আমরা যারা স্মার্টফোন ব্যবহারকারী তারা প্রায়শই একটা কাজ করে থাকি। তাহলো সারাদিন মোবাইল কে ব্যস্ত রেখে সারারাত ধরে মোবাইলকে আবার চার্জে দিয়ে রাখি। যার ফলে আমাদের ব্যাটারি অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা যদি সঠিক নিয়মে মোবাইল চার্জ দিতে পারি তাহলে আমাদের মোবাইল ব্যাটারি ভালো থাকবে আর মোবাইলের ব্যাটারি ভালোে থাকলে মোবাইলও ভালো থাকবে। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো আমরা অনেকেই মোবাইলে চার্জ দেওয়ার নিয়ম জানিনা। আজ আমরা জানাবো সঠিক উপায়ে মোবাইলে চার্জ দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
এই আর্টিকেলে মোবাইল চার্জ দেওয়ার বিভিন্ন ভুল ও সঠিক উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও প্রচলিত বিভিন্ন চার্জিং সমস্যারও ব্যাখ্যা থাকবে। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ও আরেকটি কথা। মোবাইল চার্জ নিয়ে কথা বলার আগে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। অবশ্যই আপনার মোবাইলটি ভালো ব্র্যান্ডের মোবাইল হতে হবে। ভালো ব্র্যান্ডের মোবাইল থেকে ভালো ব্যাটারি ব্যাকাপ পাওয়া যায়। তাই মোবাইল কেনার আগে অবশ্যই এটি মাথায় রাখুন।
১। মোবাইলে চার্জ হতে বেশি সময় লাগে কেন?
মোবাইলে দেরিতে চার্জ হওয়ার সমস্যাটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এই কারণগুলো দীর্ঘদিন থেকে ঘটলে ব্যাটারি দ্রুত খারাপ হয়ে যাবে। সেই কারনগুলো এখন আমরা আলোচনা করবো। প্রথমে একটি লিস্ট আকারে সেগুলোকে তুলে ধরলাম। এক নজরে সেগুলো দেখে নিতে পারেন।
- দূর্বল বা খারাপ চার্জার
- দূর্বল (Socket) সকেট
- চার্জে রেখে মোবাইল ব্যবহার করলে
- ব্যাটারির সমস্যা
- চার্জিং পোর্ট বা চার্জের প্রবেশপথ সমস্যা
(i) দূর্বল বা খারাপ চার্জার
আমরা অনেকেই ঘরের মধ্যে একটা চার্জার থাকলে সবাই সেই একই চার্জার ব্যবহার করি। যার ফলে ধীরে ধীরে আমাদের চার্জারটি দূর্বল হতে থাকে। আপনারা সবসময় চেষ্টা করবেন আপনার মোবাইলের সাথে থাকা চার্জারটি শুধুমাত্র নিজে ব্যবহার করতে।
(ii) দূর্বল (Socket) সকেট
আমরা সকলেই এই ব্যাপারটা হয়তো জানিনা বা এতোটা গুরুত্ব দেইনা। সকেটের কাজ হলো ইলেক্ট্রিসিটি পাস করা। যদি সকেট ঠিকভাবে ইলেক্ট্রিসিটি পাস না করে তাহলে চার্জার কিন্তু ইলেক্ট্রিসিটি পাবেনা। আবার চার্জার যদি ইলেক্ট্রিসিটি না পায় মোবাইলও তা পাবেনা। যার কারণে আপনার মোবাইল চার্জ হতে দেরি হবে।
আর এটা যদি দীর্ঘসময় ধরে হয়ে থাকে তাহলে আপনার মোবাইলের সেন্সরের সমস্যা হবে। যার ফলে আপনার মোবাইলের ব্যাটারি হিটিং হবে। তাই আপনারা যারা নতুন মোবাইল কিনেছেন তারা অবশ্যই একটা ভালো সকেট কিনে নিবেন।
(iii) চার্জে রেখে মোবাইল ব্যবহার করলে
আমরা সারাদিন মোবাইল নিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ডুবে থাকি। ঐটাতে তেমন কোনো সমস্যা হয়না। কিন্তু আপনি যখন মোবাইলটাকে চার্জে লাগিয়ে ব্যবহার করেন তখন আপনার মোবাইলের সেন্সরের সমস্যা হয় এবং মোবাইলে চার্জ হতেও দেরি হয়।
এই কাজটি ভুলেও করা যাবেনা। মনে রাখবেন, চার্জে রেখে মোবাইল ব্যবহার করলে আপনি নিজেই ধীরে ধীরে মোবাইলের ব্যাটারিকে হত্যা করছেন।
