কম দামে ভালো মানের ফ্রিজ খুঁজছেন? ঠিক আপনার মতোই ভালো মানের ফ্রিজের সন্ধানে অনেকেই। ফ্রিজ এখন আমাদের নিত্যদিনের দরকারি পণ্য হয়ে উঠেছে। কর্মব্যস্ত জীবনের প্রতিদিন রান্না বা বাজার করা এড়াতে ফ্রিজের উপর নির্ভর না করে পারা যায় না।
যে ফ্রিজগুলো দীর্ঘ সময় খাবার ভাল বা সতেজ রাখতে পারে ঠিক সেগুলোকেই আমরা ভাল মানের ফ্রিজ বলি এবং বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ফ্রিজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো আধুনিক ফিচার যুক্ত করার মাধ্যমে তাদের পন্যগুলোকে সেরা হিসাবে তৈরি করেছে। যা গতানুগতিক ফ্রিজগুলোর চেয়ে বেশি সুবিধাজনক এবং সাশ্রয়ী হয়ে উঠছে।
কিন্তু দোকানে দোকানে ঘুরে এই ফিচারগুলো জানার মতো সময় বা ধৈর্য আমাদের নেই। তাছাড়া ফ্রিজ কিনতে গেলে ভাল মান যেমন প্রয়োজন, পাশাপাশি এর জন্য অনেক বড় বাজেট করাও সবার পক্ষে সবসময় সম্ভব না। তাই, আমরা এখানে ৭টি ভাল মানের ফ্রিজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি কম দামে ভালো মানের ফ্রিজ কিনতে চান, তবে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন শেষ পর্যন্ত।
৭ টি কম দামে ভালো মানের ফ্রিজ
মার্কেটে বিভিন্ন রকমের ও দামের ফ্রিজ বিদ্যমান। আমরা কেবল কম প্রাইজের মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানের ৭ টি ফ্রিজ সম্পর্কে এই আর্টিকেলে কথা বললাম। এখানে আপনি মাত্র ২০,০০০ টাকার ফ্রিজও পেয়ে যাবেন। এছাড়াও BD stall থেকে বিভিন্ন ফ্রিজের বর্তমান মূল্য জেনে নিতে পারেন।
1. সিঙ্গার রেফ্রিজারেটর 138 লিটার, অরেঞ্জ
বাইরে সুন্দর, ভিতরে স্মার্ট এবং মসৃণ সিঙ্গারের 138 লিটার ক্যাপাসিটির এই ফ্রিজটি ডাইরেক্ট কুল ফাস্ট ফ্রিজ টেকনোলজির সাহায্যে খাবারকে বেশি দিন সতেজ রাখতে পারে। খুব দ্রুত ঠান্ডা হবার কারণে খাবারের মান ও স্বাদ অক্ষুন্ন থাকে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গ্যাসকেট ফ্রিজের ভিতরে ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশ করে বায়োফিল্ম তৈরি করতে বাধা দেয়। ফলে আপনার খাবার থাকবে জীবাণুমুক্ত।
সিঙ্গার এমন একটি ব্র্যান্ড যার কথা আলাদাভাবে বলার প্রয়োজন নেই। তাদের ফ্রিজগুলো গুনগত মানে সেরা এবং ব্যাপক জনপ্রিয়। আপনার বাজেট যদি বিশ হাজার (২০,০০০) টাকার মধ্যে হয় তাহলে এই ফ্রিজটি আপনার জন্য একেবারে আদর্শ। উন্নতমানের পরিবেশবান্ধব গ্যাস ব্যবহৃত এই ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটরটি আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেও কিনতে পারেন।
স্পেসিফিকেশন ও ফিচার
