ওই শিশুটি
মোঃ মামুনুর রশিদ নূরী
ওই শিশুটি লাশ ছিলো না
প্রাণ ছিলো ভাই প্রাণ ছিলো
যেই শিশুকে পথের ধারে
কুকুর-শেয়াল টানছিলো!
ওই শিশুটি চুপ ছিল না
রব ছিলো তার সব ছিলো
যেই শিশুটি জলের তলে
মাছে খাওয়া শব ছিলো!
ওই শিশুটি এই ছিলো না
বাপ ছিলো তার মা ছিলো
যেই শিশুটির দাফন সারা
লাশপরিচয় না ছিলো!
ওই শিশুটি সেই ছিলো না
ঘর ছিলো তার দেশ ছিলো
যেই শিশুটি নৌকা ডুবে
সাগর তীরে এসছিলো!
ওই শিশুটির দোষ কী ছিলো
রোষ কী ছিল তার প্রতি
রোজ শিশুটি খুন হয়ে যায়
বিশ্ব বিবেক কার প্রতি?
এই শিশু না মুসলমানের
এই শিশু না হিন্দুদের
এই শিশুদের জাত খুঁজে যে
লাত্থি সে ছার নিন্দুকের!
- 2FA কী? হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচতে এই “ডাবল লক” পদ্ধতি কেন জরুরি?
- Teletalk Number Check 2025: 5 Quick Methods
- How to Check SIM Number (GP, Airtel, Robi, Banglalink, Teletalk, Skitto) – 2025 Guide
- বাচ্চাদের ওয়াশেবল ডায়াপার পরানোর নিয়ম
- 100+ ফেসবুক গ্রুপের সুন্দর নাম [2025]
- * *
ঐ শিশুটি কবিতার বিস্তারিত
কবি মামুনুর রশিদ নূরী “ঐ শিশুটি”কবিতাটা ৩০-০৬-১৮ইং নির্যাতিত মাজলুম ও পথচারী শিশুদের প্রতি ইঙ্গিত করে রচনা করেন।
কবি বলেন ঐ শিশুটিরও তোমার শিশুর মতো এক তাজা প্রাণ ছিলো। তার এই মায়াবী চেহারার প্রতি শুধু মানুষ নয় কুকুর শেয়ালেরও টান ছিলো।
তাকে আজ মৃত্যু দেখলেও একদিন ঠিকই তার সব ছিলো। রবও ছিলো(কবি সিরিয়ায় সে অবুঝ শিশুর কথা স্মরণ করালেন যে বলে ছিলো আমি সব কিছু আমার খোদাকে বলে দিব)।
এই শিশুটি এমন ছিলো না তার মা বাপ সব ছিলো।আজ যে শিশুটি দাফন ছাড়া,লাশ পরিচয়ও যার নাই।(বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা কবি তোলে ধরেছেন)
এই শিশুটি শরণার্থী ছিলো না ঘর বাড়ি তার সব ছিলো (কবি রোহিঙ্গা শিশুদের কথা তোলে ধরেছেন)
রোহিঙ্গা শরণার্থী
অতঃপর কবি বলেন কি দোষ অবুঝ শিশুটির?কোথায় আজ বিশ্ব বিবেক?
সবশেষে কবি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ঐ শিশুটি শিশুই ধর্ম পরিচয় নয় তাকে মানব পরিচয় দিয়েই আলগে রাখতে হবে।
যে তাকে ধর্ম পরিচয় দিয়ে দূরে রাখতে চায় তাকে লাত্থি মেরে জাহান্নামে পাঠিয়ে দাও।@সম্পাদক