একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠানের জন্য ডোমেইন নেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই ডোমেইনটি সেই কোম্পানির ব্র্যান্ড নেম হিসেবে কাজ করে। তাই ডোমেইন কেনার আগে বা রেজিষ্ট্রেশন করার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে আমাদের জানতে হবে ডোমেইন কি? এটি কিভাবে কাজ করে? কেন এটি এতোটা গুরুত্বপূর্ণ?
ডোমেইন কি?
এক কথায় বললে ডোমেইন হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের নাম বা পরিচয়। ডোমেইন নেম থেকে কোন ওয়েবসাইটকে সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। যেমনঃ Trickblogbd.com
ডোমেইনের ২ টি অংশ থাকে। একটি নাম ও অপরটি ডোমেইন এক্সটেনশন। TrickBlogBd হচ্ছে ডোমেইন নেম আর .com হচ্ছে ডোমেইন এক্সটেনশন। এই দুইটি অংশ নিয়েই একটি ডোমেইন।
ডোমেইন হচ্ছে মানুষের নামের মত। একজন মানুষের নাম দিয়েই আমরা তাকে চিনি। তেমনি ডোমেইন দেখে আমরা একটি কোম্পানি বা ব্যবসাকে চিনি। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা আছে। তা হলো একই নামের অনেক মানুষ পৃথিবীতে থাকলেও একটা ডোমেইন নেম পৃথিবীতে একটাই থাকে।
যেমন আপনার মোবাইল নম্বরের কথাই বলা যায়। আপনার নম্বরে কল করলে শুধু আপনার ফোনেই কল আসবে। অন্য কোন মোবাইলে ফোন যাবেনা। মানে আপনার নম্বরের সাথে পৃথিবীতে আর কোন নম্বরের মিল নেই।
ডোমেইন নেম হচ্ছে একটা ইউনিক নেম। যা আপনার ওয়েবসাইটকে ইন্টারনেটে খুঁজে পেতে সাহায্য করে। ডোমেইন অর্থ স্থান। অর্থাৎ এটি আপনার কোম্পানিকে ইন্টারনেটে একটা স্থান করে দেয়।
প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটেরই একটা নির্দিষ্ট আইপি ঠিকানা থাকে। IP হচ্ছে Internet protocol. যেমনঃ 104.27.168.58 একটি আইপি ঠিকানা। ব্রাউজারে এই আইপি ঠিকানা লিখে ব্রাউজ করলেও আপনার ওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়া যাবে।
তবে আইপি ঠিকানা মনে রাখা খুব কষ্টসাধ্য বিষয়। তাই আইপি ঠিকানার পরিবর্তে ডোমেইন নেম ব্যবহার করা হয়। এতে ভিজিটরদের সাইটের নাম মনে রাখা সহজ হয়।
উপরের লেখাগুলো পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে ডোমেইন নামটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডোমেইন কেনার আগে বা রেজিস্ট্রেশন করার আগে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এক্ষেত্রে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
ডোমেইন মার্কেটারদের জন্য ডোমেইন কেনার আগে করণীয়
যারা ডোমেইন মার্কেটিং করেন তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতা আরো দ্বিগুণ দরকার। কারণ আপনি সঠিক ডোমেইনটি কিনতে না পারলে সেটি বিক্রি করতে পারবেন না। তখন আপনাকে প্রচুর টাকা লস দিতে হতে পারে।
তাই ডোমেইন মার্কেটারদের বলব আপনারা ভালো করে দেখেশুনে ডোমেইন কিনবেন। দরকার হলে একমাস অ্যানালাইসিস করে একটি ডোমেইন কিনবেন।
আরো পড়ুনঃ আপনার ডোমেইনের মূল্য কত? এটি কি আসলেই মূল্যবান?