- ক্যাপাসিটি 138 লিটার (93 লিটার ফ্রেশ ফুড স্টোরেজ, 45 লিটার ফ্রিজার ফুড স্টোরেজ),
- পরিবেশ বান্ধব আর600এ গ্যাস,
- অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গ্যাসকেট ডোর,
- ফ্রেশ এন্ড কুল টেকনোলজি,
- ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর,
- অরেঞ্জ কালার,
- সেফটি লক,
- গ্লাস কাভার ক্রিস্টাল ক্রিসপার ড্রয়ার,
- আইস ট্রে
ওয়ারেন্টি: 10 বছর কমপ্রেসর, 2 বছর পার্টস ও সার্ভিস ওয়ারেন্টি।
মূল্য: 20,077 টাকা (ডিসকাউন্ট সহ)।
2. ওয়ালটন WFA-2A3-GDXX-XX
বর্তমানে ওয়ালটনের ফ্রিজগুলো আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত এবং বেশ জনপ্রিয়। আপনি যদি বাজেট মূল্যে একটি বড়সড় ফ্রিজ কিনতে চান,তাহলে ওয়ালটন সবদিক থেকে এগিয়ে। ওয়াল্টনের উন্নত ফিচার, অসাধারণ আউটলুক, লম্বা ওয়ারেন্টি এবং তুলনামূলক কম মূল্য এটিকে মার্কেটের শীর্ষ অবস্থান তৈরি করে দিয়েছে। 213 লিটার ক্যাপাসিটির টেম্পারর্ড গ্লাস ডোরের এই ফ্রিজটি হতে পারে আপনার উপযুক্ত পছন্দ।
আপনার বাজেট যদি হয় 25 হাজার টাকার মধ্যে হয় তাহলে ফ্রিজটি আপনি নিতে পারেন। ওয়ালটন WFA-2A3-GDXX-XX ফ্রিজে অনেক অধুনিক ফিচার সংযুক্ত করা হয়েছে যেমন ম্যাজিক্যাল ন্যানো সিলভার টেকনোলজি, অ্যান্টিফাঙ্গাল গ্যাসকেট ডোর, পরিবেশ বান্ধব গ্যাস সহ আরো অনেক কিছু। আপনার খাবারকে দীর্ঘ সময় সতেজ এবং স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে এই ফ্রিজের উপর নিশ্চিন্তে নির্ভর করতে পারেন।
স্পেসিফিকেশন ও ফিচার
- ক্যাপাসিটি 213 লিটার,
- ম্যাজিক্যাল ন্যানো টেকনোলজি,
- অ্যান্টিফাংগাল গ্যাসকেট ডোর,
- ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক প্রতিরোধী,
- অন্য খাবারের গন্ধ যুক্ত হতে দেয় না,
- দ্রুত খাবার ঠান্ডা করে,
- পরিবেশ বান্ধব ব্যাস,
- ভেজিটেবল ক্রিসপার,
- ভেজিটেবল ক্রিসপার কাভার,
- এগ ট্রে।
ওয়ারেন্টি: 1 বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, 12 বছর কমপ্রেসর, 4 বছর পার্টস, এবং 5 বছর সার্ভিসিং ওয়ারেন্টি।
মূল্য: 24,800 টাকা।
3. ভিশন GD Refrigerator RE-150L Grad Rose Red-TM
কম দামের মধ্যে ভিশনের এই ফ্রিজটি বেশ ভাল। আপনি এখানে অনেকগুলো উন্নতমানের ফিচার দেখতে পাবেন যেগুলো সাধারণত নামীদামি ফ্রিজগুলোতেও দেখা যায়। যেমন: 100% কপার কনডেন্সর, লো-ভোল্টেজ অপারেশন, ফাস্টার কুলিং, 60% ইলেকট্রিসিটি সেভিংস সহ আরো অনেক কিছু। তাছাড়া এই ফ্রিজের আউটলুক খুবই চমৎকার। দেখামাত্রই এটি যে কেউ পছন্দ করতে বাধ্য।
