বর্তমান সময়ে বাবা-মায়েরা শিশুর জন্য ভালো কিন্তু সাশ্রয়ী পণ্য খুঁজে থাকেন। ওয়াশেবল ডায়াপার হলো এমনই একটি পণ্য যা শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধব-ই নয়, বরং এটি দীর্ঘমেয়াদে অর্থ সাশ্রয়েও সাহায্য করে। তবে অনেকেই জানেন না কীভাবে এই ডায়াপার সঠিকভাবে ব্যবহার করে শিশুর সুস্থতা ও আরামের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াশেবল ডায়াপার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। কারণ এটি শিশুর ত্বকের স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা আপনাকে জানাবো বাচ্চাদের ওয়াশেবল ডায়াপার পরানোর নিয়ম, এর যত্ন নেওয়ার কৌশল এবং এটির সুবিধাগুলো সম্পর্কে।
চলুন, পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত এই ডায়াপার ব্যবহারের নিয়মগুলো জানি এবং বাচ্চার যত্নে আরও যত্নশীল হয়ে উঠি।
ওয়াশেবল ডায়াপার কী?
ওয়াশেবল বেবি ডায়াপার হল কটন ফেব্রিক দিয়ে তৈরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য একধরনের ডায়াপার। সাধারণত এটি নরম কাপড়, যেমন কাপাস, বাঁশের ফাইবার বা মাইক্রোফাইবার দিয়ে তৈরি হয়, যা শিশুর আরাম ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এই ডায়াপারগুলি বারবার ধুয়ে ব্যবহার করা যায়, তাই এটি একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া ডিসপোজেবল ডায়াপারের তুলনায় অনেক বেশি টেকসই।
ওয়াশেবল ডায়াপারগুলোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর বহুমুখী ডিজাইন। বেশিরভাগ ডায়াপারে অ্যাডজাস্টেবল স্ন্যাপ বা ভেলক্রো থাকে, যা শিশুর গড়নের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নেওয়া যায়। এর ভিতরে একটি শোষণকারী স্তর এবং একটি জলরোধী বাইরের স্তর থাকে, যা লিকেজ প্রতিরোধে কার্যকর।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, “ওয়াশেবল ডায়াপার শিশুর নরম ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং দীর্ঘমেয়াদে এটি পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।” এটি কেবলমাত্র একটি পরিবেশবান্ধব বিকল্প নয়, বরং ওয়াশেবল ডায়াপার দাম কম হওয়ায় এটি দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ওয়াশেবল ডায়াপার ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি যেমন পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হতে পারবেন, তেমনি আপনার বাচ্চার জন্য একটি আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যসম্মত সমাধান বেছে নিতে পারবেন।
ডায়াপার কতক্ষন পরিয়ে রাখা যায়?
আরাম ও স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে বাচ্চাদের ডায়াপার ব্যবহারের সময়সীমা মেনে চলা উচিত। সাধারণত একটি ডায়াপার ২ থেকে ৪ ঘণ্টার বেশি পরিয়ে রাখা উচিত নয়। দীর্ঘসময় ডায়াপার পরে থাকলে শিশুর ত্বকে র্যাশ বা লালচে দাগ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে, শিশুর প্রস্রাব বা পায়খানা ডায়াপারে থাকলে তা দ্রুত পরিবর্তন করা জরুরি, কারণ এটি ত্বকে জ্বালা বা অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাকছুদুর রহমান জানান, “ডায়াপার পরালে শিশুর শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমনঃ র্যাশ হতে পারে, অ্যালার্জি হতে পারে এবং শিশুর পায়খানা ও প্রস্রাবের জায়গাতে লাল লাল দাগ দেখা দিতে পারে।”
তাই, শিশুর স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে, ডায়াপার ব্যবহার করার সময় প্রতিবারই শিশুর ত্বক পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখতে হবে। পাশাপাশি, যদি সম্ভব হয়, কিছু সময় শিশুকে ডায়াপার-মুক্ত রাখা উচিত, যাতে তার ত্বক স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারে। এটি শিশুর ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং যেকোনো ধরনের অস্বস্তি এড়াতে সাহায্য করে।
ওয়াশেবল ডায়াপার কিভাবে পরাতে হয়?