(iv) ব্যাটারির সমস্যা
অনেক সময় দেখা যায় আমার চার্জার কিংবা ক্যাবল ঠিক আছে, কিন্তু মোবাইলের চার্জ হচ্ছে না। তাহলে এ ক্ষেত্রে আপনাকে খেয়াল করতে হবে আপনার মোবাইলের ব্যাকপ্যাক গরম হয়েছে কি না বা মোবাইলের চার্জ অস্বাভাবিকভাবে উঠা নামা করছে কি না।
যদি আপনার মোবাইলের এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। তাহলে আপনি অনেকাংশে নিশ্চিত হতে পারেন আপনার ব্যাটারিতে সমস্যা আছে। এসব ক্ষেত্রে আপনি ব্যাটারি পরিবর্তন করলে এই সমস্যা সমাধান হবে।
(v) চার্জিং পোর্ট বা চার্জের প্রবেশপথ সমস্যা
চার্জিং পোর্ট এর সমস্যার কারণেও আপনার মোবাইলে চার্জ হতে বেশি সময় লাগতে পারে। এর কারণে মোবাইলের চার্জার ঠিকভাবে সংযোগ পায়না। যার কারনে ইলেক্ট্রিসিটি ঠিকভাবে প্রবেশ করতে পারে না। যার ফলে মোবাইলে চার্জ হতে বেশি সময় লাগে।
এরকম সমস্যা হলে অনুমোদিত ভালো একটি মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে গিয়ে চার্জিং পোর্ট পরিবর্তন করে নিতে পারেন।
২। মোবাইল চার্জ থাকে না, কিভাবে বেশিক্ষণ চার্জ ধরে রাখা যায়?
আপনারা হয়তো খেয়াল করে দেখেছেন যে আপনার হাতের মোবাইলটি আগে যে রকম চার্জ থাকতো এখন সেরকম চার্জ থাকে না। আসলে এর কারন কি? বা কি কারনে এরকম হয় ? এবং এ ক্ষেত্রে আমাদের করনীয় কী?
বেশিক্ষণ চার্জ ধরে রাখার জন্য আপনাকে কিছু কৌশল মেনে চলতে হবে। সে সম্পর্কে এখন আলোচনা করবো। চাইলে নিচে দেওয়া এ সম্পর্কিত ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।
(i) মোবাইলে কত % চার্জ থাকা ভালো?
বর্তমান সময় আমরা যে ব্যাটারি গুলো ব্যবহার করে থাকি সেগুলো হলো লিথিয়াম আয়ন বা লিথিয়াম পলিমার। আর এই ব্যাটারিগুলো চলে সাধারনত সাইকেল (cycle) ভিত্তিক। ১০০% চার্জ পূর্ণ হলে ১ টি সাইকেল পূর্ণ হয়। এরকম ৫০০ সাইকেল চার্জ দেওয়ার পরে ব্যাটারির কার্জ ক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে।
সাধারণভাবে কার্যক্ষমতা ২০% পর্যন্ত কমতে পারে। এটা স্বাভাবিক একটা বিষয়। কিন্তু উল্টাপাল্টা ভাবে চার্জ দেওয়ার ফলে বা হিটিং ইস্যু থাকলে ব্যাটারির কার্জ ক্ষমতা আরো অনেক দ্রুত হ্রাস পেতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারির ২০% থেকে ৮০% পর্যন্ত চার্জ থাকা অবস্থায় সবচেয়ে ভালো কাজ করে। তাই আমাদের মোবাইলের ব্যাটারি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে মোবাইলে ২০%-৮০% চার্জ রাখা উচিত।
২০% চার্জ এর কম যেনো কখনোই না হয়। আর ৮০% এর বেশি চার্জ দেওয়াও ঠিক নয়। বেশিরভাগ মানুষই ১০০% পর্যন্ত চার্জ দেয়। এটা মোটেই উচিত নয়।
(ii) পর্দার উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখা
আমরা অনেক সময় মোবাইলের ব্রাইটনেস অনেক বাড়িয়ে দিয়ে থাকি। যার ফলে আমাদের মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ অল্প সময়ে শেষ হয়ে যায় এবং পর্দার উপরে অনেক গরম হয়ে যায়।
একটা বিষয় মনে রাখবেন, মোবাইলের যেই চার্জ খরচ হয় তার আনুমানিক ৬০-৭০ ভাগই ব্রাইটনেসের কারণে খরচ হয়। তাই আমাদের উচিত সবসময় মোবাইলের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখা বা অটোমেটিক ব্রাইটনেস অপশন চালু করে রাখা।
