কবিতাঃ ছেলের জন্য আহাজারি
কবিঃ মোঃ আরিফ
সেই ছেলেটা আর আসবে না
দুখি মায়ের কাছে
আর চাবে না ভাত দাও মা
ঝোল আর একটু মাছে।
হাতটা তোমার দাও না মাগো
এই ছেলেটার মাথায়
স্বর্গ আমি পাই যে মাগো
তোমার ছেঁড়া কাঁথায়।
মা বলে আর ডাকবে না সে
বলবে না সে কিছু
বায়না যত করবে না আর
ধরবে না আর পিছু।
আগুন এসে ঝলসে দিলো
মায়ের পরান পাখি
বাবা টাকে দাও না এনে
আর একটু বার দেখি।
আরেকটু বার আগলে ধরি
আমার বুকের সাথে
এক টুকরো গোশতো এনে
দাও না আমার হাতে।
- বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার নিয়ম ২০২৪ | খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন
- নম্বর সহ পরীক্ষার রেজাল্ট দেখার নিয়ম | সবার আগে ফলাফল দেখুন
- ডিজিটাল স্মার্টবোর্ড দিয়ে শিক্ষার নতুন দিগন্তের সূচনা!
- আধুনিক খাটের উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্যসমূহ
- কেন গিগাবিট রাউটার ছাড়া অন্য রাউটার কেনা উচিত নয়?
ছেলের জন্য আহাজারি কবিতার পটভূমি
“ছেলের জন্য আহাজারি” কবিতাটি কবি মোঃ আরিফ এর রচিত। কবিতাটি ২২/০২/২০১৯ ইং রচনা করেন। এই কবিতাটি কবি মূলত মর্মান্তিক চকবাজার ট্রাজেডি নিয়ে রচিত।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলেকে হারিয়ে এক মায়ের মাঝে বিষন্নতার সৃষ্টি হয়েছে। সেই দুঃক্ষিনী মায়ের বিষন্নতার কথা এই কবিতায় ফুটে উঠেছে।
মা নিজের ছেলেকে আদর করে ভাত বেড়ে দিত। মা তার ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিত। ছেলের প্রতি ছিল অগাধ ভালোবাসা।
কিন্তু চকবাজারের সেই অগ্নিকান্ড তার প্রাণ প্রিয় ছেলেটাকে কেড়ে নিল। ছেলেটি আর কোনদিন তার মাকে “মা” বলে ডাকবে না। সে আর কখনো তার মায়ের কাছে বায়না করবেনা।
সে পাড়ি দিয়েছে অজানার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তার বিদায় স্নেহময়ী মা মেনে নিতে পারছেনা। তিনি এখনো তার ছেলের অপেক্ষায়।
এমনি অনেক দুঃক্ষ আর কষ্টের কাহিনি লুকিয়ে আছে চকবাজার ট্রাজেডিতে। সবার সব দুঃক্ষের কাহিনি আমরা হয়তো জানিনা। হয়তো কারোটা জানি।
হয়তো তাদের দুঃক্ষ কিছুটা ভাগ করে নিয়েছি সাময়িকভাবে। কিন্তু সেই মানুষগুলোর দুঃক্ষ সাময়িক নয়। তারা সেই কাল রাত্রের কথা মনে রাখবে চিরকাল।
হয়তো নিরবে কাঁদবে। আমরা সেটা দেখবোনা। আমাদের কষ্ট হয়তো চলে যাবে সময়ের স্রোতে। কিন্তু দুঃক্ষি সে হতভাগারা আজীবন বয়ে বেড়াবে এই মর্মান্তিক ঘটনার স্মৃতি।
তাদের প্রিয় মানুষটিকে আর কখনো ফিরে পাবেনা। আর তাদের বায়না মিটাতে হবেনা। তাদের সাথে রাগ করবেনা। অভিমান করবেনা, করতে পারবেনা।
এমন সব দুঃক্ষি মানুষকে সমবেদনা জানিনোর ভাষা আমার নেই। সবাই তাদের পাশে দাঁড়াবো আর তাদের কষ্ট ভাগ করে নিব এই কামনায় শেষ করছি।