150 লিটারের ভিশন GD Refrigerator RE-150L Grad Rose Red-TM ফ্রিজটি লম্বা ওয়ারেন্টি সহ পাওয়া যায়, যে কারণে আপনার অর্থের একটা নিরাপত্তা থাকে। এটি চলার সময় খুব কম শব্দ উৎপন্ন করে। এবং ইটালিয়ান ক্যানন প্রযুক্তি ও পরিবেশ বান্ধব গ্যাস ব্যবহারে তৈরি এই ফ্রিজটি খাবারকে টাটকা ও সতেজ রাখে দীর্ঘ সময় ধরে। ইলেকট্রিসিটি সেভিংস ফিচার থাকার কারণে প্রতিমাসে আপনার বিদ্যুৎ বিলও কম আসবে।
আরো পড়ুনঃ ভালো ফ্রিজ চেনার উপায়
স্পেসিফিকেশন ও ফিচার
- ক্যাপাসিটি 150 লিটার,
- রয়েল মডার্ন কালার,
- হাই এফিসিয়েন্ট কুলিং সিস্টেম,
- কম শব্দ উৎপন্ন করে,
- পরিবেশ বান্ধব R600a গ্যাস,
- সেফটি লক,
- অ্যাডজাস্টেবল থার্মোস্ট্যাট,
- 100% কপার কনডেন্সার,
- বিদ্যুত সাশ্রয়ী,
- লো-ভোল্টেজ অপারেশন।
ওয়ারেন্টি: 10 বছর কমপ্রেসর, 4 বছর পার্টস এবং 5 বছর সার্ভিসিং।
মূল্য: 23500 টাকা।
4. মিনিস্টার M-175 MERUN-VCM
গত বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের দেশে বেশি বিক্রিত ফ্রিজগুলোর মধ্যে মিনিস্টার ব্র্যান্ড একটি। তাদের ফ্রিজের কোয়ালিটি, আউটলুক এবং মূল্য, সবকিছুই সময় উপযোগী। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি এই ফ্রিজগুলো যথেষ্ট কম দামে পাওয়া যায়। কম দামে ভালো মানের ফ্রিজ পেতে চাইলে মিনিস্টার M-175 MERUN-VCM ফ্রিজটি আরেকটি উপযুক্ত প্রোডাক্ট যা আপনি কিনতে পারেন।
মাত্র ২০ হাজার টাকা বাজেটের এই ফ্রিজটি ৬৬% বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সক্ষম। প্রতি মাসে যা আপনাকে একটি সেভিংস দিবে। 145 লিটার ক্যাপাসিটির এই ফ্রিজটির 40% অংশ ফ্রিজার। উন্নত ফিচারগুলোর মধ্যে এনার্জি সেভিংস, ফুড গ্রেড কোরিয়ান রেজিন, অ্যান্টিফাঙ্গাল গ্লাস ডোর ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তাই আপনার বাজেটের মধ্যে এই ফ্রিজটি হতে পারে একটি চমৎকার সিদ্ধান্ত।
স্পেসিফিকেশন এবং ফিচার
- ক্যাপাসিটি 175 লিটার,
- 66% এনার্জি সেভিংস,
- হাই টেম্পার্ড গ্লাস ডোর,
- অ্যান্টিফাঙ্গাল ডোর প্রযুক্তি,
- পরিবেশ বান্ধব R600a গ্যাস,
- আধুনিক কালার ও ডিজাইন,
- তুলনামূলক সহনীয় মূল্য
ওয়ারেন্টি: 7 বছর কমপ্রেসর ওয়ারেন্টি।
মূল্য: 20,900 টাকা।
5. মারসেল MFA-2A3-NEXX-XX
ফ্রিজ যেমন প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ, ঠিক তেমনই এটি ঘরের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে দিতে পারে। মারসেল MFA-2A3-NEXX-XX মডেলের ফ্রিজটি সম্পর্কে প্রথম দৃষ্টিতেই এক কথায় বলা চলে গর্জিয়াস। এটি নিমিষেই আপনার ঘরের চেহারা বদলে দিবে। উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি এই ফ্রিজটি যথাযথ দামেই পাওয়া যায়।