অটোমেটিক ব্রাইটনেস অপশন চালু রাখলে চারপাশের আলো অনুযায়ী মোবাইলের আলো নির্ধারিত হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে মোবাইল নিজে থেকে আপনার জন্য যতটুকু দরকার ততটুকু ব্রাইটনেস ঠিক করে দিবে। তাই বাড়তি চার্জ খরচ হবে না।
(iii) নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখা
আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব, ইত্যাদি হতে সারাদিন অনেক নোটিফিকেশন এসে থাকে। যার ফলে ওই অ্যাপ্লিকেশন গুলো চালু থাকে আপনার অজান্তে। একইসাথে এই অ্যাপগুলো অযথা ব্যাটারির চার্জ শেষ করে। তাই আমাদের উচিত পুশ নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা।
একেবারে বন্ধ না করতে চাইলে নির্দিষ্ট অ্যাপগুলোর নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখতে পারেন। কিভাবে নির্দিষ্ট অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ করবেন সেটি জেনে নিন।
(iv) অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ব্যবহার না করা
আমরা অনেকেই মোবাইলে অযথা অনেক অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপ ইন্সটল করে থাকি। যা আপনার মোবাইলের চার্জ না থাকার একটি অন্যতম কারন। বেশিরভাগ অ্যাপই ইন্সটলের পরে আর তেমন ব্যবহার করা হয়না।
তাই এখনই আপনার মোবাইলের অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ গুলো ডিলিট করে ফেলুন।
উপরের এই কাজ গুলো করলে মোবাইলে চার্জ থাকে না সমস্যা থেকে আপনি পরিত্রাণ পাবেন।
(v) Dark theme ব্যবহার করুন
বিভিন্ন অ্যাপে ডার্ক থিম ব্যবহারের অপশন আছে। বর্তমানে Android 10 এ ডার্ক মুড চালু করার সিস্টেম আছে। সেটি চালু করে রাখুন।
মোবাইলে চালু করলে অ্যাপগুলোতে ডার্ক থিম এমনিতেই কাজ করবে। ডার্ক থিম ব্যবহার করলে মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ অনেক কম খরচ হয়।
(vi) মোবাইল ডাটার পরিবর্তে Wifi ব্যবহার করুন
মোবাইলে ডাটা কানেকশন চালু থাকলে সেটি বেশি ব্যাটারি খরচ করে। একই সাথে মোবাইল গরম হয়ে যায়।
তাই সম্ভব হলে মোবাইল ডাটার পরিবর্তে wifi কানেকশন ব্যবহার করুন। এতে করে মোবাইলের চার্জ যেমন বেশিক্ষণ থাকবে তেমনই মোবাইলও গরম হবেনা।
মোবাইল চার্জ দিলে গরম হয় কেন?
বিভিন্ন কারণে মোবাইল চার্জ দিলে গরম হতে পারে। সর্বপ্রথম কারনটি হলো আপনার চার্জারে বা ক্যাবলে সমস্যা। আরেকটি কারন হতে পারে আপনার ব্যবহৃত সকেটে সমস্যা। আর যদি দেখেন আপনার উপরের সমস্যাগুলো নেই তাহলে আপনাকে অবশ্যই ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হবে।
কীভাবে মোবাইল চার্জ দিলে ব্যাটারি ভালো থাকে?
নির্দিষ্ট কয়েকটি কাজ করলেই আপনার ব্যাটারি খুব ভালো রাখতে পারবেন। তা হলোঃ
- মোবাইলের সাথে যে চার্জারটি আপনি পেয়েছেন তা দিয়ে মোবাইলকে চার্জ দিবেন।
- অন্য কোনো চার্জার দিয়ে চার্জ দিবেন না।
- মোবাইলের চার্জ সবসময় ২০% এর উপরে রাখবেন।
- মোবাইলের চার্জ ৮০% এর বেশি দিবেন না।
- সারারাত মোবাইল চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
কেন সারারাত মোবাইল চার্জ দিবেন না?
