ফেসবুক প্রেম (বাংলা গল্প)- সোলাইমান রানা

গল্প- ফেসবুক প্রেম
লেখক- সোলাইমান রানা

রিয়া বসে মোবাইল টিপছে। পড়ালেখা করে সে। এবারই কলেজে নতুন ভর্তি হইছে। কলেজে নতুন ভর্তি হলে যা হয় আর কি। আর স্বাধীন জিবন। সারাদিন মোবাইল নিয়েই পরে থাকে।

ফেসবুক নিয়েই তার জিবন। সারাদিন ফেসবুক নিয়েই যেনো তার অস্হিরতা। একদিন সকালে রোহান নামের একটা আইডি থেকে তার কাছে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসে।

ফেসবুক প্রেম গল্পের লেখক সোলাইমান রানা
ফেসবুক প্রেম গল্পের লেখক সোলাইমান রানা

রিয়া সাত পাচ ভেবে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করে। রিয়ার প্রোফাইলে তার কোন ছবি দেওয়া নাই। একটা ফুলের ছবি দিয়ে রাখছে। রিয়া সাধারনত কারো সাথে চ্যাট করে না।

রাতে খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে আছে। রোহান নামের আইডি থেকে ম্যাচেজ আসে,,,,

রোহান= হাই,,,

রিয়া কোন কিছু বলে না সিন করে রেখে দিছে। কিছুক্ষণ পর আবার।

রোহান= হাই। কিছু বলেন না যে।

রিয়া এবার আর উওর না দিয়ে থাকতে পারলো না।

রিয়া= জ্বি বলেন।

রোহান= কেমন আছেন।

রিয়া= ভাল আপনি।

রোহান= ভাল কি করেন।

রিয়া= কিছু না শুয়ে আছি। আপনি।

রোহান= আপনার ম্যাচেজের আশায় বসে আছি।

রিয়া= মানে,,,

রোহান= কিছু না।

রিয়া= তাই।
রোহান= হ্যা। আপনি পড়ালেখা করেন

রিয়া= হ্যা। এবার কলেজে নতুন ভর্তি হইছি।আপনি

রোহান= আমি ঢাকা ভার্সিটিতে পড়ি। আপনার বাসা কোথায়।

রিয়া= খুলনা। আপনার।

রোহান= ঢাকা উওরায়।

রিয়াও রোহান এভাবে নিয়মিত ফেসবুকে কথা বলে যাচ্ছে। রিয়াকে রোহান সারাদিন নানান বিষয়ে বুঝায় এটা সেটা। রিয়াও এখন রোহানের সাথে চ্যাট না করলে ভাল লাগে না।

রিয়া মনে মনে রোহানের কথার প্রেমে পরে গেছে। রিয়ার ফেসবুক চালানোর আগ্রহ আরো বেশি হয়ে গেছে। সবসময় রোহানের ম্যাচেজের অপেক্ষায় থাকে।

আরো পড়তে পারেনঃ ফেসবুকে বেশি লাইক পাওয়ার উপায়

রোহানও রিয়ার সারাদিন খুজ নেয়।
রোহানের আইডিতে তার ছবি দেওয়া দেখতে খারাপ না।

কিছুদিন যেতে না যেতে একদিন রোহান রিয়াকে ভালবাসার কথা বলে। রিয়াও রোহানের কাছ থেকে এ কথা শুনার আগ্রহে ছিলো এতদিন।

২৫জানুয়ারি রিয়া রোহানকে হ্যা বলে দেয়। রিয়াও রোহান এখন নিয়মিত ভালবাসার কথা বলে যাচ্ছে আর রিয়াকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে।

দেখতে দেখতে তাদের সম্পর্কের কয়েক দিন চলে গেলো।

১৫ফেব্রুয়ারি রোহান বলে,,,আমি তোমার ছবি দেখতে চাই রিয়া।

রিয়া= পরে না হয় দেবো।

রোহান= আজই দাও। কয়েকদিন পর তোমার সাথে দেখ করতে আসবো।

রিয়া রোহানকে ছবি দিলো। ছবি দেখার পর রোহান অফ লাইন হয়ে গেলো।

কারন রিয়া দেখতে তেমন সুন্দর ছিলো না। তাই রোহানকে ছবি দিতে দ্বিধাবোধ করলো। তারপর রিয়ার বিশ্বাস ছিলো রোহান তার চেহারা নয় মনকে ভালবাসবে। কিন্তু দেখতে দেখতে রোহান কেমন জানি হয়ে গেলো।

আগের মত আর ফেসবুকে আসে না আর রিয়াকে ম্যাচেজ করে না। রিয়া সারাদিন রোহানের অপেক্ষায় থাকে।
আর রোহানের চিন্তায় খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। একদিন রিয়া অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে তার বাবা মা হাসপাতাল ভর্তি করায়। কিছুদিন পর রিয়া সুস্থ হয়ে উঠে।

আজও রিয়া রোহানের একটা ম্যাচেজের অপেক্ষায় আছে। এই বুঝি রোহান ম্যাচেজ করলো,,,,,,

 সমাপ্ত-------
আরো বাংলা গল্প পড়ুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top