ওয়াশেবল ডায়াপার সঠিক নিয়মে পরানোর মাধ্যমে আপনি শিশুর ত্বককে র্যাশ এবং অন্যান্য সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারবেন। নিচে ধাপে ধাপে ওয়াশেবল ডায়াপার পরানোর পদ্ধতি তুলে ধরা হলো:
১. হাত পরিষ্কার করুনঃ ডায়াপার পরানোর আগে এবং পরানোর পর আপনার হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। হাত পরিষ্কার রাখা শিশুর সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
২. ডায়াপার ও অন্যান্য উপকরণ প্রস্তুত করুনঃ বাচ্চাদের ডায়পার পরানোর আগে সবকিছু প্রস্তুত রাখুন। এর মধ্যে থাকবে—
- ওয়াশেবল ডায়াপার
- শোষণকারী প্যাড বা ইনসার্ট
- ত্বকের যত্নের ক্রিম (যদি প্রয়োজন হয়)
- পরিষ্কার তোয়ালে বা ওয়াইপস
৩. শিশুর ত্বক পরিষ্কার করুনঃ নবজাতকের ডায়াপার পরিবর্তনের সময় শিশুর ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। হালকা গরম পানি এবং নরম কাপড় বা বেবি ওয়াইপস ব্যবহার করুন। ত্বক পরিষ্কার করার পর শুকিয়ে নিন।
৪. শোষণকারী প্যাড বা ইনসার্ট লাগানঃ ওয়াশেবল ডায়াপারের ভেতরে শোষণকারী প্যাড বা ইনসার্টটি সঠিকভাবে লাগান। এটি ডায়াপারের শোষণক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুকে শুকনো রাখে।
৫. শিশুকে ডায়াপার পরানঃ শিশুকে ডায়াপারের উপর শুইয়ে রাখুন এবং ডায়াপারের সামনের অংশটি তুলে শিশুর পেটের উপর রাখুন। পেছনের অংশটি সামনের অংশের সাথে স্ন্যাপ বা ভেলক্রোর সাহায্যে সংযুক্ত করুন। চেক করুন যে ডায়াপারটি খুব বেশি টাইট বা খুব বেশি ঢিলা নয়।
৬. ফিটিং পরীক্ষা করুনঃ ডায়াপারটি সঠিকভাবে পরানো হয়েছে কিনা লক্ষ করুন। ডায়াপারের চারপাশে কোনো ফাঁক বা ঢিলা জায়গা আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন, যাতে প্রস্রাব বা পায়খানা লিক না হয়।
৭. ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করুনঃ যদি শিশুর ত্বক শুষ্ক ও সংবেদনশীল হয়, তবে ডায়াপার পরানোর আগে একটি হালকা ময়েশ্চারাইজার বা বেবি ক্রিম ব্যবহার করুন। এটি র্যাশ প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
৮. ডায়াপার পরিবর্তনের সময় লক্ষ্য রাখুনঃ প্রতি ২-৪ ঘণ্টা পর ডায়াপার পরিবর্তন করুন, অথবা শিশুর পায়খানা হলে সঙ্গে সঙ্গে ডায়াপার খুলে ফেলুন।
কিভাবে ওয়াশেবল ডায়াপার পরিবর্তন করতে হয়?