বর্তমানে মোবাইল ফোন অনেক স্মার্ট। বেশিরভাগ মোবাইলেই অভার চার্জিং অফ করার সিস্টেম দেওয়া থাকে। অর্থাৎ ১০০% চার্জ হয়ে গেলে মোবাইল নিজে থেকেই চার্জ নেওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তাহলে কি সারারাত ধরে মোবাইলে চার্জ দেওয়া যাবে?
উত্তর হলো না, কখনোই না। বর্তমানে ৪,০০০-৬,০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের একটি মোবাইল ব্যাটারি ফুল চার্জ হতে ১-২ ঘন্টা সময় লাগে। মোবাইল যদিও চার্জ নেওয়া বন্ধ করে দেয় কিন্তু চার্জার সারারাত ধরে আপনার মোবাইলে বিদ্যুৎ পাঠাতে থাকে।
মোবাইলের সিস্টেম স্মার্ট হলেও চার্জারগুলো এখনো ততোটা স্মার্ট হয়নি। তাই সারারাত আপনার মোবাইলকে চার্জারের পাঠানো বিদ্যুৎ অফ করতে অনেক পরিমাণ শক্তি খরচ করতে হয়। যা দীর্ঘমেয়াদে ঘটতে থাকলে আপনার ব্যাটারির মারাত্মক সমস্যা করতে পারে।
অর্থাৎ মোবাইল যতই স্মার্ট হোক না কেন আমরা অবশ্যই মোবাইলটি ৮০% চার্জ হলেই চার্জার থেকে খুলে রাখবো। কোনো মতেই সারারাত মোবাইল চার্জ দেওয়া যাবেনা।
নতুন মোবাইল চার্জ দেওয়ার নিয়ম
নতুন মোবাইল বা ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার নিয়ম একটু আলাদা। এক্ষেত্রে আপনাকে মোবাইলটি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ১০০% চার্জ দিয়ে নিতে হবে। চার্জ ফুল হয়ে গেলে এরপর থেকেই মোবাইলটি ব্যবহার করতে পারবেন।
আরেকটি কথা মাথায় রাখবেন, ভুলেও সারারাত ধরে মোবাইলে চার্জ দেওয়া যাবেনা। এটি মোবাইলে ব্যাটারিতে সমস্যা হওয়ার একটা কারণ।
মোবাইল চার্জার কত ওয়াট?
আপনার মোবাইলের সাথে দেওয়া চার্জারটি যদি নষ্ট হয়ে যায়। তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি চার্জার কিনতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে খেয়াল করতে হবে আপনার আগের চার্জার টি কত ওয়াট ছিল। সে অনুযায়ী আপনাকে চার্জার কিনবেন।
মোবাইলের চার্জার নষ্ট হয়ে গেলে চেষ্টা করবেন আপনার ব্র্যান্ডের অফিশিয়াল শো রুম বা সার্ভিস পয়েন্ট থেকে একই মডেলের চার্জার কিনতে। বাহিরের দোকান থেকে না কেনাই ভালো। একান্তই কিনতে হলে ভালো চার্জার চেনার উপায় জেনে নিন। দেখেশুনে কিনবেন।
উপরে আমরা আপনার মোবাইলে চার্জ দিতে কি কি সমস্যা হতে পারে, এর থেকে পরিত্রাণ পেতে কী কী করতে হবে, মোবাইলে চার্জ দেওয়ার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চেষ্টা করেছি। আশাকরি আপনাদের আপনাদের মোবাইল চার্জ দিতে এখন আর সমস্যা হবেনা।
আর্টিকেল ক্রেডিটঃ ইব্রাহীম খলিল ইবন, ট্রিক ব্লগ বিডির কন্টেন্ট রাইটার
আপনার সাইটের ডিজাই এবং কন্টেন্ট কলিটি খুবই কার্যকারি। আমি অনেক উপকৃত হয়েছি আপনার সাইট ও কন্টেন্ট থেকে আশা করি অন্যরা উপকৃত হবে ।
আপনার কমেন্টের নিচের অংশে আপনার সাইটের লিংক দিয়েছিলেন। আমি সেটাকে কেটে দিয়েছি। এভাবে কমেন্ট ব্যাকলিংক তৈরি করা বিরত থাকুন। এটা আপনার সাইটের জন্য ক্ষতিকর।