বেশ কিছু আধুনিক ফিচারের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে এতে রয়েছে ম্যাজিক্যাল ন্যানো সিলভার টেকনোলজি, যেটি খাবারকে ব্যাক্টেরিয়া মুক্ত রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। তাছাড়া 100% কপার কনডেন্সর থাকার কারণে এটি যে কোন ধরণের লিকেজ প্রতিরোধ করে এবং ফ্রিজকে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখে।
স্পেসিফিকেশন এবং ফিচার
- ক্যাপাসিটি 213 লিটার,
- ওয়াইড ক্লাইমেন ডিজাইন,
- 100% কপার কনডেন্সর,
- ম্যাজিক্যাল সিলভার ন্যানো টেকনোলজি,
- সেফটি লক,
- অ্যাডজাস্টেবল থার্মোস্ট্যাস্ট,
- গ্রিন টেকনোলজি HCFC ফ্রি।
ওয়ারেন্টি: রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি 1 বছর, 12 বছর কমপ্রেসর, 4 পার্টস বছর এবং 5 বছর সার্ভিস ওয়ারেন্টি।
মূল্য: 23,700 টাকা।
6. Conion Refrigerator BE-170 GD (Black & Blue)
এই ব্র্যান্ডটি অতটা পরিচিত না হলেও এটি কম দামে ভালো মানের ফ্রিজ সরবরাহ করে থাকে। এটি বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সমস্ত অঞ্চলেই পাওয়া যায়। ডিপ ফ্রিজ এবং নরমাল এর অংশকে 50:50 করার কারণে এটি খুব সুন্দর সার্ভিস প্রদান করে। 170 লিটার ধারণক্ষমতার এই ফ্রিজটি আপনার খাবারকে টাটকা ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখবে দীর্ঘ সময়।
এটি অনেকগুলো আধুনিক ফিচারের সমন্বয়, যেমন ডায়নামিক কুলিং সিস্টেম যা খাবারকে দ্রুত ঠান্ডা করে। ইকো সেভিং টেকনোলজি ইলেকট্রিসিটি সেট করার কারণে বিদ্যুত বিল কম আসে। এসভিএস প্রযুক্তি থাকার কারণে লো টেম্পারেচারে ফ্রিজকে সচল থাকে। এবং 100% কপার কনডেন্সর ফ্রিজকে দীর্ঘ দিন টিকিয়ে রাখে, ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট খাবারকে গন্ধ ও ব্যক্টেরিয়ামুক্ত রাখতে সহায়তা করে। আবার, এই ফ্রিজে ব্যবহৃত মিউট অফ প্রযুক্তি ফ্রিজকে শব্দহীনভাবে চলতে সাহায্য করে।
এতসব ফিচার থাকার কারণে এটি সেরাদের তালিকায় এসেছে। আপনি এই অত্যন্ত উন্নত ফিচারসমৃদ্ধ ফ্রিজটি তুলনামূলকভাবে যথেষ্ট কম দামে পেতে পারেন।
স্পেসিফিকেশন এবং ফিচার
- ক্যাপাসিটি 170 লিটার,
- বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী,
- অ্যান্টিফাঙ্গাল টেকনোলজি,
- 100% কপার কনডেন্সর,
- শব্দহীনভাবে চলে,
- দ্রুত খাবাকে ঠান্ডা করে,
- হাই এবং লো-ভোল্টেজে যথাযথভাবে চলে,
- পরিবেশ বান্ধব R600a গ্যাস,
- ম্যাগনেটিক ডোর প্রযুক্তি।
ওয়ারেন্টি: 10 বছর কমপ্রেসর এবং 1 বছর পার্টস ও সার্ভিস ওয়ারেন্টি।
মূল্য: 22500 টাকা।
7. যমুনা JE-148 VCM DEEP BLUE