ওয়াশেবল ডায়াপার পরিবর্তনের জন্য সঠিক পদ্ধতি জানা জরুরি, কারণ এটি শিশুর আরাম এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। প্রথমেই শিশুকে একটি সমতল ও নিরাপদ স্থানে শুইয়ে রাখুন। ব্যবহৃত ডায়াপারের স্ন্যাপ বা ভেলক্রো আলতো করে খুলে ধীরে ধীরে ডায়াপারটি সরান। শিশুর প্রস্রাব বা পায়খানার জায়গা পরিষ্কার করতে নরম কাপড় বা ওয়াইপস ব্যবহার করুন। পরিষ্কার করার সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করলে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। ত্বক শুকানোর জন্য একটি নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন।
যদি ত্বকে লালচে দাগ, ফুসকুড়ি বা র্যাশ দেখা যায়, তবে ত্বকের যত্নে একটি হালকা ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা র্যাশ ক্রিম লাগান। এটি ত্বককে সুরক্ষিত রাখবে।
এরপর নতুন ওয়াশেবল ডায়াপার প্রস্তুত করুন। ডায়াপারের ভেতরে শোষণকারী প্যাডটি সঠিকভাবে স্থাপন করুন। শিশুকে ডায়াপারের উপর শুইয়ে পেছনের অংশটি সামনের দিকে টেনে আনুন এবং স্ন্যাপ বা ভেলক্রোর সাহায্যে ডায়াপারটি আটকে দিন। নিশ্চিত করুন যে ডায়াপারটি খুব বেশি টাইট বা ঢিলা নয় এবং লিকেজ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ওয়াশেবল ডায়াপার ধোয়ার নিয়ম
ওয়াশেবল ডায়াপার ব্যবহারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এটি সঠিকভাবে পরিষ্কার করা। ডায়াপার ভালোভাবে ধোয়া না হলে এটি শিশুর ত্বকে সংক্রমণ বা অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। তাই ধোয়ার নিয়ম জানা অত্যন্ত জরুরি। নিচে ধাপে ধাপে ওয়াশেবল ডায়াপার ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
ব্যবহৃত ডায়াপার সংগ্রহ ও আলাদা করা
ব্যবহৃত ডায়াপারগুলো ধোয়ার আগে আলাদা করুন। বাচ্চাদের হিসি এবং পটি করা ডায়াপার আলাদা করে রাখুন। পায়খানাযুক্ত ডায়াপারটি ধোয়ার আগে পায়খানা পরিষ্কার করে পানিতে ধুয়ে নিন। এর জন্য একটি আলাদা বালতি বা পাত্র ব্যবহার করতে পারেন।
ডায়াপার ভিজিয়ে রাখা
ডায়াপার ধোয়ার আগে গরম পানি ব্যবহার করে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এতে দাগ এবং গন্ধ দূর করতে সুবিধা হবে। পানিতে কিছু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ডিটারজেন্ট বা বেবি সেফ ডিটারজেন্ট মেশান। যদি ডায়াপারে পায়খানার দাগ থাকে, তবে ভেজানোর সময় ব্রাশ দিয়ে দাগ পরিষ্কার করতে পারেন।
মেশিনে বা হাতে ধোয়ার পদ্ধতি
ওয়াশেবল ডায়াপার ওয়াশিং মেশিন অথবা হাত দিয়ে ধৌত করা যায়।
হাতে ধোয়া:
- ডায়াপারটি নরম সাবান বা কিডস ফ্রেন্ডলি ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করুন।
- হালকা গরম পানি ব্যবহার করে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
- পায়খানা বা প্রস্রাবের গন্ধ দূর না হলে একাধিকবার ধোয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
মেশিনে ধোয়া:
- ওয়াশিং মেশিনে ডায়াপার ধোয়ার সময় মেশিনের ডেলিকেট বা জেন্টল সেটিংস ব্যবহার করুন।
- ডিটারজেন্ট হিসেবে শিশুদের জন্য নিরাপদ পাউডার বা তরল ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন।
- ডায়াপারের সাথে অন্য কোনো ভারী কাপড় না ধোয়াই ভালো।
নিয়মিত সঠিক যত্ন নেওয়া
ডায়াপার ধোয়ার পর এটি নরম থাকছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। যদি ডায়াপার শক্ত বা খসখসে হয়ে যায়, তবে কিছু সময়ের জন্য গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং তারপর ধুয়ে শুকান। এছাড়া, ধোয়ার জন্য কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক বা ব্লিচ ব্যবহার করবেন না, কারণ এটি শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ওয়াশেবল ডায়াপার কিভাবে শুকাতে হবে?
