★ছোটন
মোঃ আরিফ হোসেন
অনেক মধুর কথা বলে
দেখতে দারুণ বেশ
পাড়ায় পাড়ায় ঘুরত ছোটন
কাটত না তার রেশ।
গরীব ঘরের দুয়োর খুলে
আসত উঁকি মেরে
একটি বেলা খেত না ভাত
অনাহারী ছেড়ে।
ন্যায়ের পথেই চলে ছোটন
অন্যায়েতে গর্জে
ভুক্তভোগীর পক্ষ নিয়ে
যুক্তি দিয়ে তর্জে।
হঠাৎ করেই হানা দিলো
দল বেঁধে সব হায়না
মানচিত্র চিবিয়ে খাবে
ধরল তারা বায়না।
আকাশ পাতাল কেঁপে ছোটন
ঝণ্ডা তুলে হাতে
বলে, কে আছিস আয় সাথে
যাবো শত্রু নাশে।
সাত কোটি লোক এক হয়ে যায়
বাঁধলো ন্যায়ের দ্বন্দ্বে
নিজের জীবন বিলীন করে
স্বাধীনতার গন্ধে।
অবশেষে দেশটা স্বাধীন
ছোটন তখন নেতা
ছোটন ছাড়া হতো বলো
যুদ্ধ করে জেতা?
হঠাৎ করেই কিছু দোসর
হায়না হয়ে উঠে
ছোটন এবার মারবে তারা
আশার ফুল যে ফোটে।
গভীর রাতে ঘিরলো বাড়ি
করল গুলি শেষে
মরল ছোটন গুলির তোরে
শত্রুরা যায় হেঁসে।
“ছোটন” কবিতার বিস্তারিত
কবি মোঃ আরিফ হোসেনের লেখা বাংলা কবিতা ছোটন। এই কবিতায় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ছোটন বলে আখ্যায়িত করেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান নায়ক। তাকে কেউ কেউ বাংলাদেশের স্থপতি বলেও আখ্যায়িত করেন।
বঙ্গবন্ধু বাংলার স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন। অনেকবার কারা বরণও করেছেন। তিনি ৭ই মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার মৌখিক ঘোষণা দেন।
পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে চূড়ান্ত স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। মানুষ সেই ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে নেমে পড়ে। ৩০ লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা পাই স্বাধীন বাংলাদেশ।
কিন্তু স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে বাঙ্গালীর অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে খুন হন।