ডোমেইন কেনার আগে করণীয়
নিচে এক এক করে ডোমেইন কেনার আগে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো। সেগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
- সঠিক বানান ব্যবহার করুন
- উপযুক্ত এক্সটেনশন নির্বাচন করুন
- ট্রেড মার্ক চেক করুন
- ব্ল্যাকলিস্টেড ডোমেইন এড়িয়ে চলুন
- ডোমেইনের দাম যাচাই করুন
- বিশ্বস্ত মাধ্যম থেকে ডোমেইন কিনুন
- ডোমেইনের ইতিহাস দেখুন
- সঠিক তথ্য দিয়ে ডোমেইন কিনুন
- যথাসম্ভব কম অক্ষরের ডোমেইন বাছাই করুন
- ডোমেইন ফুল কন্ট্রোল প্যানেল দিবে কিনা জেনে নিন
সঠিক বানান ব্যবহার করুন
প্রথমে আপনার কোম্পানি, ব্যবসা বা সার্ভিসের নামের সাথে মিল রেখে একটি ডোমেইন নাম ঠিক করুন। ডোমেইন কেনার আগে অবশ্যই সঠিক বানান নির্বাচন করুন। কারণ, আপনার কোম্পানি বা ব্যবসার ভুল বানানে ডোমেইন কিনলে ক্রেতা বা ভিজিটররা বিভ্রান্ত হবে। অনেকেই সঠিক বানান দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হবেন। এতে করে আপনি খুব বড় অংকের গ্রাহক হারাবেন।
আর যদি আপনি ডোমেইন মার্কেটার হন তবে তো আপনি খুব লসে পড়বেন। ধরুন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীনফোন। এর সঠিক ইংরেজি বানান Grameenphone . আপনি হয়তো Grameenphone.com ডোমেইনটি আগেই কিনে রেখেছেন।
তাই কোনো না কোনো সময় গ্রামীনফোন কোম্পানি আপনার থেকে ডোমেইনটি কিনে নিবেন। কারণ, এই ডোমেইনটি তাদের ব্যবসার সাথে মিলে যায় এবং ডোমেইনটি সবার থেকে তাদেরই বেশি প্রয়োজন। কোটি টাকা মূল্য হলেও তারা এটি কিনবে।
কিন্তু আপনি যদি Grameenphone.com না কিনে Gramenphone.com কিনে রাখেন তাহলে কি হবে? খেয়াল করলে দেখবেন এখানে গ্রামীনফোন বানানটি ভুল। তাই এই ভুল বানানের ডোমেইন গ্রামীনফোন কোম্পানি কখনোই কিনবেনা। আর আপনি অনেক টাকা লস করবেন।
তাই নিজের কোম্পানির জন্য হোক আর ডোমেইন ব্যবসার জন্যই হোক অবশ্যই সঠিক বানানের ডোমেইন কিনতে হবে।
উপযুক্ত এক্সটেনশন নির্বাচন করুন
ডোমেইন কেনার সময় এক্সটেনশন সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরির সাথে মিল রেখে এক্সটেনশন নির্বাচন করুন। যেমনঃ কমার্শিয়াল ওয়েবসাইট হলে .com, ইন্টারনেট সম্পর্কিত হলে .net, শহর সম্পর্কিত হলে .city, কোনো সংস্থার ওয়েবসাইট হলে .org, তথ্যবুহুল ওয়েবসাইট হলে .info, নিউজ ওয়েবসাইট হলে .news, দোকানের ওয়েবসাইট হলে .store ইত্যাদি।
নোয়াখালী নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটঃ Noakhali.city
উপযুক্ত এক্সটেনশনে ডোমেইন কিনলে তার ভ্যালু অনেক বৃদ্ধি পায়। তবে মনে রাখবেন সর্বাধিক প্রচলিত ও ব্যাপক জনপ্রিয় এক্সটেনশন হচ্ছে .com ।
ট্রেড মার্ক চেক করুন
আপনার পছন্দ করা ডোমেইনটির ট্রেডমার্ক চেক করুন। মনে রাখবেন, ডোমেইনটি যাতে কোনো প্রকার ট্রেডমার্কের ঝামেলায় না থাকে। ট্রেড মার্ক করা থাকলে আপনি ভবিষ্যতে ডোমেইনটি হারাতে পারেন।
কারণ, আপনার ডোমেইনের সাথে সম্পর্কিত কোনো নাম বা লোগো ট্রেড মার্ক করা থাকলে সেটির মালিক আপনি নন। যিনি বা যে কোম্পানি ট্রেড মার্ক করে রেখেছে তারাই এই ডোমেইনটির প্রকৃত মালিক। আপনি এখন ডোমেইনটি কিনলেও তারা সেটি আইনী প্রক্রিয়ায় নিয়ে যেতে পারবে। অর্থাৎ আপনি বিপদে পড়বেন।