ইলেকট্রিসিটি সমস্যা আমাদের দেশে মাঝে মাঝে বেশ প্রকট আকারে দেখা দেয়। এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে যদি দুই/তিন দিন ইলেট্রিসিটি না থাকলে ফ্রিজে থাকা খাবার ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। কিন্তু যমুনা JE-148 VCM DEEP BLUE ফ্রিজটি এই সমস্যার চমৎকার সমাধান নিয়ে এসেছে। এটি লোড শেডিং এ প্রায় 72 ঘন্টা বা তিন দিন পর্যন্ত খাবারকে ভালো রাখতে পারে। তাই কম দামে ভালো মানের ফ্রিজের তালিকায় এটি অন্যতম। মাত্র ২০ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যেই আপনি পেয়ে যাবেন চমৎকার এই ফ্রিজটি।
আরো পড়ুনঃ কম দামে সবচেয়ে ভালো ল্যাপটপ
এছাড়াও যমুনা কোম্পানির এই ফ্রিজে আরো কিছু আধুনিক ফিচার রয়েছে, যা সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয়। যেমন- ন্যানো হল্থকেয়ার টেকনোলজি যা খাবারকে জীবাণুমুক্ত ও স্বাস্থ্যকর রাখে, আবার এটি 65% পর্যন্ত বিদ্যুত সাশ্রয় করতে পারে। ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তি ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। আপনি যদি গ্রামে বা মফস্বল কোন এলাকায় বসবাস করেন এবং কম দামে ভাল মানের ফ্রিজ পেতে চান তাহলে এটি অবশ্যই আপনার জন্য সেরা একটি ফ্রিজ হতে পারে।
স্পেসিফিকেশন ও ফিচার
- ক্যাপাসিটি 148 লিটার (79 লিটার ফ্রেশ ফুড স্টোরেজ, 69 লিটার ফ্রিজার ফুড স্টোরেজ),
- 65% এ্যানর্জি সেভিং,
- 72 ঘন্ট লোডশেডিং ব্যাক-আপ,
- অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ডোর গ্যাসকেট,
- আল্ট্রা মাইক্রো ফোম,
- বিল্ট ইন স্ট্যাবিলাইজার,
- পরিবেশ বান্ধব R600a গ্যাস,
- টেম্পারর্ড গ্লাস সেল্ফ,
ওয়ারেন্টি: 10 বছর কমপ্রেসর, 5 বছর পার্টস এবং সার্ভিস ওয়ারেন্টি।
মূল্য: 20800 টাকা।
ফ্রিজ কেনার সময় যে ৫টি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন
একটি ফ্রিজ অনেক দিন ব্যবহার করা যাবে এবং খাবারকে সজিব ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখবে- এটাই আমাদের সকলের প্রত্যাশা। কিন্তু সব ফ্রিজ কি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে? তাই ফ্রিজ থেকে ভাল সার্ভিস পেতে কেনার আগে কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, যেমন-
কমপ্রেসর: এটি ফ্রিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ তাপমাত্রা বজায় রাখার মতো জরুরী কাজটি কমপ্রেসর করে থাকে। এটি খারাপ হলে ফ্রিজ থেকে আপনি কখনই ভাল পারফরমেন্স আশা করতে পারবেন না। কমপ্রেসর সাধারণত দুই প্রকার হয়- জেনারেল কমপ্রেসর এবং ইনভার্টার কমপ্রেসর।