ওয়াশেবল ডায়াপার সঠিকভাবে শুকানো অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি শিশুর স্বাস্থ্য এবং আরামের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। ভুল পদ্ধতিতে শুকালে ডায়াপার থেকে গন্ধ, জীবাণু বা আর্দ্রতা থেকে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। নিচে ওয়াশেবল ডায়াপার সঠিকভাবে শুকানোর পদ্ধতি আলোচনা করা হলো।
ধোয়ার পর অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে নিন
ডায়াপার ধোয়ার পর যতটা সম্ভব পানি ঝরিয়ে নিন। মেশিনে ধোয়া হলে স্পিন সাইকেল ব্যবহার করুন। হাতে ধোয়া হলে ডায়াপারটিকে আলতো করে চেপে অতিরিক্ত পানি বের করুন। খেয়াল রাখবেন, ডায়াপারটিকে ঘুরিয়ে বা মোচড় দিয়ে পানি বের করবেন না, কারণ এতে ফ্যাব্রিক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সূর্যের আলোতে শুকানো
ডায়াপার শুকানোর জন্য সূর্যের আলো সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। রোদে শুকালে প্রাকৃতিকভাবে জীবাণু ধ্বংস হয় এবং ডায়াপারে জমে থাকা যে কোনো গন্ধ দূর হয়।
- ডায়াপারটিকে সোজাভাবে মেলে এমন জায়গায় রাখুন, যেখানে সরাসরি রোদ পড়ে।
- শোষণকারী প্যাড বা ইনসার্ট আলাদা করে শুকান।
- প্রয়োজনে ডায়াপারের ভেতরের অংশটি বেশি শুকানোর জন্য উল্টো করে রোদে দিন।
ভালো বায়ুচলাচলযুক্ত জায়গায় শুকানো
যদি রোদে শুকানোর ব্যবস্থা না থাকে, তবে ডায়াপার এমন জায়গায় শুকান যেখানে ভালো বায়ুচলাচল রয়েছে।
- ডায়াপার শুকানোর জন্য একটি কাপড় শুকানোর স্ট্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন।
- ফ্যানের নিচে ডায়াপার ঝুলিয়ে দিলে দ্রুত শুকানোর যাবে।
- এয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মাঝারি তাপমাত্রায় শুকানোর চেষ্টা করুন।
র্যাক বা হ্যাঙ্গার ব্যবহার
ডায়াপার শুকানোর জন্য র্যাক বা হ্যাঙ্গার ব্যবহার কুরতে পারেন, যাতে ডায়াপারগুলো ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। এটি বাতাস চলাচল বাড়ায় এবং দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। ডায়াপারগুলো একটির উপরে আরেকটি না রাখার চেষ্টা করুন, কারণ এতে শুকানোর সময় বেশি লাগবে।
ড্রায়ার মেশিন ব্যবহার
ড্রায়ার মেশিন ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকুন। উচ্চ তাপমাত্রা ওয়াশেবল ডায়াপারের ফ্যাব্রিকের ক্ষতি করতে পারে।
- ড্রায়ারের ডেলিকেট বা লো হিট সেটিং ব্যবহার করুন।
- লক্ষ রাখুন যে ড্রায়ারে ডায়াপারটি সম্পূর্ণ শুকানো হয়েছে। আর্দ্রতা থাকলে তা জীবাণু বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
শুকানোর পর চেক করুন
ডায়াপার শুকানোর পর এটি পরীক্ষা করুন। চেক করুন যে এটি পুরোপুরি শুকিয়েছে এবং কোথাও আর্দ্রতা বা ভেজাভাব নেই। যদি কোনো অংশে আর্দ্রতা থাকে, তবে তা পুনরায় শুকানোর জন্য রেখে দিন।
সঠিক জায়গায় সংরক্ষণ
শুকানোর পর ডায়াপার পরিষ্কার, শুকনো এবং ধুলোমুক্ত জায়গায় সংরক্ষণ করুন। ভাঁজ করে এমন জায়গায় রাখুন যেখানে বায়ুচলাচল ভালো।
উপসংহার
ওয়াশেবল ডায়াপার পরানোর নিয়ম মেনে চললে এটি আপনার শিশুর জন্য স্বাস্থ্যকর ও আরামদায়ক হবে। এ ছাড়াও, এটি পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল একটি পদক্ষেপ। তাই, ওয়াশেবল ডায়াপার ব্যবহারের সময় এর যত্ন এবং সঠিক পদ্ধতি মেনে চলুন এবং আপনার শিশুর জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করুন।