার করবো। কোনোমতেই মিস করবেন না।

ওয়েবসাইটের স্পীড ও র‍্যাংকিং বাড়ান
ওয়েবসাইটের স্পিড ও র‍্যাংকিং বাড়ান

আমি কথা দিচ্ছি, এই পোস্টটির বিকল্প কোনো পোস্ট এখন পর্যন্ত বাংলা ভাষার কোনো সাইটে পাবেন না। আমার এই পোস্টটি অনুসরণ করলে খুব দ্রুতই আপনি গুগলে র‍্যাংক পাবেন।

কেনো ওয়েবসাইটের স্পীড বাড়াতে হয়?

গুগলে র‍্যাংক পেতে

যেই ওয়েবসাইট দ্রুত লোড হয় সেটি খুব সহজেই গুগলের ১ম পেজে চলে আসে। আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এটার প্রমাণ পেয়েছি। তাই একটি সাইটকে ফাস্ট হতে হয়।

সাইটের স্পীড বাড়ালেই ২-৫ দিনের মধ্যেই সেটার প্রভাব সাইটে লক্ষ্য করবেন। আপনার সাইটের সকল পোস্ট গুগল র‍্যাংকিংয়ে এগিয়ে আসবে। আর ভিজিটর খুব দ্রুত বাড়বে।

কেউ গুগলে সার্চ করলো। যেই সাইটের লিংকে ক্লিক করলেই ১-২ সেকেন্ডে লোড হয় সেই সাইটে মানুষ লেখাগুলো পড়ে। এটি ইউজার এনগেজমেন্ট বাড়ায়। আর এটিও গুগলের র‍্যাংকিং ফেক্টর। সেই সাইট র‍্যাংকিংয়ে আরো এগিয়ে আসে।

আর যেই সাইট লোড হতে ৬ সেকেন্ডের বেশি সময় লাগে সেটি কম ভিজিট হয়। কারণ, ভিজিটররা এতো সময় বসে থাকতে চায়না। তারা ব্যাক বাটনে ক্লিক করে সার্চ পেজে আবার ফিরে আসে।

এটি ঐ সাইটের ইউজার এনগেজমেন্ট কমিয়ে দেয়। ফলে গুগল বুঝে যায়, ভিজিটররা সাইটটি ভিজিট করতে সমস্যায় পড়ছে বা বিরক্ত হচ্ছে। তাই গুগল সেই সাইটকে ১ম পেজ থেকে সরিয়ে দেয়।

তাই সাইটে বেশি ভিজিটর পেতে ও ভালো র‍্যাংক পেতে সাইট লহুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ভিজিটর ধরে রাখতে

ধরুন, আপনি একটি ওয়েবসাইটে ভিজিট করলেন। সাইটটি সম্পূর্ণ লোড হতে ৫-১০ সেকেন্ড সময় লাগলো। এতো সময় নিয়ে আপনি কি বসে থাকবেন?

নিশ্চয়ই আপনি একটি পেজে ভিজিট করতে এতো সময় নিতে চাইবেন না। বেশিরভাগ ভিজিটরই তাই করেন। যেই ওয়েবসাইট খুব দ্রুত (০.০১-২ সেকেন্ডের মধ্যে লোড হয়) সে সাইট ভিজিট করতে পছন্দ করে।

তাই সাইটের ড কম হলে ভিজিটর ধরে রাখা সম্ভব হয়না। মানুষ সাইটে একবার ভিজিট করলে আর সেই সাইটে ফিরে আসেনা।

অর্থাৎ, সাইটে ভিজিটরকে আকৃষ্ট করতে ও ভিজিটর ধরে রাখতে সাইট স্পীড খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কীভাবে ওয়েবসাইটের স্পীড বাড়ানো যায়?

অনেক মানুষ অনেক উওয়ায়ে সাইটের স্পীড বাড়ায়। তবে আমি কঠিন কিছু করতে বলবো না। ৩ টি সহজ উপায় আপনাদের জানাবো। সেগুলো করলেই আপনি সহজেই সাইটের গতি বাড়াতে পারবেন।

যে যে উপায়ে আমরা সাইটের স্পীড বাড়াবোঃ

  • ক্লাউডফ্লেয়ার সিডিএন (Cloudflare CDN)
  • ডব্লিউ পি রকেট প্লাগিন (WP rocket plugin)
  • এ ত্রি লেজি লোড প্লাগিন (A3 lazy load plugin)

সবার আগে আপনার সাইটের বর্তমান স্পীড স্কোর দেখে নিন। এজন্য Gtmetrix.com ব্যবহার করুন। চলুন, এক এক করে সবগুলো উপায় জেনে নেই।

ক্লাউডফ্লেয়ারে সাইটকে যুক্ত করুন

ক্লাউডফ্লেয়ার (Cloudflare) এক ধরণের সিডিএন (CDN=Content Delivery Network)। এটি আপনার সাইটকে যেমন দ্রুত করবে একইসাথে সাইটকে নিরাপদও করবে।

