অসাধারণ প্রেমের গল্প
গল্পঃ সেই রানা এখন পাগল
লেখকঃ সোলাইমান রানা
সে দিন কলেজ থেকে বের হচ্ছিলাম। কলেজ গেটে যে মাত্র আসলাম ওমনি একটা পাগল এসে জিঙ্গেস করে সুরাইয়া কই। সুরাইয়াকে দেখছি কিনা। আমি কথা বলতে চাইলে কিছু বলে না।
পাগলটা বলে,,,
আমাকে যেতে হবে তাড়াতাড়ি সুরাইয়া অপেক্ষা করতেছে। সুরাইয়া আমি আসবো,,,,,,,,,
আমি বলি টাকা লাগবে? কিছু খাবে? কিন্তু সে কিছুই বলে না। আমি তাকে ধরে কলেজের পাশে রহিম চাচার দোকানে নিয়ে বসিয়ে কিছু দিতে বলি। রহিম চাচা পাগলটাকে দেখে বলে ও এখানে,,,,,,
রহিম চাচার কথা শুনে আমি বুঝতে পারলাম তিনি পাগলটাকে চিনে। কিছু কেক কিনে দিলাম। খেয়ে চলে গেল।
পাগলটা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলে,, ও আগে পাগল ছিল না। ১০ বছর আগে এ কলেজের একজন ছাত্র ছিল। অনেক ভাল ছিল। ছেলেটা নাম রানা।
যে নামটা বলতেছে ওই মেয়েটা তার সাথেই পড়তো। দেখতে অনেক সুন্দর আর ভাল ছিল সুরাইয়া। একে অপরের সাথে ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। আমার দোকানে বসে চা খেত, গল্প করতো আমার সাথে।
এদের না দেখলে আমার ভাল লাগতো না। অনেক ভাল ছিল দুজন। তারা দুজন দুজনের নিঃশ্বাস ছিল।
- বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার নিয়ম ২০২৪ | খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন
- নম্বর সহ পরীক্ষার রেজাল্ট দেখার নিয়ম | সবার আগে ফলাফল দেখুন
- ডিজিটাল স্মার্টবোর্ড দিয়ে শিক্ষার নতুন দিগন্তের সূচনা!
- আধুনিক খাটের উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্যসমূহ
- কেন গিগাবিট রাউটার ছাড়া অন্য রাউটার কেনা উচিত নয়?
কিছুদিন পর সুরাইয়ার পরিবার তার বিয়ে ঠিক করে। সে পরিবারকে রানার কথা বলেনি। যদি রানাকে কিছু করে তার বাবা এজন্য। অথচ তার বাবা অনেক ভাল মানুষ ছিল।
সে চায় না রানার কিছু হউক। নিজের নিঃশ্বাস বলে কথা। তার বিয়ের কথা রানা জানে না। কারণ সে রানাকে বলেনি।
১ মাস পর বিয়ে, বিয়ের আগে রানা কে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করবে এ চিন্তা ছিল হয়তো। হয়তো দিনও ঠিক করে পেলেছে মনে মনে।
একদিন সুরাইয়া বাড়ি ছেড়ে চলে আসে। আর কুমিল্লায় বাস স্টেশনে এসে রানাকে ফোন করে যেতে বলে। এক সাথে হয়ে ওখানে থেকে কোথাও চলে যাবে।
এদিকে বাড়িতে জানা হয়ে গেছে। বাড়ী থেকে তাদের খুঁজতে বের হয়েছে। সুরাইয়া সকাল ৮টার দিকে বাস স্টেশনে দাড়িয়ে ছিল। একটু দুরে দেখা যাচ্ছে রানা আসছে। তখনই একটা গাড়ি এসে ধাক্কা দেয় সুরাইয়াকে। সাথে সাথেই সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর মারা যায় সুরাইয়া। সুরাইয়ার পরিবার ও রানা ছিল পাশে। সুরাইয়া মারা যাওয়া দেখে রানা অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরার পর থেকেই বলে “সুরাইয়া অপেক্ষা করছে যেতে হবে“। সে থেকেই রাস্তায় এভাবে হাটছে রানা।
কথা গুলো শুনে আমি নিশ্চুপ হয়ে দাড়িয়ে ছিলাম অনেকক্ষণ। কি ভালবাসা!!,,,,, কি জিবন তার!!,,,,,,,,
সমাপ্ত❤❤❤
সেই রানা এখন পাগল গল্পের বিস্তারিত
লেখক সোলাইমান রানার অসাধারণ একটি গল্প “সেই রানা এখন পাগল”। এটি অসাধারণ একটি প্রেমের গল্প। এটিকে একটি শিক্ষনীয় গল্পও বলা যায়।
এই গল্পটি লেখকের ফেসবুক প্রোফাইলে প্রথম প্রকাশিত হয়। সেখানে লেখক এই গল্পের নাম দেন “জীবন“। গল্পটি সম্পাদকের কাছে ভালো লাগে। তিনি লেখকের সাথে যোগাযোগ করেন। আর গল্পটি ব্লগে প্রকাশের অনুমতি নেন।
ট্রিক ব্লগ বিডিতে প্রকাশের সময় সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান গল্পটির নাম পরিবর্তন করে “রানা এখন পাগল” রাখেন।
আপনার লেখাটি আমার অনেক ভালো লেগেছে । এই লেখাটিতে অনেক কিছু শিখার আছে । আমি খুবই আনন্দি । আশা করছি আরো ও নতুন নতুন কিছু দেখবো । পোষ্ট ভাগ করার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ ।
সুন্দর ও উৎসাহমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি, আপনার মন্ত্যব্যে লেখন অনেক অনুপ্রাণিত হবেন।
খুবই ভালো লেখা। অনেক ভালো লেখক হতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ভালো লাগলো,রানা ভাইয়ের গল্প গুলো খুব ভালো লাগে।
মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