যেমনঃ Facebook নামটি ফেসবুক কর্তৃক ট্রেড মার্ক করা। আপনি Facebook সম্পর্কিত কোনো ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করলে সেটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ চাইলে নিয়ে যেতে পারবে।
এক্ষেত্রে FacebookTips.com, FacebookGuide.com ইত্যাদি ডোমেইন নিতে পারবেন না। কারণ, এগুলোতে Facebook শব্দটি আছে এবং এই নামটি ট্রেড মার্ক করা। তাই এই নামটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ছাড়া কেউ ব্যবহার করা বেআইনী।
তাই ডোমেইন কেনার আগে ট্রেডমার্ক যাচাই করুন। এক্ষেত্রে ট্রেডমার্ক যাচাই করার জন্য trademarkia.com ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করতে পারেন। এই সাইটে গিয়ে সার্চ করে দেখুন আপনার পছন্দের নামটি ট্রেড মার্ক করা আছে কিনা।
ব্ল্যাকলিস্টেড ডোমেইন এড়িয়ে চলুন
ডোমেইন কেনার আগে সেটি ব্ল্যাকলিস্টেড কিনা সেটি দেখে নিন। অনেক সময় বিভিন্ন ডোমেইন নেম স্পাম করার কারণে গুগল, ফেসবুক ইত্যাদি মিডিয়ায় ব্ল্যাকলিস্ট বা ব্লক করা থাকে।
ব্ল্যাকলিস্ট করা থাকলে সেই ডোমেইনের কোনো লিংক ফেসবুকে শেয়ার করা যাবেনা। তাছাড়া গুগলে ব্লক করা থাকলেতো পুরাই শেষ। আপনি গুগল থেকে কোনো ভিজিটর পাবেন না। আর গুগল থেকে ভিজিটর না পেলে আপনার ইনকাম ৫০-৯০% কমে যেতে পারে।
তাই ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করার আগে অবশ্যই চেক করে নিবেন এটি ব্ল্যাকলিস্ট করা কিনা। তা না হলে আপনি ঝামেলায় পড়বেন। এক্ষেত্রে আপনি এখানে ক্লিক করে ডোমেইনটি ফেসবুকে ব্ল্যাকলিস্ট করা আছে কিনা সেটি চেক করে নিতে পারেন।
ডোমেইনের দাম যাচাই করুন
একেক রেজিস্ট্রার ও ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানিতে ডোমেইনের দাম একেক রকম। তাই ডোমেইন কেনার আগে ডোমেইনের দাম বিভিন্ন রেজিস্ট্রারের সাইট থেকে জেনে নিন।
দাম কম হলেই হুড়োহুড়ি করে রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলবেন না। একই সাথে অন্যান্য বিষয়গুলোও মাথায় রাখবেন। ফুল কন্ট্রোল প্যানেল দিবে কিনা জেনে নিন।
ডোমেইনের ইতিহাস দেখুন
ডোমেইন কেনার আগে তার ইতিহাস দেখে নিন। কারণ, আপনার কেনার আগেই এই ডোমেইন অন্য কেউ কিনে থাকতে পারে। একই ডোমেইন কেউ হয়তো ২০০০ সালে কিনে ২-৩ বছর চালাইছে, এরপর হয়তো আর রিনিউ করেনি। এখন হয়তো আপনি আবার সেটি কিনছেন।
পুরাতন ডোমেইনের আলাদা একটা ভ্যালু থাকে৷ তবে এক্ষেত্রে সতর্ক থাকা দরকার। অনেক ডোমেইনের স্পাম স্কোর (ss) বেশি থাকে। যেটি এসইও তে আপনাকে পিছিয়ে দিবে। তাছাড়া ডোমেইন ব্ল্যাকলিস্টেও থাকতে পারে।
তাই ডোমেইনটি রেজিষ্ট্রেশন করার আগে অবশ্যই সেটির ইতিহাস দেখে নিন। এসইও স্কোরও দেখে নিতে পারেন। whoisrequest.com/history/ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডোমেইনের ইতিহাস দেখে নিতে পারবেন।
এর মাধ্যমে ডোমেইনটি এর আগে কেউ কিনেছিল কিনা সেটা দেখতে পারবেন। তাছাড়া কিনা হয়ে থাকলে কবে কবে কিনা হয়েছে সব দেখতে পারবেন।