খুব সহজেই সাইটকে ক্লাউডফ্লেয়ারে যুক্ত করা যায়। এ ব্যাপারে আমাদের সাইটে একটি ইংরেজি পোস্ট আছে। পোস্টের শিরোনাম “Speed up site with Cloudflare and optimize loading time”। পোস্টটি দেখে নিতে পারেন।

ক্লাউডফ্লেয়ারের A-Z

A3 lazy load প্লাগিন ইন্সটল করুন

ওয়েবসাইট মানেই ইমেজ বা ফটো থাকবেই। কিন্তু এই ইমেজই সাইটের স্পীডকে কমিয়ে দেওয়ার জন্য বড় ভূমিকা পালন করে। তাহলে কি সাইট থেকে ইমেজগুলো ডিলিট করে দিবেন?

না, সেটা করা যাবেনা। কারণ, সাইটে কোনো ফটো না থাকলে সেটা ভিজিটরকে আকর্ষণ করতে পারেনা। তাছাড়া একটি ফটোর মাধ্যমে অনেক তথ্য একসাথে দেওয়া যায়।

তাহলে কি করবো? হুম, সেটাই চিন্তার বিষয়। তবে সেই চিন্তাই এখন দূর করার জন্য একটি ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন নিয়ে আসলাম। প্লাগিনটির নাম হচ্ছে, a3 lazy load. এটি সেটাপ করা খুবই সহজ।

Lazy load image settings (ওয়েবসাইটের স্পীড বাড়ানোর নিয়ম)
Lazy load image settings
Lazy load videos and iframes settings(ওয়েবসাইটের স্পীড বাড়ানোর নিয়ম)
Lazy load videos and iframes settings

ডব্লিউ পি রকেট Wp Rocket

Wp rocket প্লাগিনটি একটি ক্যাশিং প্লাগিন। বর্তমানে এটি খুবই জনপ্রিয় ক্যাশিং প্লাগিন। এই প্লাগিনের মাধ্যমে সাইটের স্পীডকে রকেটের মতো বাড়ানো যায়।

প্লাগিনটি ইন্সটল করে কিছু কাস্টমাইজ করতে হবে। সেটি নিচের ধাপ অনুযায়ী সম্পন্ন করুন।

  • ১ম ধাপে প্লাগিনটি আপলোড করে ইন্সটল করুন।
  • ২য় ধাপে cache অপশনে গিয়ে নিচের ফটোর মতো অপশনগুলো টিক মার্ক দিয়ে save changes এ ক্লিক করুন।
cache option settings (wp rocket)(ওয়েবসাইটের স্পীড বাড়ানোর নিয়ম)
cache option settings (wp rocket)
  • ৩য় ধাপে File optimize অপশনে গিয়ে সবগুলো বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে save changeg ক্লিক করুন।
File optimize (wp rocket) (ওয়েবসাইটের স্পীড বাড়ানোর নিয়ম)
File optimize (wp rocket)
  • ৪র্থ ধাপে Media অপশনে গিয়ে নিচের ছবির মতো সেটিংস গুলো করে Save changes এ ক্লিক করুন।
Media settings (wp rocket)
Media (wp rocket)
  • ৫ম ধাপে Preload অপশিনে নিচের ছবির মতো সবগুলো বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে save changes লেখায় ক্লিক করুন।
preload settings (wp rocket)
preload settings (wp rocket)

আপনি চাইলে আরো এডভান্স কিছু কাস্টমাইজ করতে পারেন। এখান থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী ক্লাউডফ্লেয়ার CDN কেও যুক্ত করে নিতে পারেন। বুঝতে সমস্যা হলে নিচের ভিডিওটি দেখুন।

wp rocket সেটিংস

ক্লাউডফ্লেয়ারকে যুক্ত করলে wp rocket প্লাগিনটির মাধ্যমে ক্লাউডফ্লেয়ারের কন্ট্রোল করতে পারবেন।

মোটামুটি কাজ শেষ। এবার দেখুন ম্যাজিক। এই কাজটি করার আগে সাইটের স্পীডতো দেখে নিয়েছিলেন। এবার আবার জিটি মেট্রিক্সে যান। সেখান থেকে সাইটের স্পীড টেস্ট করুন।

ওয়াও! দেখুন। সাইটের স্পীড কতটা বেড়ে গেছে। নিজেই সাইট ব্রাউজ করে দেখুন। দেখবেন ওয়েবসাইটের স্পীড খুবই ফাস্ট হয়ে গেছে।

আশা করি পোস্টটি খুবই উপকারে এসেছে। এরকমই ব্লগিং ও ওয়েবমাস্টার ট্রিক্স পেতে প্রতিদিন ভিজিট করুন ট্রিক ব্লগ বিডি

4 thoughts on “ওয়েবসাইটের স্পীড ও র‍্যাংকিং বাড়ান | ১০০% প্রমাণসহ”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top