জেনারেল কমপ্রেসরগুলো খুব উচ্চ গতিতে চলতে শুরু করে এবং অবিচ্ছিন্ন গতিতে চলতে থাকে। শুধুমাত্র সর্বোচ্চ মাত্রার ঠান্ডায় পৌছানোর পরে এটি বন্ধ হয়। অপরদিকে ইনভার্টার কমপ্রেসরগুলো তুলনামূলক আধুনিক। এগুলো বিভিন্ন গতিতে চলতে পারে এবং সাধারণত কম গতিতে চালু হয়। কুলিং এর প্রয়োজনে এগুলো গতি বাড়ায় বা কমায়।
ধারণক্ষমতা: আপনার প্রয়োজন বা পরিবারের সদস্য সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ফ্রিজের ধারণক্ষমতা বিবেচনায় আনতে পারেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় একটু বড় সাইজের বা বেশি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ফ্রিজগুলো লোকে বেশি পছন্দ করে। সেই হিসাবে বাজেটের বিষয়ে লক্ষ্য রেখে কিছুটা বড় ফ্রিজ কেনাটাই ভাল।
ফ্রস্ট/নন-ফ্রস্ট: সাধারণত যে ফ্রিজগুলোতে বরফ জমা হয় সেগুলোকে ফ্রস্ট বলে। নন-ফ্রস্ট ফ্রিজগুলো আধুনিক। তবে এগুলোর দামও তুলনামূলকভাবে বেশি। বর্তমান সময়ে বাজারে থাকা ফ্রস্ট ফ্রিজগুলোর বেশিরভাগই সেমি-ফ্রস্ট। যেগুলোতে খুব বেশি বরফ জমা হয় না। তাই আপনি ফ্রস্ট বা নন-ফ্রস্ট যে কোনটি কিনতে পারেন, কোন সমস্যা ছাড়াই।
ফিচার: বর্তমান সময়ে টেকনোলজির উন্নতির ফলে আমরা সব ধরণের ইলেট্রনিক্স যন্ত্রে অনেক উন্নত ফিচার দেখতে পাই। যেগুলো বেশ উপকারি এবং সময় উপযোগী। ফ্রিজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পন্যে অনেক ধরণের ফিচার সংযুক্ত করে যেগুলো খাবারকে রাখে জীবাণুমুক্ত ও নিরাপদ। পাশাপাশি সেগুলো ইলেকট্রিসিটি বাঁচায়, পরিবেশ বান্ধব, ও দীর্ঘক্ষণ খাবারকে ভালো রাখতে সহায্য করে। তাই ফ্রিজ কেনার আগে এর ফিচারগুলো সম্পর্কে ভালমতো জেনে নিন।
বাজেট: সবাই চাইলেই ফ্রিজের জন্য বেশ বড় বাজেট করতে পারে না বা অনেক সময় তা সম্ভব হয় না। তাই আপনার বাজেটের মধ্যে যেই ফ্রিজগুলোর উন্নত ফিচার, ভালো কমপ্রেসর বা আউটলুক ভাল এমন ফ্রিজ নির্বাচন করতে হবে। এমন অনেক সময় হয়, অনেক টাকা দিয়ে ফ্রিজ কিনে সেটি পছন্দ হচ্ছে না, আবার দেখা যায় বাজেটের মধ্যে থেকেও অনেক ভাল ফ্রিজ হয়ে যায়। তাই কেনার আগে পছন্দের ফ্রিজের বাজেটের বিষয়টি খেয়াল রাখুন।
শেষ কথা
অতিরিক্ত সস্তা কোন কিছুর খুব বেশি ভাল হওয়ার সম্ভাবনা কমই থাকে। আপনি কম দামে ভাল মানের ফ্রিজ খুঁজতে গিয়ে একেবারে সস্তা কিছু নিলে পরবর্তীতে তার ফলাফল আআশানুরূপ নাও হতে পারে।
তবে উপরে উল্লিখিত যে 7 টি ভালো মানের ফ্রিজের বর্ণনা করা হয়েছে, সেগুলো সাশ্রয়ী মূল্যে সেরা কিছু উন্নতমানের ফ্রিজ। আপনি যদি কম দামের মধ্যে ফ্রিজ কিনতে চান, তবে আমাদের এই আর্টিকেল থেকেই বেছে নিতে পারেন আপনার মনমতো একটি ফ্রিজ।