যথাসম্ভব কম অক্ষরের ডোমেইন বাছাই করুন
ডোমেইন নেমটি যথাসম্ভব ছোট রাখার চেষ্টা করুন। কারণ, যত ছোট নাম নিবেন লোকজন তত সহজেই সেটি মনে রাখতে পারবে। তাছাড়া ব্রাউজারে ছোট নাম টাইপ করা তুলনামূলক সহজ ও স্বস্তিদায়ক।
তবে মনে রাখবেন, ছোট করা মানেই অর্থহীন নাম নিবেন না। কোম্পানির বা সার্ভিসের নামের সাথে মিল রেখে অর্থবোধক নামই রেজিষ্ট্রেশন করবেন। নাম ও অর্থ ঠিক রেখে যতটুকু ছোট করা যায় আরকি।
সঠিক তথ্য দিয়ে ডোমেইন কিনুন
ডোমেইন নেম রেজিষ্ট্রেশন করার সময় অবশ্যই আপনার সঠিক নাম ও তথ্য দিন। ভুল তথ্য দিলে আপনার ডোমেইনটি ICANN কর্তৃক রেজিষ্ট্রেশন বাতিল হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি মহা ঝামেলায় পড়বেন।
আর ডোমেইনে আপনার সঠিক তথ্য দিলে আইনগতভাবে আপনি ডোমেইনের মালিক বলে বিবেচিত হবেন। ট্রেড মার্ক ছাড়া অন্য কোনো ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
বিশ্বস্ত মাধ্যম থেকে ডোমেইন কিনুন
ডোমেইন (Domain) কিনলেই হবেনা। অবশ্যই ডোমেইন কিনার আগে কার থেকে কিনছেন তারা বিশ্বস্ত কিনা জেনে নিন। বাংলাদেশে রিসেলারের অভাব নেই। মনে রাখবেন, ডোমেইনের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ICANN। তারাই সকল ডোমেইনের নিয়ন্ত্রণ করে।
আইসিএএনএন শুধুমাত্র রেজিস্ট্রার কোম্পানিগুলোকে ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশনের অনুমতি দিয়ে থাকে। রেজিস্ট্রার কোম্পানিগুলো ICANN এর গাইডলাইন মেনে চলতে বাধ্য থাকে। তাই তাদের থেকে ডোমেইন নিলে আপনি সম্পূর্ণ নিরাপদ। তারা আপনার সাথে প্রতারণা করবেনা, সামান্য একটি ডোমেইনের জন্য তারা তাদের লাইসেন্স হারাতে চাইবেনা।
আরো পড়ুনঃ বিশ্বের সেরা ১০ টি ডোমেইন রেজিস্ট্রার কোম্পানি
তাই ডোমেইন কেনার আগে রেজিস্ট্রার কোম্পানি থেকে কিনার চেষ্টা করবেন। আমরা এটি রিকমেন্ড করছি। বিভিন্ন রেজিস্ট্রার কোম্পানি আছে। যেমনঃ এপিক, গোড্যাডি, ডায়নাডট, ইনোভেদাস ইত্যাদি।
তবে সার্ভিসের দিক থেকে এপিক (Epik) অন্য লেভেলে। এপিক একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। তবে বিশ্বের অনেক দেশে তাদের কান্ট্রি ম্যানেজার আছে। কান্ট্রি ম্যানেজারের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরণের সাপোর্ট পাবেন।
মনে রাখবেন, এপিক কিন্তু আপনাকে ডোমেইনের ফুল কন্ট্রোল দিবে। এ ডোমেইন ফুল কন্ট্রোলের ব্যাপারে নিচে আলোচনা করা হলো।
আপনি চাইলে আমাদের মাধ্যমে এপিক একাউন্টে ডলার লোড করতে পারেন। আমাদের বিকাশে পেমেন্ট দিলে আমরা ডলার লোড করে দিব। ডলার রেট ৯৫ টাকা করে রাখা হবে। এটি পরিবর্তনশীল। এপিক থেকে ডোমেইন প্রাইজ দেখতে ও কিনতে এখানে ক্লিক করুন।
এছাড়াও কিছু হোস্টিং কোম্পানি আছে। তারা রেজিস্ট্রারদের থেকে ডোমেইন রিসেল করে। এরাই মূলত গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে। আপনার ডোমেইনটি একটু জনপ্রিয় হলেই তারা নানা অজুহাতে সেটি হাতিয়ে নেয়। আর সেই ডোমেইনটি ইন্টারন্যাশনাল ডোমেইন মার্কেটে চড়া মূল্যে বিক্রি করে।
