★শ্রমিক-মালিকের অটুট বন্ধন
মোঃ আরিফ হোসেন
মে দিবস উপলক্ষে
তোমরা শ্রমিক তোমরা কুলি
তোমরা আমার ভাই
তোমরাই তো
দেশটা গড়ো কর্ম করো
সচল রাখো ধরিত্রীটাই।
১৮৮৬ সালের ১ মে। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে হে মার্কেটের আনাচে কানাচে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয় আন্দোলনরত শ্রমিক দিয়ে। টানা ১৬ ঘন্টা ডিউটি ও বেতনের বৈশম্য নিরসনে এ আন্দোলন।
এতো বেশি হাড়ভাঙা খাটুনিতে শ্রমিকরা প্রায় কংকালসার। তাদের জন্য আন্দোলন মুখ্য হয়ে উঠে। শ্রমিকদের এই ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য পুলিশ এসে আন্দোলনরত প্রায় তিন লাখ শ্রমিকদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে ১১ জন শ্রমিক নিহত হয় এবং বন্দী হয় আরো অনেকে।
তার কিছুদিন পর জেলখানায় এক শ্রমিক নেতা আত্মহত্যা করে এবং লোক দেখানো বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি দেওয়া হয় আরো ছয় জনকে। এহেন কর্মকাণ্ডের পর সারা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি হলে যুক্তরাষ্ট্র-সরকার অবশেষে আন্দোলন মেনে নেয়।
পরবর্তীতে ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই ফ্রান্সের এক শ্রমিক সম্মেলনে ১লা মে’কে শ্রমিক দিবস হিসাবে ঘোষণা দেওয়া হয় এবং পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৮৯০ সালের ১ মে থেকে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে এ দিবস বিশ্বব্যাপি পালিত হচ্ছে।
‘শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের পারিশ্রমিক পরিশোধ করো‘। ~হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
তাছাড়াও, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আরে বলেন, যারা হালাল শ্রমের মাধ্যমে নিজের আয় ও রুজিরোজগার করে তারা মহান আল্লাহর বন্ধু।
শ্রমিক- মালিক এক সূত্রে গাঁথার এ প্রয়াসকে স্বরণীয় করে রাখতে আজকের এ দিবস অতি তাৎপর্যপূর্ণ। শ্রমিক ভাইদের মনকে উৎসাহিত করতে ১লা মে ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি ছুটি।
আন্তর্জাতিক এই দিবসকে কেন্দ্র করে চলছে নানামুখী কার্যক্রম। শ্রমিকরা উপভোগ করতেছে ছুটি। সেই সাথে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিসহ সব দেশের প্রধানগন শ্রমিক ভাইদের জানাচ্ছেন প্রানঢালা শুভেচ্ছা।
“শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, উন্নয়নের শপথ করি” আজকের সময়োপযোগী মহামূল্যবান বাণীর মাধ্যমে দেশবাসীকে ও শ্রমজীবী ভাইদেরকে রাষ্ট্রপতি শুভেচ্ছা জানিয়েছে।