তবে মনে রাখবেন, সব রিসেলার কিন্তু খারাপ নয়। খারাপ রিসেলারের পরিমাণ অনেকটাই কম। তাদের কারণে সৎ রিসেলাররা বদনামির ভাগিদার হচ্ছেন।
আপনি হু ইজ (Whois) ইনফর্মেশন দেখলেই বুঝতে পারবেন কোনো ডোমেইনের মূল রেজিস্ট্রার কারা। সেখানে কিন্তু রিসেলারের নাম দেখাবেনা। শুধুমাত্র রেজিস্ট্রার কোম্পানির নাম দেখাবে। কারণ, ICANN এর সাথে রিসেলারদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা শুধু রেজিস্ট্রার কোম্পানির তথ্যই রাখে।
তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে রেজিস্ট্রার কোম্পানি থেকে সরাসরি ডোমেইন কিনুন। এটাই আপনার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ।
যদি কোনো রেজিস্ট্রার বা প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস ভালো না লাগে বা রিনিউ ফি বেশি মনে হয় তাহলে যেকোনো সময় সেই রেজিস্ট্রার থেকে ডোমেইন ট্রান্সফার করে অন্য রেজিস্ট্রারে নিয়ে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্য আপনার কাছে ডোমেইনের কন্ট্রোল থাকতে হবে।
ডোমেইন ফুল কন্ট্রোল প্যানেল দিবে কিনা জেনে নিন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এটি। ডোমেইন কেনার আগে অবশ্যই জেনে নিন যাদের থেকে ডোমেইন কিনছেন তারা আপনাকে পূর্ণ কন্ট্রোল দিবে কিনা। কারণ ফুল কন্ট্রোল না দিলে তাদের হস্তক্ষেপ ছাড়া আপনি কিছুই করতে পারবেন না।
সবাই হয়তো জানেন না যে, ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশনের ৬০ দিন পর থেকে আপনি চাইলেই বর্তমান রেজিস্ট্রার থেকে অন্য রেজিস্ট্রার কোম্পানিতে ডোমেইনটি স্থানান্তর করতে পারবেন।
ডোমেইন রেজিস্ট্রার পরিবর্তন করতে হলে EPP কোড লাগে। আপনার কাছে পূর্ণ কনট্রোল না থাকলে আপনি EPP কোডটি পাবেন না। আর সেই ডোমেইনটি অন্য কোম্পানিতে ট্রান্সফারও করতে পারবেন না।
অর্থাৎ আপনি তাদের কাছে আজীবন আটকে থাকবেন। তারা আপনাকে পুতুলের মতো নাচাবে। ডোমেইনের দাম বাড়ালেও আপনাকে সেই দামেই রিনিউ করতে হবে। কিছুই করার থাকবেনা। সার্ভিস খারাপ হলেও এই কোম্পানিতেই পড়ে থাকতে হবে। এর মতো ঝামেলা আর হয়না
তাই অবশ্যই যারা ডোমেইনের ফুল কন্ট্রোল দিবে তাদের থেকে ডোমেইন কিনুন। যাথে আপনি চাইলেই যেকোনো সময় ডোমেইনটি ট্রান্সফার করতে পারেন এবং DNS পরিবর্তন করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করুন বিকাশ দিয়ে
আশা করি, আর্টেকলটি ডোমেইন কেনার ক্ষেত্রে আপনাকে সামান্যতম হলেও সাহায্য করবে। যদি আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট করে অবশ্যই জানবেন। খারাপ হলেও কমেন্ট করতে ভুলবেন না। মনে রাখবেন, আপনারা কমেন্ট না করলে আমাদের উৎসাহ হারিয়ে যায়।
অনেক কিছু জানতে পারলাম ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ কর্তৃপক্ষকে, এমন একটা অনুচ্ছেদ প্রকাশ করার জন্য। অনেক কিছু জানতে পারলাম। হয়তবা যদি এই অনুচ্ছেদ টা না পড়তাম তাহলে অন্ধকারে ই থেকে যেতাম।
এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের এমন মন্তব্য আমাদেরকে পরবর্তী কাজের উৎসাহ দেয়।